নোটিশ

বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৪

পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনোই জন্মাষ্টমী, বৌদ্ধপূর্ণিমা বা ক্রিস্টমাস ডে থেকে আসে নি


ধর্মব্যবসায়ী, আশাদ্দুদ দরজার জাহিল উলামায়ে সূরা এবং টিভি চ্যানেলে বলেছে, জন্মাষ্টমী, বৌদ্ধপূর্ণিমা, যিশুর জন্ম দিনের মত ঈদে মীলাদুন নবী নামে বিধর্মীয় সংস্কৃতি পালন করা হচ্ছে । নাঊযুবিল্লাহ!

এর জাওয়াব হলো- উলামায়ে সূদের উক্ত বক্তব্য হাদীছ শরীফ-এর সরাসরি মুখালিফ বা বিরোধী হওয়ার কারণে কাট্টা কুফরী হয়েছে। কারণ হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه انه مر مع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لا بنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك.
অর্থ: হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তান-সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন
এবং বলছেন, এই দিবস অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে তাশরীফ এনেছেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথায় উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য রহমতের দরজা উমুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতা তোমাদের জন্য মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ তোমাদের মত এরূপ কাজ করবে, তোমাদের মত উনারাও রহমত ও মাগফিরাত লাভ করবে এবং নাজাত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা- ৩৫৫)

অতএব, উলামায়ে  সূদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলতে হয় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করলে অর্থাৎ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করলে যদি বিধর্মীয় সংস্কৃতি পালন করা হয় তাহলে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ কি তা করেছেন? নাঊযুবিল্লাহ! আর উনারা সেটা করেছেন বললে কি ঈমান থাকবে? বলার অপেক্ষা রাখে না, আদৌ ঈমান থাকবে না। বরং কাট্টা কাফির ও চিরজাহান্নামী হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, উলামায়ে সূদের উক্ত বক্তব্য মুতাবিক পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করলে যদি সেটা জন্মাষ্টমী, বৌদ্ধপূর্ণিমা ও যিশুর জন্মদিনের মত বিধর্মীয় সংস্কৃতি পালন করা হয়, তাহলে বলতে হয় যে, স্বয়ং আল্লাহ পাকই সর্বপ্রথম সেসব বিধর্মীয় সংস্কৃতি পালন করেছেন। নাঊযুবিল্লাহ!
কেননা স্বয়ং আল্লাহ পাকই উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করেছেন এবং এ উপলক্ষে ফেরেশতাগণসহ অন্যান্যদেরকেও খুশি প্রকাশ করার জন্য হুকুম দিয়েছেন।

যেমন- এ প্রসঙ্গে বিশ্ব সমাদৃত ও সুপ্রসিদ্ধ আন নিমাতুল কুবরা আলাল আলামকিতাবে বর্ণিত রয়েছে, হাবীবুল্লাহ হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফকালে স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হুকুম বা নির্দেশে খুশি প্রকাশ করেছিলেন ফেরেশতাকুল, খুশি প্রকাশ করেছিলেন জান্নাতের অধিবাসীগণ, এমনকি খুশি প্রকাশ করেছিল বনের পশু-পাখিরাও। খুশি প্রকাশ করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত বর্ণনা করেছিলেন এবং উনার প্রতি পাঠ করেছিলেন ছলাত-সালাত ও তাসবীহ তাহলীল।সুবহানাল্লাহ!

একইভাবে মহান আল্লাহ পাক এই উম্মতের প্রতিও নির্দেশ দিয়েছেন, তারা যেন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে।
এই প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-
قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مما يجمعون
অর্থ: হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, আল্লাহ পাক ফযল-করম হিসেবে তাদেরকে যে দ্বীন ইসলাম দিয়েছেন এবং রহমত হিসেবে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসবকিছু থেকে উত্তম যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে। (সূরা ইউনুস, আয়াত শরীফ-৫৮)

অতএব, উলামায়ে সূদের উক্ত বক্তব্য আল্লাহ পাক উনার শানে এমন কাট্টা কুফরী যে, কেউ যদি তা কল্পনাও করে সে কাট্টা কাফির ও চিরজাহান্নামী হয়ে যাবে।
শুধু তাই নয়, ইসলাম ও মুসলমানদের কোন বিষয় সর্বোপরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্পৃক্ত কোন বিষয় বিধর্মী-বিজাতীয়দের সাথে তুলনা দেয়া ও দেয়ার কল্পনা করাটাই কাট্টা কাফির ও চিরজাহান্নামী হওয়ার কারণ।

আরো উল্লেখ্য, উলামায়ে সূদের উক্ত বক্তব্য হযরত ইমাম-মুজতাহিদ ও আওলিয়ায়ে কিরামগণের বিরোধী হওয়ার কারণেও কাট্টা কুফরী হয়েছে। কেননা ইমাম-মুজতাহিদ ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ সকলেই ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন। যেমন এ প্রসঙ্গে বিশ্বখ্যাত ও বিশ্বসমাদৃত আন নিমাতুল কুবরা আলাল আলামকিতাবে বর্ণিত রয়েছে- বিশিষ্ট তাবিয়ী ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قال الحسن البصرى رحمة الله عليه وَدِدْتُّ لَوْ كَانَ لِىْ مِثْلُ جَبَلِ اُحُدٍ ذَهْبًا فَاَنْفَقْتُهٗ عَلٰى قِرَاءَةِ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ: আমার একান্ত ইচ্ছা হয় যে, আমার যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকতো তাহলে তা মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ব্যয় করতাম।সুবহানাল্লাহ!

শাফিয়ী মাযহাবের ইমাম হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قَالَ اَلاِمَامُ الشَّافِعِىُّ رَحِمَهُ اللهُ مَنْ جَمَعَ لِمَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ اِخْوَانًا وَهَيَّاَ طَعَامًا وَاَخْلٰى مَكَانًا وَعَمَلَ اِحْسَانًا وَصَارَ سَبَبًا لِقِرَائَتِهٖ بَعَثَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ الصِّدِّيْقِيْنَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِيْنَ وَيَكُوْنُ فِىْ جَنَّاتِ النَّعِيْمِ.
অর্থ: যে ব্যক্তি মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন উপলক্ষে লোকজন একত্রিত করলো, খাদ্য তৈরি করলো, জায়গা নির্দিষ্ট করলো এবং তথা সুন্নাহ উত্তমভাবে তথা সুন্নাহ ভিত্তিক আমল করলো তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ পাক হাশরের দিন ছিদ্দীক্ব, শহীদ ছলিহীনগণের সাথে উঠাবেন এবং উনার ঠিকানা হবে জান্নাতে নায়ীমে।সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুত ত্বায়িফাহ হযরত জুনাইদ বাগদাদী ক্বাদ্দাসাল্লাহু সিররাহু রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قال جنيد البغدادى رحمة الله عليه مَنْ حَضَرَ مَوْلِدَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَظَّمَ قَدَرَهٗ فَقَدْ فَازَ بِالاِيْمَانِ.
যে ব্যক্তি মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আয়োজনে উপস্থিত হবে এবং উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করবে সে বেহেশতী হবে।সুবহানাল্লাহ!

সুলত্বানুল আরিফীন হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ওসায়িল ফী শরহি শামায়িলনামক কিতাবে বলেন-
قَالَ سُلْطَانُ الْعَارِفِيْنَ الْاِمَامُ جَلالُ الدِّيْنِ السُّيُوْطِىُّ قَدَّسَ اللهُ سِرَّهٗ وَنَوَّرَ ضَرِيْحَهُ فِىْ كِتَابِهِ الُمُسَمّٰى الْوَسَائِلِ فِىْ شَرْحِ الشَّمَائِلِ” مَا مِنْ بَيْتٍ اَوْ مَسْجِدٍ اَوْ مَحَلَّةٍ قُرِئَ فِيْهِ مَوْلِدُ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلا حَفَّتِ الْمَلٰئِكَةُ ذٰلِكَ الْبَيْتَ اَوِ الْمَسْجِدَ اَوِ الْمَحَلًّةَ صَلَّتِ الْمَلٰئِكَةُ عَلٰى اَهْلِ ذٰلِكَ الْمَكَانِ وَعَمَّهُمُ اللهُ تَعَالٰى بِالرَّحْمَةِ وَالرِّضْوَانِ واَمَّا الْمُطَوَقُّوْنَ بِالنُّوْرِ يَعْنِىْ جِبْرَائيلَ وَمِيْكَائِيْلَ وَاِسْرَافِيْلَ وَعَزْرَائِيْلَ عَلَيْهِمُ السَّلامُ فَاِنَّهُمْ يُصَلُّوْنَ عَلٰى مَنْ كَانَ سَبَبًا لِقَرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ: যে কোন ঘরে অথবা মসজিদে অথবা মহল্লায় মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করা হয়, সেখানে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক- উনার ফেরেশতাগণ বেষ্টন করে নেন। আর উনারা সে স্থানের অধিবাসীগণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করতে থাকেন। আর মহান আল্লাহ পাক উনাদেরকে স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টির আওতাভুক্ত করে নেন। আর নূর দ্বারা সজ্জিত প্রধান চার ফেরেশতা অর্থাৎ হযরত জিবরীল, হযরত মীকাঈল, হযরত ইসরাফীল ও হযরত আযরাঈল আলাইহিমুস সালাম মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনকারীর উপর ছলাত-সালাম পাঠ করেন।সুবহানাল্লাহ!

অতএব প্রমাণিত হলো, মহান আল্লাহ পাক- উনার মনোনীত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত ইমাম-মুজতাহিদ এবং ওলীআল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের আমলকে বিধর্মীদের কালচারের সাথে তুলনা দেয়া সুস্পষ্ট কুফরী ও জাহান্নামী হওয়ার কারণ।
উপরোক্ত কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর বর্ণনা দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত ও প্রতিভাত হয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফ দিবসকে ঈদ বা খুশির দিন হিসেবে উদযাপন করা আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ফেরেশতাগণ, ছাহাবায়ে কিরাম, ইমাম-মুজতাহিদ ও আওলিয়ায়ে কিরাম সকলেরই সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।

এখানে উল্লেখ্য, কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ সম্মত কোন আমল অন্য কোন ধর্মাবলম্বী পালন করলে যে তা মুসলমানের জন্য পালন করা যাবে না এ আক্বীদা বা বক্তব্য সম্পূর্ণ ভুল ও কুফরী।
যেমন, বিধর্মীদের অনেকে দাড়ি রাখে, সেজন্য মুসলমান কি দাড়ি রাখা ছেড়ে দিবে? কখনোই নয়। বিধর্মীদের অনেকে আবার পাগড়ি পরিধান করে যেমন- কাদিয়ানী, শিখ ও শিয়া সম্প্রদায়, সেজন্য মুসলমানগণ কি পাগড়ি পরিধান করা ছেড়ে দিবে? কস্মিনকালেও নয়। বরং মুসলমানগণ যে বিষয়টি পালন করবে সে বিষয়টি কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ সম্মত হলেই তা পালন করবে। আর কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ সম্মত না হলে তা পালন করা যাবে না।

আরো উল্লেখ্য, মুসলমানদের জন্য দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্মের কোন আমল, তর্জ-তরীক্বা বা নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কাজেই, মুসলমানরা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের অনুসরণ করে জন্মাষ্টমী, বৌদ্ধপূর্ণিমা ও যিশুর জন্ম দিনের মতো ঈদে মীলাদুন নবী পালন করছে এ বক্তব্য আদৌও শুদ্ধ নয়; বরং কাট্টা কুফরী। প্রকৃতপক্ষে বিধর্মীরাই ইসলাম ও মুসলমানদের থেকে নিয়ে অনেক বিষয়ই গ্রহণ করেছে ও করে থাকে।

অতএব, ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসলাম ও মুসলমানদের এ রহমত, বরকত, সাকীনা ও ফযীলতপূর্ণ আমলটি বিধর্মী-বিজাতীয়দের কালচারের সাথে তুলনা করা বা তুলনা দেয়াটা কাট্টা কাফির ও জাহান্নামী হওয়ার কারণ।