আখেরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই জান্নাতের মালিক।
ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ্
কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম, রাজারবাগ শরীফের হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এক ক্বওল শরীফে এ কথা বলেন।
বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ, ইত্যাদি হাদীছ শরীফের
কিতাবের বরাতে মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী বলেন, “হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমান, আল্লাহ পাক যার ভালাই (কল্যাণ) চান তাকেই দ্বীনের ছহীহ্ সমঝ দান করেন। আর অবশ্যই আমি (সমস্ত নিয়ামতের) বণ্টনকারী,
আর মহান আল্লাহ্ পাক দান করেন।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মহান আল্লাহ পাক স্বীয় মাখলুকাতকে দুনিয়া ও আখিরাতে যত
নিয়ামত দান করেছেন, করছেন ও করবেন তার সমস্তই আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উছীলায় বা উনার মাধ্যমে। অর্থাৎ তিনিই হচ্ছেন আল্লাহ পাক-এর
সমস্ত নিয়ামতের বণ্টনকারী।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আল্লাহ্ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামকে জান্নাতের মালিক বানিয়েছেন। তিনি যাকে ইচ্ছা তাকেই সেই নিয়ামত
স্বরূপ জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারেন।
ত্বাবারানী, কানযুল উম্মাল, মাজমাউয যাওয়ায়িছ কিতাবের
বরাতে মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী বলেন, হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে
বর্ণিত, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণকে বলেছেন, যখন তোমরা আমার কথা
অনুযায়ী আমল করবে তখনই এর বিনিময়ে আল্লাহ পাক ও আমি (আল্লাহ পাক-এর হাবীব
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদেরকে জান্নাত দান করবো।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ত্ববরানী, বাইহাক্বী, মাফহীম ইত্যাদি কিতাবে বর্ণিত হাদীছ শরীফে স্বয়ং আল্লাহ
পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জাহান্নামী লোকদেরকেও জান্নাতে
প্রবেশের জন্য অনুমতি পত্র প্রদান করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব, আখিরী, নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম জান্নাতের মালিক। উনাকে মহান আল্লাহ্ পাক ইখতিয়ার দিয়েছেন
যেন তিনি যে কোন লোককে যে কোন অবস্থায় তার কোন আমল থাকুক বা নাই থাকুক তাকে
জান্নাতে প্রবশে করাতে পারেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, জান্নাত আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উছীলায় তৈরী হয়েছে। যা হাদীছে কুদসীতে আল্লাহ্ পাক ইরশাদ
করেন, “যদি আপনাকে
সৃষ্টির উদ্দেশ্য না থাকত তবে আমি জান্নাত তৈরি করতাম না।”
(কানযুল ইম্মাল) কাজেই জান্নাত আল্লাহ পাক-এর
হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উছীলায় এবং উনার জন্যই তৈরি।
সুতরাং তা উনার অধীন থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ছাহিবে জান্নাত, ছাহিবে কাওছার ও ছাহিবে শাফায়াতে কুবরা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আল্লাহ পাক আমাদের সকলেকে উনার প্রিয়তম হবীব হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী মর্যাদা-মর্তবা উপলব্ধি করার তাওফিক
দান করুন। (আমিন)