নোটিশ

সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১১

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার বিরোধিতা করেই ব্রিটিশরা বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রবর্তন করেছিল

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার বিরোধিতা করেই ব্রিটিশরা বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রবর্তন করেছিল।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আ’ইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী গতকাল রাজারবাগ শরীফে এক ক্বওল শরীফে একথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ইদানিংকালে পত্রিকা খুললেই খবর পাওয়া যাচ্ছে- ওমুক বান্ধবীর কারণে, ওমুক এনজিও কর্মীর হস্তক্ষেপের কারণে, ওমুক ইউএনও এসে পরার কারণে ওমুক ১৪ বছরের মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমনকি বিয়ে হওয়ার পরও বিয়ের খাওয়া-দাওয়ার পরও বিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এমনকি অনেক উলামায়ে ‘ছূ’ তথা ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারাও এখন এনজিও কর্মীদের সুরে সুর মিলিয়ে বলছে যে, তারা আর বাল্যবিবাহ পড়াবে না। (নাউযুবিল্লাহ)



মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, কুরআন-সুন্নাহ্‌ অনুযায়ী ছেলে ও মেয়েকে বিয়ে করার ও বিয়ে দেয়ার জন্য কোন বয়স নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। অর্থাৎ ৫, ১০, ১৫ ইত্যাদি বছরের কমে অথবা ৪০, ৬০, ৮০ ইত্যাদি বছরের চেয়ে বেশি বয়সে বিয়ে করা যাবে বা যাবে না এমন কোন শর্ত-শারায়িত শরীয়তে বর্ণনা করা হয়নি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ব্রিটিশ সরকার কুরআন-সুন্নাহ্‌র প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে কোন মেয়ের বিয়ে বসা বা বিয়ে দেয়ার জন্য কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আইন বা শর্ত করে দেয় এবং ১৮ বছর বয়সের নিচে কোন মেয়েকে বিয়ে দেয়া, বিয়ে করা বা কোন মেয়ের জন্য বিয়ে বসা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে সাব্যস্ত করে। (নাঊযুবিল্লাহ)

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ১৯২৯ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ২এর (ক) উপধারায় বলা হয়েছে- “শিশু বা নাবালক বলিতে ঐ ছেলে ও মেয়েকে বুঝাইবে, যাহার বয়স ছেলে হইলে একুশ বছরের নিচে এবং মেয়ে হইলে আঠার বছরের নিচে হইবে।”

ব্রিটিশদের এই আইনও শরীয়তের সম্পূর্ণ খিলাফ ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এ প্রসঙ্গে স্মর্তব্য যে, হানাফী মাযহাব মুতাবিক ১৫ বছর বয়স হলেই ছেলে বা মেয়ে বালিগ বা বালিগা বলে গণ্য হবে যদিও জাহিরীভাবে তার কোন লক্ষণ প্রকাশ না পায়। আর এর আগে যদি কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় তবে তখন থেকেই সে বালেগ বা বালিগা বলে গণ্য হবে।

আর এরূপ নাবালকের বিয়ের শাস্তি প্রসঙ্গে এই আইনের ৪ ধারায় বলা হয়েছে- “একুশ বৎসরের অধিক বয়স্ক কোন পুরুষ বা আঠার বৎসরের অধিক বয়স্কা কোন মহিলা কোন শিশুর সহিত বিবাহের চুক্তি সম্পাদন করিলে, তাহার একমাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড কিংবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় প্রকারের দণ্ড হইতে পারে।” (নাঊযুবিল্লাহ)

উল্লেখ্য, এ আইনের ৫ ও ৬ ধারায় এরূপ বিবাহ সম্পন্নকারী ও অভিভাবকের জন্যও একই শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। (নাঊযুবিল্লাহ)

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ১৯২৯ সালে ব্রিটিশরা যখন বাল্যবিবাহ বন্ধ করে তখন তার কারণ হিসেবে ১৪ বছরের এক বালিকা বধূর অসুস্থ হওয়ার কারণ উল্লেখ করে। কিন্তু এ কারণ সার্বজনীন নয়। এ অসুস্থতা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। এ অসুস্থতার উদাহরণ ১৮ বছরের বেশি বয়সের মেয়ের ক্ষেত্রেও হতে পারে। আবার তার চেয়ে কম বয়সের মেয়ের ক্ষেত্রেও না হতে পারে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ১৯২৯ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের পিছনে কথিত যে যুক্তি দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ ধোঁকা ও মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি বিদ্বেষবশতঃ এ আইন করা হয়েছে। কারণ এ বিষয় এমন নয় যে, ব্রিটিশরা মেয়েদের ১৮ বছরের নিচে এবং ছেলেদের ২১ বছরের নিচে যারা তাদের একান্তবাস সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করছে। বরং তারা আরো উৎসাহিত করছে। তারা স্কুলেই ছেলেমেয়েদের কনডম তথা জন্মনিরোধক ব্যবহার করে কথিত নিরাপদ ও একান্তবাসের শিক্ষা দিচ্ছে। এরপরেও তাদের দেশে লাখ লাখ কুমারী মা তৈরি হচ্ছে। আর সেসব কুমারী মাকে তারা ঠিকই স্বীকৃতি দিচ্ছে। এমনকি সেসব অবৈধ সন্তানকেও স্বীকৃতি দিচ্ছে। কিন্তু স্বীকৃতি দিচ্ছে না বিয়েকে। অর্থাৎ হালালকে বন্ধ করে তারা হারামের দরজাই খুলে দিয়েছে। মূলতঃ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরোধিতা করার জন্যই এ আইন করেছে। 

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, এক্ষেত্রে স্মরণীয় যে, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তিনি স্বয়ং নিজেই হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর সাথে উনার ৬ বছর বয়স মুবারকে আক্বদ্‌ মুবারক সম্পন্ন করেছিলেন ও ৯ বছর বয়স মুবারকে ঘরে তুলে নিয়েছিলেন। তাহলে কি আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর পিতা হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাদের গণতান্ত্রিক নিয়ম-নীতি অনুযায়ী দণ্ডনীয় হবেন? (নাঊযুবিল্লাহ্‌ মিন যালিক)। যা কেউ কল্পনা করলেও কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে।


মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ব্রিটিশরা স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব নূরে মুজাস্‌সাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে দোষী সাব্যস্ত করা ও উনাকে দণ্ডনীয় অপরাধে অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত করার জন্য ইসলামী আইন বাতিল করে এই আইন ইসলামের নামে চাপিয়ে দিয়েছে। যা মানা ও বিশ্বাস করা কাট্টা কুফরী ও জাহান্নামী হওয়ার জন্য যথেষ্ট। ব্রিটিশদের এই আইন যদি কোন মুসলমান মেনে নেয় তাহলে সে কি করে ঈমানদার থাকতে পারে?

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “কোন মু’মিন নর-নারীর জন্য জায়িয হবে না- আল্লাহ পাক এবং তাঁর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে ফায়সালা করেছেন, সেই ফায়সালার মধ্যে স্বীয় মত পেশ করে। (যে ব্যক্তি স্বীয় মত পেশ করলো, সে নাফরমানী করল) আর যে আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাফরমানী করে, সে প্রকাশ্য গুমরাহীতে গুমরাহ হয়ে যাবে।” (সুরা আহ্‌যাব-৩৬)

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আমল কিংবা ফায়সালাকৃত বিষয় সম্পর্কে বিন্দু থেকে বিন্দুতম যে চু-চেরা, কিল-কাল করবে সে মুসলমান থেকে খারিজ হয়ে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হয়ে যাবে।