মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “তোমরা যদি নিয়ামত গণনা করো তাহলে তা গণনা করে শেষ করতে পারবে না।” জনসংখ্যা হচ্ছে সবচেয়ে বড় নিয়ামত। কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী আমল না করার কারণে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মুসলমানরাই হীনমন্যতায় ভুগছে। বাংলাদেশে যে ভূমি রয়েছে তাতে পরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে বর্তমান ষোল কোটি নয় বরং একশ কোটি লোক স্বাচ্ছন্দে বাস করতে পারবে ইনশাআল্লাহ। জনসংখ্যা বাংলাদেশের জন্য বোঝা নয়, বরং বড় নিয়ামত। দেশীয় অপার সম্পদের সদ্ব্যবহার করা হলে বাংলাদেশেই কাজ করার জন্য বিদেশ থেকে লোক আনতে হবে। ইসলাম বিদ্বেষী মিডিয়া, সংস্থা ও দেশগুলো মিথ্যা তথ্য দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশীদের বিভ্রান্ত ও শোষণ করে আসছে। বাংলাদেশ আগেও সোনার বাংলা ছিলো, এখনো সোনার বাংলাই আছে।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেছেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মুসলমানগণসহ সারাবিশ্বের মুসলমানগণ গভীর হীনমন্যতায় ভুগছে। গোটা বিশ্বের মুসলমানগণ আজ ভুলে গেছে তাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সোনালি দিনের কথা। গোটা পৃথিবী শাসনের অভিজ্ঞতা। তার পাশাপাশি বাংলাদেশের মুসলমানগণও ভুলে গেছে সোনার বাংলার কথা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সোনার বাংলা কেবল ইতিহাসই নয়। সোনার বাংলা যেমন ছিলো আজও সোনার বাংলা তেমন আছে।আমাদের সোনার বাংলায় আজও কোনো অভাব নেই। অভাব নেই ভূমির। অভাব নেই সম্পদের। অভাব নেই কোন কিছুর।ধনে জনে সোনার বাংলা এখনও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা।স্বাধীনতার পর থেকে মুসলমানদের জনসংখ্যা কমানোর জন্য ইহুদী-খ্রিস্টান নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া ও শক্তিগুলো গোয়েবলসীয় কায়দায় অপপ্রচারণা চালিয়েছে যে, এদেশ গরীব। এদেশে সম্পদ নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ এসব প্রচারণা আদৌ সত্য নয়। যেমনটি সত্য ছিলো না ম্যালথাসের মতবাদ। টমাস ম্যালথাস বলেছিলো যে, আগামী একশ’ বছর পর আর পৃথিবীতে বসবাসের স্থান থাকবে না। কিন্তু একশ নয়; বরং দুইশ বছর অতীত হয়ে গেছে। এখন ম্যালথাসের মতবাদ সম্পূর্ণ ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। পৃথিবীতে এখনো বসবাসের জন্য অনেক জায়গা রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘আক্বল হলো রিযিকের অর্ধেক।’
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এদেশের মানুষের রুটি-রিযিক নিয়ে যারা কথা বলে তাদের মাঝে খোদায়ী সমঝ না থাকাতে তারা সত্যিকার আক্বল খাটাতে পারে না। কিন্তু তারা যদি আক্বল খাটতো তাহলে তারা বুঝতে পারত যে, এদেশের ভূমিও কম নেই। বাসস্থানেও কোনো সমস্যা নেই। পাশাপাশি প্রয়োজনের তুলনায় এদেশের জনসংখ্যাও অনেক কম এবং কর্মসংস্থানও চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি।
প্রসঙ্গত মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি দালিলিকভাবে তাজদীদ প্রকাশ করেন: আমাদের দেশে যদি ১৬ কোটি লোক থাকে তাহলে ধরা যায় ৩ কোটি ফ্যামিলি। আর ১টা ফ্যামিলির জন্য ৩ কাঠা জায়গায় ১২ তলা বিল্ডিং করে ১২ তলায় ১টা ইউনিট যদি করে, ৩ কাঠার মধ্যে ১২ ইউনিট আর ২৪টা ফ্যামিলি থাকবে ৬ কাঠার মধ্যে; তাহলে প্রত্যেকের ভাগে কত পড়ল? কোয়াটার কাঠা। ৩ কোটি ফ্যামিলির কোয়াটার কাঠা হলে কত কাঠা হয়? ৭৫ লক্ষ কাঠা। ৭৫ লক্ষ কাঠাকে যদি বিঘাতে পরিণত করা হয় তাহলে পৌনে ৪ লক্ষ বিঘা হয়। পৌনে ৪ লক্ষ বিঘাকে যদি একর করা হয় তাহলে সোয়া লক্ষ একর হয় অর্থাৎ পৌনে ৪ লক্ষ বিঘা সমান প্রায় সোয়া লক্ষ একর। আর সোয়া লক্ষ একরে প্রায় ২০০ বর্গমাইলও হয় না। ৬৪ হাজার একরে ১০০ বর্গমাইল তাহলে ২০০ বর্গমাইলে ১,২৮,০০০ একর হয়। এখানে ১,২৫,০০০ একর হচ্ছে। ২০০ বর্গমাইল হয় না। তাহলে প্রায় ১৯৫ বর্গমাইল জায়গার মধ্যে ১৬ কোটি লোকের থাকার জায়গা হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! আর আমাদের দেশটা হচ্ছে প্রায় ৫৭,০০০ বর্গমাইল। ২০০ বর্গমাইলের মধ্যে ১৬ কোটি লোকের থাকার জায়গা হয়ে যায়; যদি ১২ তলা বিল্ডিং করা হয়। প্রতি বিল্ডিং যদি দুই ইউনিট করে ৬ কাঠার মধ্যে করা হয় তাহলে প্রতি বিল্ডিংয়ে ২৪টি ফ্যামিলি থাকতে পারবে। আরো ২০০ বর্গমাইল যদি দেয়া হয় অফিস আদালত করার জন্য, আরো ২০০ বর্গমাইল যদি বাজারের জন্য দেয়া হয়, তাহলে মোট ৬০০ বর্গমাইলের মধ্যেই সব জায়গা হয়ে যায়। সারাদেশ তো বাকি রইল। এর বিপরীতে ইহুদী নাছারারা বললো, ‘বাংলাদেশে ভূমি কম, জনসংখ্যা বেশি’- সবাই তার পিছে দৌড়ালো। এটাতো তেমনই যেমন, ‘চিলে কান নিয়েছে চিলের পিছনে দৌড়াও’। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ২০০ বর্গমাইল, অতঃপর হাসপাতালের জন্যও ২০০ মাইল দেয়া হয় তাহলেও ইত্যাদি সব মিলেও মূলত ১০০০ বর্গমাইলের মধ্যে ১৬ কোটি লোক থাকতে পারে। আমাদের দেশে ৫৭,০০০ বর্গমাইল আছে। আমাদের দেশে ১০০ কোটি লোক থাকলেও অসুবিধা হবে না ইনশাআল্লাহ। সুবহানাল্লাহ! আর যদি সবাইকে ছড়িয়ে দেয়া হয়, অর্থাৎ সব যদি একতলা বিল্ডিং করা হয়; তাহলে কতটুকু জায়গা লাগবে? ২০০ বর্গমাইলকে ২৪ দিয়ে পুরণ করতে হবে। তাহলে ৪৮০০ বর্গমাইল। অর্থাৎ প্রত্যেক লোককে আলাদা ৩ কাঠা করে দিয়ে দিলে প্রায় ৫০০০ বর্গমাইলের মধ্যেই ১৬ কোটি লোক থাকতে পারবে। শর্ত হলো- যদি প্রত্যেক ফ্যামিলি আলাদা ৩ কাঠা করে জমি নেয়। তাহলে আরো প্রায় ৫২,০০০ বর্গমাইল বাকি থাকে। তাহলে অভাব কোথায়?
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, একটা হিসাব আমরা করেছি, যদি এই বিল্ডিংগুলি ১২ তলা করে করা হয়; তাহলে ৯ লক্ষ বিল্ডিং করতে হবে। প্রতি বিল্ডিংয়ে ৩টি করে ইউনিট হবে, প্রতি ইউনিট ১৬০০ বর্গফুট হবে। ৯ লক্ষ বিল্ডিং বানালে ১৬ কোটি লোক আপসেই থাকতে পারবে। আর এই ৯ লক্ষ বিল্ডিং বানাতে বর্তমান খরচ যদি জায়গার দামসহ ধরা হয়- তাহলে সর্বোচ্চ ৩৫ লক্ষ কোটি টাকা লাগবে। একটা দেশের জন্য ৩৫ লক্ষ কোটি টাকা কোন টাকাই না। বাংলাদেশ থেকে ইচ্ছা করলে, উৎপাদন করে প্রতি বছর ৩৫ লক্ষ কোটিই শুধু নয়; বরং কোটি কোটি কোটি টাকা বের করা যাবে। বর্তমানে তো এক লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বাজেট করা হয়; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এক কোটি কোটি টাকার বাজেট করা যাবে। ইনশাআল্লাহ! এই ৯ লক্ষ বিল্ডিং বানাতে হলে কতগুলো লোক লাগবে? একটা বিল্ডিং করতে কমপক্ষে ৫ বছর সময় লাগবে। সাধারণভাবে একটা বিল্ডিংয়ে যদি ১০০ জন লোকও কাজ করে, তাহলে ৯ কোটি লোকের কাজ করতে হবে ৫ বছরব্যাপী। আমাদের দেশে আছে ১৬ কোটি লোক। কয়জন কাজ করবে? ৩-৪ কোটি লোক কাজ করবে তাহলে ৫ বছরে পারবে কেমন করে? বিদেশ থেকে লোক আনতে হবে। ৯ লক্ষ বিল্ডিং স্বাভাবিকভাবে করলে ১টা ১২ তলা বিল্ডিং যদি করা হয়- ৯ লক্ষ বিল্ডিং ৫ বছরে করতে পারবে। খুব তাড়াতাড়ি যদি করে, ১টা ফ্লোর বা একটা ছাদ করতে প্রায় ২ মাস সময় লাগবে। ১২ তলা বিল্ডিংয়ে ১৩টা ফ্লোর বা ছাদ হবে। ১৩ গুণন ২ সমান ২৬ মাস সময় লাগবে অর্থাৎ প্রায় আড়াই বছর প্লাস আনুষঙ্গিক মিলে আরো আড়াই বছর অর্থাৎ তাড়াতাড়ি করলে প্রায় ৫ বছর লাগবে কমপক্ষে। ৫ বছরের আগে স্বাভাবিকভাবে একটা বিল্ডিং পুরাপুরিভাবে সম্পন্ন করা কঠিন হবে। এছাড়া পানি, গ্যাস, লাইট অনেক কিছু লাগবে। ১টা বিল্ডিংয়ে রাজমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, যোগালী, রড, সিমেন্ট, বালু ইত্যাদি কাজে অনেক লোক লাগবে। ১০০ লোক যদি ধরি- তাহলে কমপক্ষে ৫ বছর ৯ কোটি লোককে খাটতে হবে। কমপক্ষে ৯ কোটি লোক যদি খাটে তবে আমাদের দেশ থেকে লোক বিদেশে আর পাঠাতে হবে না। বরং এই দেশেই লোকের অভাব পড়বে। লোক আনতে হবে বাইরের দেশ থেকে। আমাদের দেশে যদি ধরে নেই ৪ কোটি পুরুষ কাজ করে। শিশু শ্রমিক নিয়ে পাঁচ কোটি। আরো ৪ কোটি লোক বাইরে থেকে আনতে হবে, আমদানি করতে হবে। তাহলে মানুষ বেশি হলো কোথায়?
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি ফ্যামিলি প্লানিং প্রসঙ্গে বলেন, কিসের ফ্যামিলী প্লানিং? ফ্যামিলি প্লানিংয়ের ইতিহাস জানে তারা? বড় বড় ফতওয়া দেয়? ম্যালথাস নামক মূর্খ লোকটা বিবৃতি দিয়েছিলো- ‘১০০ বছর পর পৃথিবীতে জায়গায় হবে না।’ গণ্ড মূর্খ এরা। ইহুদী, মুশরিক, নাছারাগুলো আশাদ্দুদ দরজার জাহিল। লেখাপড়া জানে নাকি এরা? সাধারণ মানুষ তো মনে করে- ‘ইহুদী, মুশরিক, নাছারাগুলি কি যেন হয়ে গেছে।’ এরা গণ্ড মূর্খ, চোর, লুটেরা, ছিনতাইকারী- এই ইহুদী, মুশরিক, নাছারাগুলো ১৭৯৮ সালে বিবৃতি দিলো, ‘১০০ বছর পর লোকের জায়গা দেয়া যাবে না পৃথিবীতে।’ ১৭৯৮ সালে তখন পৃথিবীতে কত লোক ছিল? সে সম্পর্কে ইহুদী নাছারা এই কাফিরদের বক্তব্য হচ্ছে- পৃথিবীতে ৬৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পৃথিবীর লোকসংখ্যা প্রায় ৫০ কোটি ছিল তবে কখনো কখনো কম বেশি হতো। অর্থাৎ গড়ে ৫০ কোটি। ৬৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত গড়ে ৫০ কোটি লোক ছিল। সে ১৭৯৮ সালে বক্তব্য দিল অথচ ১৮০৪ সালে পৃথিবীর লোক সংখ্যা হলো মাত্র ১০০ কোটি। ১৮০৪ সালে ১০০ কোটি লোক হয়েছে। তাদেরই হিসাব। এখন এই মিথ্যাবাদীরা, এই ইসলাম বিদ্বেষী মূর্খরা বললো, ১০০ বছর পর লোকের জায়গা নিবে না। ১৯০০ সালে লোকসংখ্যা হলো মাত্র ১৫০ কোটি অর্থাৎ ১৫০ কোটি লোক। এই ১৫০ কোটি লোক তো বাংলাদেশই জায়গা নিবে ইনশাআল্লাহ। অন্যত্র যেতে হবে কেন? ১০০০ বর্গমাইলে যদি ১৬ কোটি লোক অবস্থান করতে পারে; তাহলে ৫৭০০০ বর্গমাইলে কত কোটি লোক জায়গা নিবে? সারা পৃথিবীর লোক আমাদের এখানে অর্থাৎ বাংলাদেশে জায়গা করে দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ। সুবহানাল্লাহ! বর্তমান পৃথিবীতে রয়েছে প্রায় পৌনে ৭০০ কোটি লোক। ১৯০০ সালে পৃথিবীর লোকসংখ্যা হলো মাত্র ১৫০ কোটি। অতঃপর ২০০ কোটি হলো ১৯২৭ সালে। ২৭ সালে ২০০ কোটি, ৬০ সালে হলো ৩০০ কোটি, ৭৪ সালে হলো ৪০০ কোটি, ৮৭ সালে হলো ৫০০ কোটি। ৯৯ সালে হলো ৬০০ কোটি। এরা বলে ২০১৩ সালে হবে ৭০০ কোটি, ২০২৮ সালে হবে ৮০০ কোটি, ২০৫৪ সালে হবে ৯০০ কোটি- এটা তাদের বক্তব্য। এখন তাদের বক্তব্য অনুযায়ী যদি ধরি; তাহলে এখন ৭০০ কোটি লোক হয় নাই, কাছাকাছি। কত জায়গাই তো খালি আছে। আমাদের দেশেও তো কত জায়গা খালি আছে। যদি রাশিয়াকে ধরা হয়- রাশিয়া ৬৬ লক্ষ বর্গমাইল ছিল। লোকসংখ্যা ছিল মাত্র ১৫ কোটি। আমেরিকায় তাদের কথা অনুযায়ী লোকসংখ্যা ৩০ কোটি। তাদের আয়তন প্রায় ৩৭ লক্ষ বর্গমাইল। কানাডা ৩৮ লক্ষ বর্গমাইল। তাদের লোকসংখ্যা মাত্র আড়াই কোটির মতো। অস্ট্রেলিয়া ৩০ লক্ষ বর্গমাইল। তাদের লোকসংখ্যা হচ্ছে মাত্র ২/২.৫০ কোটি। সউদী আরব ৯ লক্ষ বর্গমাইল। তাদের লোকসংখ্যা মাত্র ২.২৫ কোটি। পৃথিবীতে ৭০০ কোটি কেন, ৭০০০ কোটি লোকও যদি হয় থাকার জায়গার কোন অভাব হবে না। ইনশাআল্লাহ!
পাশাপাশি খাবারের সম্পর্কেও মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, খাবারেও অসুবিধা হবে না ইনশাআল্লাহ এবং থাকারও অসুবিধা হবে না ইনশাআল্লাহ! থাকা ও খাওয়া সম্পর্কে কাফিরদের মিথ্যা কথা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে- মুসলমানদের সংখ্যা কমানো। ইহুদী নাছারারা স্বাভাবিকভাবেই মাইনাস হচ্ছে। কোন মা একটা সন্তান দিতে পারবে? সে সন্তান আনবে কোথা থেকে? আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম না দিলে সে পাবে কোথা থেকে? কত লোক সারা দিন কান্নাকাটি করে কই তাদের তো সন্তান হয় না। এ রকম শত শত লোকের সন্তান হওয়ার জন্য আমরা দোয়া করেছি। কই ডাক্তাররা তো দিতে পারলো না? পরে তো আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনাদের কাছেই যেতে হয় সন্তানের জন্য। ১৬ কোটি লোক তো কিছুই না এখানে। এরা কিন্তু দেখায়, ১ বর্গমাইলের মধ্যে ১০০০ লোক, ১০০০ বর্গমাইলের মধ্যে অনেক লোক বৃদ্ধি হয়ে গিয়েছে। আবার ১০ বর্গমাইলের মধ্যে লোক নেই একটাও। ওটা কিন্তু দেখে না এবং দেখায়ও না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, একটা হিসাব করলে দেখা যাবে- ৩ কাঠা করে যদি দেয়া হয় আলাদা আলাদা করে তাতেও ৫০০০ বর্গমাইল লাগে মাত্র। তারপরও ৫২,০০০ বর্গমাইল বাকি থাকে। এরা বলে ২৫% গাছপালা প্রয়োজন। আসলে ২৫% প্রয়োজন হয় না। কম হলেও চলে। ১০%-১২% হলেও চলে। প্রকৃতপক্ষে দেশের লোকসংখ্যা অনুপাতে গাছপালা প্রয়োজন। গাছপালাগুলি যদি কাঠ গাছ বা ফল ফলাদির গাছ করা যায়। তাহলে তো এক কাজে ২টা হয়ে গেল। অর্থাৎ একদিকে গাছপালাও হয়ে গেল আরেক দিকে কাঠ ও ফল ফলাদিও পাওয়া গেল। নদী নালা থাকা দরকার আবার নদী পথও থাকা দরকার। অর্থাৎ রাস্তা থাকা দরকার। ৫% নদী নালা, খাল যদি ড্রেজিং করে নেয়া হয়; তাহলে রাস্তাও হবে আবার মাছও চাষ হবে। আর রাস্তা ঘাট অর্থাৎ স্থলপথ কমিয়ে দেয়া যায় যদি প্লান করে শহর করা হয়। হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শহর করেছেন। প্ল্যান করে শহর করলে রাস্তা কম লাগবে। বেশি রাস্তা করা দরকার হয় না। কাজেই বাংলাদেশে যে জনসংখ্যা রয়েছে এতে আতঙ্কের কিছুই নেই। বরং এর দশগুণও যদি লোকসংখ্যা হয়; বাংলাদেশে থাকা খাওয়া কোন অসুবিধা হবে না ইনশাআল্লাহ। এরা তো হিসাব জানে না। এরা বলে, আপনাদের বাংলাদেশে পা রাখার জায়গা নেই। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি এদের প্রসঙ্গে বলেন, এরা জাহিল ও গণ্ড মূর্খ। তোমরা লেখাপড়া করো না? ২০০ বর্গমাইলে তো সব জায়গা হয়ে গেল এখন কি করবে? প্রত্যেককে আলাদা করে জায়গা দিলেও দেখা যায় মাত্র ৫০০০ বর্গমাইল জায়গা প্রয়োজন হচ্ছে। আর একটা দেশের জন্য ৩৫ লক্ষ কোটি টাকা তো কোন ব্যাপার না। এক বছরেই এই বাজেটটা দেয়া যায়; তবে টাকা ৫ বছরে লাগবে। কারণ, বাড়িগুলি তৈরি করতে কমপক্ষে ৫ বৎসর লাগবে। আর প্রতি বছর ৭ লক্ষ কোটি করে ৫ বৎসরে ৩৫ লক্ষ কোটি টাকা লাগবে। থাকার লোক খুঁজতে হবে তখন। বাড়িটা হবে ১৬০০ স্কয়ার ফুট। ঢাকা শহরের কয়জনে ১৬০০ স্কয়ার ফুটে থাকে? সাধারণত শহরের লোকজন ১০০০, ৯০০, ৮০০, ৭০০, ৬০০, ৫০০, ৪০০ স্কয়ার ফুটে থাকে। তাহলে ১৬০০ স্কয়ার ফুট ফ্ল্যাটে একটা বড় ফ্যামেলি থাকতে পারবে। কাজেই হিসাব করতে হবে। খাবারের প্রচলিত হিসাবটা মিথ্যা, থাকার হিসাবটাও মিথ্যা। সব হিসাব মিলিয়ে দেখা যাবে পর্যাপ্ত খাবার আছে, খাওয়ার লোক নেই। প্রকৃতপক্ষে খাবার চুরি করা হয়, পাচার করা হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, খাবার ও বাসস্থান সম্পর্কে ইহুদী-নাছারাগুলির মিথ্যা বক্তব্যের উদ্দেশ্য হচ্ছে- মুসলমানদের মধ্যে একটি আতঙ্ক সৃষ্টি করা। আতঙ্ক সৃষ্টি করে কাফিরেরা মুসলমানদেরকে তাদের দিকে রুজু করতে চায়। মুসলমানগণ যখন তাদের মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে কাফিরদেরকে বলে, ‘তাহলে এখন আমরা কি করব? একটা বুদ্ধি দিন।’ তখন ইহুদী নাছারা কাফিররা বলে- টাকা দাও, বুদ্ধি দিব। আসলে তারা লুটপাট করার ফন্দি ফিকির করে। আর বলে, তাহলে টাকা লাগবে। এই করতে হবে, ওই করতে হবে। তাহলে ঠিক আছে লোন নেও, ১ টাকায় ১০ টাকা দিবে। অর্থাৎ তোমাদের দেশটা বিক্রি করে দাও। নাঊযুবিল্লাহ! কিছুদিন পূর্বে কোপেনহেগেন সম্মেলনে ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিকরা ‘বাংলাদেশ পানিতে ডুবে যাবে’- এমন আতঙ্কই তৈরি করতে চেয়েছিলো। কিন্তু এখন তাদের তথ্য ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং তাদের জালিয়াতি প্রকাশ পেয়ে গেছে। একই মিথ্যার আশ্রয় তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে বহু আগ থেকেই নিয়েছে। যাতে করে তারা তথাকথিত দানের নামে বাংলাদেশকে তাদের অধীন করে রাখতে পারে। বাংলাদেশ মাথা উচু করে দাঁড়াতে না পারে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বাংলাদেশী মুসলমানদের উচিত- ইহুদী, মুশরিক, নাছারা, কাফিরদের ষড়যন্ত্রমূলক প্রচলিত সব নেতিবাচক ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা। বাংলাদেশে আল্লাহ পাক তুলনামূলক অন্য দেশ থেকে বেশি সম্পদ দিয়েছেন তা বিশ্বাস করা এবং বর্তমানে বাংলাদেশকে অতীতের যে কোন সময় থেকে বেশি সমৃদ্ধ মনে করা উচিত। বাংলাদেশ সোনার বাংলা হিসেবে তৈরি হয়েছে। তাই বাংলাদেশ সোনার বাংলা ছিলো, আছে এবং থাকবে। ইনশাআল্লাহ।