যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “আরবী ব্যতীত অন্য ভাষায় জুমুয়ার খুৎবা দেয়া মাকরূহে তাহরীমী। কাজেই জুমুয়ার খুৎবা বাংলায় দেয়া মাকরূহে তাহরীমী। দিলে নামায দোহরানো ওয়াজিব হবে। যারা এরূপ শরীয়ত বিরোধী কাজের জন্য বলবে তারা গুমরাহ। শরীয়তের দৃষ্টিতে তারা শক্ত শাস্তির উপযুক্ত।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সমস্ত ইমাম, মুজতাহিদ এ ব্যাপারে (ইজমায়) ঐক্যমতে পৌঁছেছেন যে, খুৎবা আরবী ভাষায়ই দিতে হবে। আরবী ব্যতীত অন্য ভাষায় খুৎবা দেয়া বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ্ ও মাকরূহ্ তাহ্রীমী।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, দুই খুৎবার একটি আরবী ভাষায় অপরটি অন্য কোন ভাষায় অথবা এক খুৎবার অংশ বিশেষ আরবী ভাষায় এবং অংশ বিশেষ অন্য কোন ভাষায় দেয়া অথবা আরবী খুৎবা প্রদানকালে বাংলা, উর্দু, ইংরেজী, ফার্সী অর্থাৎ এক কথায় পৃথিবীর অন্য যে কোন আজমী (অনারবী) ভাষায় অনুবাদ করা বা আরবীতে খুৎবা দেয়াকালে অন্য কোন ভাষায় মাঝে মধ্যে শে’র বা কাছীদা পাঠ করাও শরীয়তের দৃষ্টিতে সুন্নত পরিপন্থী, বিদয়াত ও মাকরূহে তাহরীমী।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তবে মুছল্লীদেরকে খুৎবার বিষয়বস্তু বুঝানোর জন্য প্রথম আজানের পূর্বে বা পরে এবং ছানী আজানের অবশ্যই পূর্বে ওয়াজ নছীহত করা জায়িয এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু জুময়ার দিন খুৎবার পূর্বে মিম্বরের সম্মুখে দাঁড়িয়ে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করতেন। অতঃপর হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু খুৎবা প্রদান করতেন।” (মুস্তাদরিকে হাকিম ১ম জিঃ, ১০৮ পৃষ্ঠা)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “খুৎবার বিষয়বস্তু বুঝানোর জন্য খুৎবার পূর্বে অর্থাৎ ছানী আযানের পূর্বে ওয়াজ করা যেতে পারে কিন্তু তথাপিও ছানী আযানের পর অর্থাৎ খুৎবাতে আরবী ভাষা ব্যতীত অন্য কোন ভাষা ব্যবহার করা মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ্।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “যারা জুমুয়ার খুৎবা আরবী ভাষা ব্যতীত অন্য ভাষায় দেয়ার পক্ষে- তাদের বক্তব্য হলো, ‘খুৎবা শব্দের লোগাতী বা শাব্দিক অর্থ হলো, ‘বক্তৃতা, ভাষণ বা ওয়াজ। সুতরাং বক্তৃতা, ভাষণ বা ওয়াজ যেমন যে কোন ভাষায় দেয়া যেতে পারে; তদ্রুপ জুমুয়ার খুৎবা ও যেকোন ভাষায়ই দেয়া যেতে পারে।’ এর উপর ক্বিয়াস করে ইদানিংকালে কেউ কেউ জুমুয়ার খুৎবা বাংলা ভাষায় দেয়ার কথা বলছেন। মূলতঃ তাদের উক্ত ক্বিয়াস সম্পূর্ণই ভ্রান্ত ও বাতিল।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, শরীয়তে এমন কতক শব্দ রয়েছে, যাদের শুধু লোগাতী বা শাব্দিক অর্থ গ্রহণ করলে তা যথার্থ হবে না বরং তার প্রচলিত শরয়ী অর্থের উপরই আমল করতে হবে। তার মধ্যে একটি হলো জুমুয়ার খুৎবা। লোগাতে খুৎবা শব্দের অর্থ যদিও বক্তৃতা, ভাষণ বা ওয়াজ। কিন্তু শরীয়তে খুৎবা শব্দ আলাদা তাৎপর্যমন্ডিত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআন শরীফে খুৎবাকে যিক্র বলে সম্বোধন করেছেন। যেমন ইরশাদ হয়েছে, “হে ইমানদারগণ, যখন জুমুয়ার দিন নামাযের জন্য ডাকা হয়, তখন তোমরা আল্লাহ্র যিক্রের দিকে ধাবমান হও। (অর্থাৎ খুৎবা শুনার জন্য আস)।”
উক্ত আয়াত শরীফে অধিকাংশ মুফাসসিরীনে কিরাম একমত যে, যিক্র শব্দ দ্বারা খুৎবাকে বুঝানো হয়েছে। তাফসীরে ইবনে কাছীর ৯ম খন্ড পৃঃ ৪৫৬, বুখারী শরীফ ১ম জিঃ পৃঃ ১২৭, মাবছুত লিস সারাখসী ২য় জিঃ পৃঃ ২৬/৩১, কবীরী পৃঃ৮৭, হেদায়া ১ম জিঃ পৃঃ১৩৯)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ফুকাহায়ে কিরামের অনেকেই খুৎবাকে আল্লাহ্ পাক-এর যিক্র ও ইবাদতের দিক দিয়ে নামাযের ন্যায় বলেছেন। যেমন হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, ‘জুমুয়ার নামাযকে (চার রাকায়াতের স্থলে দুই রাকায়াতে) সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে একমাত্র খুৎবার কারণেই।’ (ইযালাতুল খফা)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “হযরতুল আল্লামা আলাউদ্দীন আল কাসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি “আল বাদায়ে” কিতাবের হাওলা “আল বাহর” এ উল্লেখ করেন যে, জুমুয়ার খুৎবা হলো দুই রাকায়াত জুমুয়ার নামাযের স্থলাভিষিক্ত। ’
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, অনুরূপভাবে আলমগীরী, বাহরুর রায়েক, নিযামুল ফতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে। আবার খোলাছাতুল ফতওয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, “যে সকল কাজ-কর্ম নামাযের মধ্যে হারাম সেগুলো খুৎবার মধ্যেও হারাম ও নিষিদ্ধ। সুতরাং খুৎবা দানকারী ও শ্রবণকারীদের জন্য খাওয়া, পান করা, কথা-বার্তা বলা যদিও তা তাস্বীহ্ হোক না কেন এবং সালামের জবাব দেয়াও জায়িয নয়।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আর এ প্রসঙ্গে কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে, “যখন কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা হয়, তখন তোমরা অতি মনোযোগ সহকারে তা শ্রবণ করো। সম্ভবতঃ তোমরা রহমত প্রাপ্ত হবে।” (সূরা আ’রাফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, অনেক মুফাস্সিরীনে কিরাম এ অভিমত ব্যক্ত করেন যে, উক্ত আয়াত শরীফ খুৎবাকে উদ্দেশ্য করে অবতীর্ণ হয়েছে। এবং তাফসীরে কামালাইনের লেখক আল্লামা সালামুল্লাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতেও উক্ত অভিমত নকল করেন। অনুরূপভাবে তাফসীরে মায়ারেফুল কুরআনেও উল্লেখ রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “হাদীছ শরীফে আরো উল্লেখ রয়েছে যে, ইমাম ছাহেব যখন খুৎবা দেয়ার জন্য হুজরা হতে বের হবেন, তখন কোন নামায ও কথাবার্তা বলা নিষিদ্ধ।” (আবূ দাউদ শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, অন্য হাদীছ শরীফে আছে, “জুমুয়ার দিন ইমামের খুৎবা প্রদানকালে যদি কেউ অন্যকে বলে চুপ কর, তবে সেটাও অন্যায় হবে।” (নাসাঈ শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সমস্ত ফিকাহের কিতাবে উল্লেখ রয়েছে, জুমুয়ার খুৎবা দেয়া ওয়াজিব। বিনা খুৎবার জুমুয়া দুরস্ত হবে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, নামায যেমন ওয়াক্ত হবার পর পড়তে হয়, খুৎবাও তদ্রুপ ওয়াক্ত হবার পর দিতে হয়। ওয়াক্ত হবার পূর্বে বা পরে খুৎবা দিলে খুৎবা দুরস্ত হবে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “জুমুয়ার নামাযে যেরূপ ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নতসমূহ রয়েছে, জুমুয়ার খুৎবায়ও তদ্রুপ ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নতসমূহ রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “খুৎবা জুমুয়ার নামাযেরই একটি অংশ বিশেষ এবং নামাযের ন্যায় একটি ইবাদত। কাজেই নামাযে যেরূপ আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষা ব্যবহার করা জায়িয নেই, তদ্রুপ খুৎবার মধ্যেও আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষা ব্যবহার করা জায়িয নেই।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বলেন, হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আখিরী যামানায় অনেক মিথ্যাবাদী দাজ্জাল বের হবে। তারা এমন সব কথা বলবে যা তোমরা শোননি। তোমাদের বাবা-দাদা চৌদ্দপুরুষ শোনেনি।"
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যারা জুমুয়ার খুৎবা বাংলায় দেয়ার কথা বলে তারা দাজ্জালে কায্যাব তথা মিথ্যাবাদী দাজ্জালের অন্তর্ভূক্ত। তারা মিথ্যাবাদী ও নবী দাবিদার। তারা বিদয়াতী। তারা ধর্মের মাঝে নতুন বিদয়াত প্রবর্তক। তারা গুমরাহ ও ফিৎনাবাজ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ অনুযায়ী, যে ভুল ফতওয়া দেয় এবং সে ফতওয়ার উপর যতজন আমল করে তাদের সবার গুনাহ উক্ত ভুল ফতওয়া দানকারীর উপর বর্তাবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, জুমুয়ার নামাযে বাংলা খুৎবা দানকারীর প্রস্তাবকারীদের কোনমতেই এমনিতেই ছেড়ে দেয়া যাবে না। তাদেরকে শক্তভাবে প্রতিহত করতে হবে। ফিৎনাবাজ, বিদয়াতী, নতুন নবী দাবিদার ও গুমরাহ হওয়ার কারণে তারা শরীয়তের দৃষ্টিতে শক্ত শাস্তির উপযুক্ত।