সুওয়াল: মহিলারা ঈদের
নামায পড়তে
পারবে কিনা?
জাওয়াব: মহিলাদের জন্য ঈদ ও জুমুয়ার নামায নেই। কারণ, ঈদ ও জুমুয়ার নামাযের জন্য জামায়াত শর্ত। হানাফী মাযহাব মতে, ইমাম ব্যতীত কমপক্ষে তিনজন মুছল্লী থাকতে হবে। অন্যথায় ঈদ ও জুমুয়া আদায় হবে না।
আর ফতওয়া হচ্ছে, মহিলাদের জন্য ঈদ হোক, জুমুয়া হোক, পাঞ্জেগানা হোক, তারাবীহ্ হোক কোন নামাযেই জামায়াতে আদায় করার জন্য মসজিদ ও ঈদগাহে যাওয়া জায়িয নেই। তা আম ফতওয়া মতে মাকরূহ তাহরীমী আর খাছ ফতওয়া মতে কুফরী।
জাওয়াব: মহিলাদের জন্য ঈদ ও জুমুয়ার নামায নেই। কারণ, ঈদ ও জুমুয়ার নামাযের জন্য জামায়াত শর্ত। হানাফী মাযহাব মতে, ইমাম ব্যতীত কমপক্ষে তিনজন মুছল্লী থাকতে হবে। অন্যথায় ঈদ ও জুমুয়া আদায় হবে না।
আর ফতওয়া হচ্ছে, মহিলাদের জন্য ঈদ হোক, জুমুয়া হোক, পাঞ্জেগানা হোক, তারাবীহ্ হোক কোন নামাযেই জামায়াতে আদায় করার জন্য মসজিদ ও ঈদগাহে যাওয়া জায়িয নেই। তা আম ফতওয়া মতে মাকরূহ তাহরীমী আর খাছ ফতওয়া মতে কুফরী।
অতএব, মহিলারা ঈদের
নামাযে গেলে
কঠিন গুনাহে
গুনাহ্গার হবে। (এ ব্যাপারে
বিস্তারিত জানতে হলে আল বাইয়্যিনাত
১১তম সংখ্যা
পাঠ করুন,
সেখানে প্রায়
৬৫টি দলীল
পেশ করা
হয়েছে।
[দলীলসমূহঃ উমদাতুল ক্বারী
শরহে বুখারী,
দুররুল মুখতার,
ফতওয়ায়ে তাতারখানিয়া,
খুলাছাতুল ফতওয়া, ফতুহুল ক্বাদীর, আলমগীরী]
সুওয়াল: ঈদের রাতের
ফযীলত কি?
জাওয়াব: বছরে পাঁচ রাতে দোয়া বিশেষভাবে কবুল হয়। তার মধ্যে দু’ঈদের দু’রাত। এ রাতে জাগ্রত থেকে ইবাদত-বন্দেগী, তাসবীহ পাঠ, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, দুরূদ শরীফ ও যিকির-আযকার করে রাত অতিবাহিত করা অতি উত্তম। দিলের নেক মকছূদসমূহ আল্লাহ পাক উনার নিকট জানালে আল্লাহ পাক তিনি তা কবুল করবেন।
জাওয়াব: বছরে পাঁচ রাতে দোয়া বিশেষভাবে কবুল হয়। তার মধ্যে দু’ঈদের দু’রাত। এ রাতে জাগ্রত থেকে ইবাদত-বন্দেগী, তাসবীহ পাঠ, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, দুরূদ শরীফ ও যিকির-আযকার করে রাত অতিবাহিত করা অতি উত্তম। দিলের নেক মকছূদসমূহ আল্লাহ পাক উনার নিকট জানালে আল্লাহ পাক তিনি তা কবুল করবেন।
হাদীছ শরীফে রয়েছে,
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
বলেন, “যে
ব্যক্তি ঈদুল
ফিতর ও
ঈদুল আযহার
রাতে জাগ্রত
থেকে ইবাদতে
মশগুল থাকবে,
যেদিন অন্য
সমস্ত দিল
মরবে, সেদিন
তার দিল
মরবে না।” এর
অর্থ হলো-
ক্বিয়ামতের দিন অন্যান্য দিল পেরেশানীতে
থাকলেও দু’ঈদের রাতে
জাগরণকারী ব্যক্তির দিল শান্তিতে থাকবে। (তবারানী
শরীফ)
সুওয়াল: ঈদের নামাযের
পূর্বে কোন
নফল ইবাদত
বা কুরআন
শরীফ তিলাওয়াত
করা যাবে
কি?
জাওয়াব: ঈদের নামাযের পূর্বে পুরুষ, মহিলা প্রত্যেকের জন্য নফল নামায আদায়, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত ইত্যাদি মাকরূহ। (মারাকিউল ফালাহ, তাহতাবী, তাতারখানিয়া)
জাওয়াব: ঈদের নামাযের পূর্বে পুরুষ, মহিলা প্রত্যেকের জন্য নফল নামায আদায়, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত ইত্যাদি মাকরূহ। (মারাকিউল ফালাহ, তাহতাবী, তাতারখানিয়া)
সুওয়াল: ঈদের নামাযের
খুৎবার পরে
মুসাফাহা করা
কি?
জাওয়াব: ঈদের নামাযের খুৎবার পর মুছাফাহা করা জায়িয। (মুসাওওয়া/ শাহ্ ওয়ালীউল্লাহ্ মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ফতওয়ায়ে আমীনিয়া)
জাওয়াব: ঈদের নামাযের খুৎবার পর মুছাফাহা করা জায়িয। (মুসাওওয়া/ শাহ্ ওয়ালীউল্লাহ্ মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ফতওয়ায়ে আমীনিয়া)
আল বাইয়্যিনাত: ২০৭তম
সংখ্যা | বিভাগ: সুওয়াল জাওয়াব