খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ
পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ
মাস উনার প্রথম দশ দিনের কসম।’
পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার
প্রথম দশদিন অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ-
একদিনের রোযা এক বৎসরের রোযার
সমান; এক রাত্রের ইবাদত পবিত্র লাইলাতুল
ক্বদর উনার ইবাদতের সমান; ঈদ উনার রাত্রিটিও
দোয়া কবুলের রাত।
তাই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ
ও মহিলাদের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে-
পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার
হক্ব আদায় করা, চুল-নখ কাটা থেকে বিরত থাকা,
রোযা রাখা, রাতে ইবাদত-বন্দেগী করা, দোয়া করা, খাছ করে ঈদ উনার রাতে
দোয়া করা আর প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কুরবানী করা
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ,
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আবু হুরায়রা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, “বান্দা-বান্দী যত ইবাদত করে
থাকে তন্মধ্যে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার প্রথম দশ দিন উনার ইবাদত মহান আল্লাহ পাক
উনার নিকট সবচেয়ে বেশি প্রিয়। প্রতিদিনের রোযা- এক বৎসর রোযার সমান; প্রতি রাত্রের ইবাদত পবিত্র শবে ক্বদর উনার রাতের ইবাদতের সমান
ফযীলতপূর্ণ।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার
থেকে বর্ণিত। আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “বান্দা-বান্দী যে সকল নেক আমল করে তন্মধ্যে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ
মাস উনার প্রথম দশ দিন উনার আমল মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট অধিক পছন্দনীয়।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
“পবিত্র আরাফা উনার (৯ পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার)
রোযা বান্দার এক বৎসর পূর্বের ও এক বৎসর পরের গুনাহসমূহ মিটিয়ে দেয়।”
অর্থাৎ যাদের পক্ষে সম্ভব পহেলা পবিত্র যিলহজ্জ
শরীফ থেকে ৯ পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ তারিখ পর্যন্ত রোযা রাখা। তা না হলে ৩টি রোযা রাখা।
আর তাও সম্ভব না হলে ৯ যিলহজ্জ শরীফ তারিখে রোযাটা রাখা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
“পাঁচ রাত্রে নিশ্চিত দোয়া কবুল হয়। পবিত্র রজব শরীফ
মাস উনার পহেলা রাত্র, পবিত্র শবে বরাত উনার
রাত্র, পবিত্র শবে ক্বদর উনার রাত্র,
দুই ঈদ মুবারক উনাদের দুই রাত্র।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আবু উমামাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত।
হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি ঈদ উনার রাতে জাগ্রত থেকে ইবাদত-বন্দেগীতে কাটাবে;
যখন সমস্ত অন্তরগুলো মৃত থাকবে তখন তার অন্তর জীবিত
থাকবে।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার প্রথম দশদিন উনার আমলের মধ্যে
আরেকটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে পবিত্র কুরবানী করা। এ প্রসঙ্গে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত।
হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আদম সন্তানগণ ইয়াওমুন নহর বা কুরবানী উনার দিন যা আমল করে তন্মধ্যে
রক্ত প্রবাহিত করা বা পবিত্র কুরবানী করা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট অধিক প্রিয়।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার প্রথম দশ দিন উনার অন্যতম একটি
আমল হচ্ছে হাত, পায়ের নখ এবং শরীরের চুল বা
পশম না কাটা। অর্থাৎ পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার চাঁদ উঠার পর থেকে পবিত্র কুরবানী
করার আগ পর্যন্ত এগুলো কাটা থেকে বিরত থাকা। এ প্রসঙ্গে উম্মুল মু’মিনীন হযরত উম্মে সালমা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যখন পবিত্র যিলহজ্জ
শরীফ মাস উনার প্রথম দশ দিন শুরু হবে, আর যারা পবিত্র কুরবানী করার নিয়ত করেছে তারা যেন চুল ও নখ না কাটে।”
উল্লেখ্য, এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে যদিও কুরবানীদাতার কথা উল্লেখ
রয়েছে, অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার
মধ্যে যারা কুরবানী করবেনা তাদের কথাও উল্লেখ আছে। অর্থাৎ যারা কুরবানী করবে অথবা করবে
না উভয়ের জন্যই এই আমল সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাজেই প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো- পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ
মাস উনার হক্ব আদায় করা, চুল-নখ কাটা থেকে
বিরত থাকা, রোযা রাখা, রাতে ইবাদত-বন্দেগী করা, দোয়া করা আর খাছ করে ঈদ উনার রাতে দোয়া করা আর প্রত্যেক সামর্থ্যবান
ব্যক্তির জন্য পবিত্র কুরবানী করা। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
“আপনার মহান রব তায়ালা উনার উদ্দেশ্যে (ঈদ উনার)
নামায আদায় করুন এবং পবিত্র কুরবানী করুন।” আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার
মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “পবিত্র কুরবানী করার
সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি পবিত্র কুরবানী করবে না; সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।”