পৃষ্ঠাসমূহ
- যামানার ইমাম
- আজকের ক্বওল শরীফ
- সুন্নাহ শরীফ
- মুসলিম নির্যাতন
- বাতিল ফিরকা
- চিকিৎসা সহায়তা
- প্রথম-পাতা
- ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়ে যুক্তিহীন বিতর্কের অবসান
- বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক আইন
- সামরিক প্রযুক্তি
- আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও নানা শাখা-প্রশাখা
- মুসলমানদের সামনে চ্যালেঞ্জ
- সন্তানদের শিক্ষাদান পদ্ধতি
- পবিত্র আল-বাইয়্যিনাত শরীফ উনার সূচী মুবারক
মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, ‘তোমরা সকলে আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও।’ (সূরা ইমরান-৭৯)
সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১০
নায়িবে রসূল, যুগের ইমাম, মুজাদ্দিদে আ’যম তিনি এসেছেন, উনার মুবারক সান্নিধ্যে নিজেকে ধন্য করুন
আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “আমি শেষ নবী, আমার পরে আর কোন নবী নেই।” সুতরাং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে আর কোন নবী বা রসূল আসবেন না ঠিকই। তবে অবশ্যই নায়িবে নবী বা নবীর প্রতিনিধি আসবেন। উনাদের প্রসঙ্গে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে এই উম্মতের মধ্য থেকে তাদের জন্য একজন মুজাদ্দিদ প্রেরণ করবেন। যিনি দ্বীনের মধ্যে প্রবিষ্ট বিদয়াত বেশরা সংস্কার করবেন। তা দূর করবেন।” হাদীছ শরীফ-এ আরো এসেছে, “যে যামানার ইমামকে চিনলো না বা জানলো না সে যেন জাহিলিয়াতের মধ্যে মৃত্যু বরণ করল।”কাজেই এ যুগের জ্বিন-ইনসানের জন্য সুখবর। উনাদের প্রতি আল্লাহ পাক উনার খাছ রহমত, আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বেশুমার ইহসান যে, উনাদের অতিশয় দয়া এবং ইহসানে আপনার আমার সকলের জন্য হাদীছ শরীফ-এ ঘোষিত সেই যুগের ইমাম, সেই মুজাদ্দিদ, যিনি পনেরশ হিজরী শতকের শক্তিশালী মুজাদ্দিদ তিনি আগমন করছেন খোদ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রাজারবাগ শরীফ-এ। এটা আপনার আমার জন্য খোশ নসীব এবং সৌভাগ্যের ব্যাপার। কারণ তিনি তো অন্য দেশেও আসতে পারতেন। তাহলে আপনার আমার কী অবস্থা হতো? সুতরাং আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার প্রিয়তম হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের প্রতি যে অগণিত ইহসান করেছেন তার শুকরিয়া প্রকাশ করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য।আল্লাহ পাক তিনি যেটা বলেছেন, উনার প্রিয়তম হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে যে, তিনি হিদায়েতের বিনিময় চান না। ঠিক এই বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল যুগের ইমাম, যুগের মুজাদ্দিদ, তিনিও মানুষের নিকট হিদায়েত পৌঁছিয়ে তার বিনিময় চান না। আর দেরি না করে, চিন্তা-ফিকির না করে অতিসত্বর রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ নায়িব প্রতিনিধি এবং নবীজীর খাছ আওলাদ তথা বংশধর, যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদে আ’যম উনার নিকট এসে বাইয়াত গ্রহণ করে যিকির আযকার ও ছোহবত ইখতিয়ার করে ফায়েজ তাওয়াজ্জুহ হাছিল করে পরিপূর্ণ ঈমানদার এবং মু’মিনে কামিল তথা খালিছ ওলীআল্লাহ হয়ে পরকালের সৌভাগ্য হাছিল করুন।উল্লেখ্য, উনার মুবারক মাথার তালু থেকে মুবারক পায়ের তলা পর্যন্ত, উনার জীবন মুবারকের প্রত্যেকটা মুহূর্ত, প্রত্যেকটা কর্ম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নতে পরিপূর্ণ। উনার মাথা মুবারকে রয়েছে সুন্নতী সাদা রুমাল, সাদা, কালো অথবা সবুজ পাগড়ি মুবারক, সাদা রঙের চার টুকরা বিশিষ্ট সুতি কাপড়ের সুন্নতী টুপি মুবারক, গায়ে সাদা সুতি কাপড়ের সুন্নতী কোর্তা, সুন্নতী জুব্বা, পরনে সিলাই বিহীন সাদা লুঙ্গি, পা মুবারকে চামড়ার তৈরি ক্রস বেল্টের খয়েরী রঙয়ের স্যান্ডেল। শরীর মুবারকে সুন্নতী শাল বা চাদর। শোয়ার ক্ষেত্রে চামড়ার তৈরি বালিশ, যার ভিতরে খেজুর গাছের ছাল-বাকল ও ছোবড়া, পাতা। এক বিঘত উচু কাঠের তৈরি সুন্নতী চারপায়া চকি। যার উপরে সুন্নতী খেজুর পাতার চাটাই, অথবা কম্বল। চামড়ার তৈরি খয়েরী রঙয়ের দস্তরখানা, কাঠের প্লেটে খাদ্য খান, কাঠের পেয়ালায় পানি পান করেন, দুধ, চা ইত্যাদি পান করেন।সদা হাস্যোজ্জ্বল, সদালাপী, মিষ্টভাষী, নূরানী চেহারা মুবারক। যে কোন মানুষের প্রশ্নের জবাব দেন। উনার নিকট কেউ প্রশ্ন করলে তিনি কখনো বিরক্ত হন না। উনার নিকট কেউ এলে পরম মমতায় তাকে আপন করে নেন। একবার উনার মুবারক সান্নিধ্যে গেলে সে অবশ্যই উনার মুবারক ফায়েজ তাওয়াজ্জুহ হাছিল করে পর্যায়ক্রমে আল্লাহ পাক উনার ওলী হয়ে যায়। মাদরাসায় না পড়েও কোন লোক উনার মুবারক ছোহবতে গেলে উনার বেমেছাল ইলহামী আলোচনা শুনে, উনার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পড়ে বড় আলিম হয়ে যায়।আপনি মাদরাসায় পড়েননি, আপনি ফুল প্যান্ট, কোট পরেন কোন সমস্যা নেই উনার পবিত্র সান্নিধ্যের নূরে, উনার প্রদত্ত মুবারক ওযীফা পালনে অতি অল্প সময়ে আপনি সহীহ দ্বীনি ইলমে পারদর্শী হয়ে উঠবেন, সুন্নত আমলে অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন। সুতরাং আপনার উপর আল্লাহ পাক উনার রহমত এবং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইহসানের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদে আ’যম উনার মুবারক সান্নিধ্যে এসে নিজেকে ধন্য করুন।উল্লেখ্য, প্রতি শুক্রবার সুন্নতী মসজিদে তিনি মহা মূল্যবান বয়ান পেশ করেন। সোমবার বাদ মাগরিব থেকে যিকির আযকার, আল বাইয়্যিনাত পাঠ ও তালিম, নছীহত হয় এছাড়া রোববার ও বৃহস্পতিবার ব্যতীত প্রতিদিন বাদ মাগরিব খানকা শরীফ-এ তালিম অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, মহিলাদের জন্যেও রয়েছে সুসংবাদ। উনার যিনি পবিত্রা আহলিয়া, সাইয়্যিদাতুন নিসা, আফযালুন নিসা, আলিমাতুল আলাম, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা, আওলাদে রসূল আমাদের সম্মানিতা আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম। তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম উনার হাক্বীক্বী মিসদাক, উনার মুবারক সান্নিধ্যে এসে একজন জেনারেল শিক্ষিতা, বেপর্দা, বেআমল মহিলাও হতে পারেন আলিমা, হাদী, খাছ পর্দানসীন মুসলিমা, মু’মিনা তথা আল্লাহ পাক উনার ওলী। প্রতি সোমবার সকাল ১১টা থেকে আছর পর্যন্ত তা’লীম-তালকীন হয়। যামানার হক পিয়াসী মা-বোনদের প্রতি রইল আমন্ত্রণ। আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে যামানার ইমামের মুবারক সান্নিধ্যে আসার তৌফিক দান করুন। আমীন।
লেবেলসমূহ:
۞ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম ۞