খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ
পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া অর্থাৎ হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম! আপনারা অন্য নারীদের মতো নন।’
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা বেমেছাল শান-মান ও মর্যাদা-মর্তবার
অধিকারী।
তাই খাছভাবে মুসলমান মহিলাদের
আর আমভাবে পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে,
প্রতি ক্ষেত্রে হযরত উম্মুল
মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের
প্রতি পরিপূর্ণ হুসনে যন রাখা এবং প্রতিক্ষেত্রে উনাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা।
অনুরূপভাবে বর্তমানে যে মহিলা
হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে
উত্তমভাবে অনুসরণ-অনুকরণ করেন উনাকেও অনুসরণ-অনুকরণ করা।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ,
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা
একদিকে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছাহাবী। আরেকদিকে
উনারা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহাল তথা আহলে বাইত,
উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সর্বোপরি উনারা হচ্ছেন হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র আহলিয়া বা আযওয়াজে মুত্বাহহারাত।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
মু’মিনদের নিকট তাঁদের জানের
চেয়ে প্রিয়। আর উনার পবিত্র আযওয়াজ বা আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হলেন তাঁদের
(মু’মিনগণের) মাতা।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যার কারণে অন্যান্য পরহেযগার-মুত্তাক্বী মহিলাগণের চেয়ে উনাদেরকে
অসংখ্য-অগণিত নিয়ামত, মর্যাদা, মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত প্রদান
করা হয়েছে। যা স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা প্রদান করেছেন। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার
কালাম পাক-এ ইরশাদ করেন, “হে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যারা আহলিয়া অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম! আপনারা অন্য নারীদের মতো নন।”
(সূরা আহযাব : আয়াত শরীফ ৩২) এ আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায়
বিশ্ববিখ্যাত ও সর্বজনমান্য তাফসীরের কিতাব “তাফসীরে মাযহারী”-এর ৭ম খন্ডের ৩৩৬ পৃষ্ঠায়
উল্লেখ আছে- “হে উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম! আপনারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সহধর্মিনী হওয়ার কারণেই মর্যাদা, মর্তবা, ফযীলতের দিক থেকে
কোনো মহিলাই আপনাদের সমকক্ষ নয়। .... হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি
(আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায়) বলেন, আপনাদের মর্যাদা,
মর্তবা, ফাযায়িল, ফযীলত অন্যান্য সতী-সাধ্বী
মহিলাগণ উনাদের মতো নয়। বরং আপনাদের সম্মান-মর্যাদা, ফাযায়িল-ফযীলত, অধিক পুণ্য ও প্রতিদান আমার নিকটে অধিক মর্যাদা সম্পন্ন, অনেক ঊর্ধ্বে। এ আয়াত শরীফ-এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে,
সমস্ত মহিলাগণ উনাদের উপরে আপনাদের অধিক মর্যাদা,
মর্তবা, ফাযায়িল, ফযীলত রয়েছে।”
(অনুরূপভাবে তাফসীরে খাযিন ৫ম খন্ডের ২৫৭ পৃষ্ঠা,
তাফসীরে বাগবী ৫ম খন্ডের ২৫৭ পৃষ্ঠা, তাফসীরে মাদারিকুত তানযীল ৩য় খন্ডের ৪৬৫ পৃষ্ঠা এবং অন্যান্য
সকল নির্ভরযোগ্য তাফসীর গ্রন্থে আলোচনা রয়েছে।)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, থালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি আরো বলেন-
“হে আহলে বাইতগণ! খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক
তিনি চান আপনাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং আপনাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।”
(সূরা আহযাব : আয়াত শরীফ ৩৩) এ আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায়
“তাফসীরে মাযহারী”-এর ৭ম খন্ডের ৩৩৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে- “হযরত ইকরামা ও মুক্বাতিল রহমতুল্লাহি আলাইহিমা উনারা বলেন,
আয়াত শরীফ-এ ‘আহলে বাইত’ দ্বারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া অর্থাৎ হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে।”
“তাফসীরে ইবনে কাছীর”-এর ৩য় খন্ডের ৭৬৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “এ আয়াত শরীফ এটাই প্রমাণ করে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার আহলিয়া অর্থাৎ হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা
আহলে বাইত উনাদের অন্তর্ভুক্ত।”
কাজেই, প্রত্যেক উম্মতের জন্য, প্রত্যেক মু’মিন-মুসলমানের জন্য হযরত উম্মুল
মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে
মুহব্বত করা, উনাদের প্রতি সুধারণা পোষণ
করা এবং উনাদেরকে অনুসরণ করা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর নির্দেশ তথা ফরযের অন্তর্ভুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি দ্বীন ইসলামের যাবতীয় হুকুমগুলো উনার সম্মানিত পুরুষ ও মহিলা ছাহাবীগণ উনাদের
মাধ্যমে বাস্তবে পালন করিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। যাতে পরবর্তী উম্মত সে হোক পুরুষ আর হোক
মহিলা কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করার সুযোগ না পায়। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি
ইরশাদ করেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ।”
কাজেই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার সেই আদর্শ মুবারক-এর বাস্তব প্রতিফলন হচ্ছেন উনার সোয়া লক্ষ ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুমগণ। যাঁদের মধ্যে বিশেষভাবে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান
আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনারা পরবর্তী উম্মতের ঈমান-আক্বীদা, আমল-আখলাকের জন্যে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদেরকে
অনুসরণ-অনুকরণ করতে বলেছেন এবং যারা অনুসরণ করবে কেবল তারাই হিদায়েত লাভ করবে এবং খালিক্ব
মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের
উভয়ের সন্তুষ্টি লাভ করবে। এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ
করেন, “লোকেরা যদি হযরত ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মতো ঈমান আনে তবেই তারা হিদায়েত লাভ করবে।”
তিনি আরো ইরশাদ করেন, “যারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম উনাদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণ করবে তাদের
প্রতি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সন্তুষ্ট।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহিলাগণ কাকে অনুসরণ করবে? মূলত মহিলাদের জন্য অনুসরণীয় হলেন হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলে বাইত আলাইহিন্নাস সালাম ও হযরত মহিলা ছাহাবিয়াহ আলাইহিন্নাস
সালাম। কারণ হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাই
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একান্ত ছোহবত ও তা’লীমের মাধ্যমে মহিলাদের বিষয়গুলো
বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। যার কারণে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার উপস্থিতিতে হযরত মহিলা ছাহাবী আলাইহিন্নাস সালাম উনারা নিজস্ব অনেক বিষয় সম্পর্কে
জানার জন্য হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের
শরণাপন্ন হতেন। পরবর্তীতে হযরত মহিলা তাবিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিন্নাগণ উনাদের খিদমতে
হাযির হতেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহিলারা কিভাবে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করবে, তারা কোন বিষয়ে কিভাবে ইলম অর্জন করবে, কি আমল করবে, কেমন পর্দা করে চলবে, কি ধরনের পোশাক পরিধান
করবে, তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য কি
ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ের আদর্শ রেখে গেছেন হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম আহলে বাইত আলাইহিন্নাস সালাম ও মহিলা
ছাহাবিয়াহ আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। তাই প্রত্যেক মুসলমান মহিলার জন্য ফরয ওয়াজিব হচ্ছে-
প্রতি ক্ষেত্রে উম্মুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা। অনুরূপভাবে
বর্তমানে যে মহিলা উনাদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণ-অনুকরণ করেন উনাকে অনুসরণ-অনুকরণ করা।
কেননা উনারা হচ্ছেন মহিলাদের মধ্যে নায়িবে রসূল এবং উলিল আমর। এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক
রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদার (পুরুষ-মহিলা) তোমরা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ
পাক উনার রসূল এবং উলিল আমরগণ উনাদেরকে অনুসরণ করো।”