নোটিশ

সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১০

হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্বপুরুষগণ সকলেই ঈমানদার ছিলেন

মহান আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিলো সিজদাকারীগণের মাধ্যমে।” (সুরা শুয়ারা-২১৯)


আলোচ্য আয়াত শরীফ-এর তাফসীরে আল্লামা ইমাম ইবনে হিব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র নূর মুবারক সিজদাকারীগণের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়েছিলো”। (সীরাতুল হালাবিয়া- ১/৪৫)“

আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পূর্বপুরুষগণ সকলেই ঈমানদার ছিলেন।” (সীরাতুল হালাবিয়া- ১/৪৫)উক্ত আয়াত শরীফ-এর তাফসীরে রঈসুল মুফাস্সিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, “আল্লাহ পাক বলেন, (হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমি আপনার অজুদ মুবারককে নবী আলাইহিস্ সালামগণের মাধ্যমে স্থানান্তরিত করে নবী হিসেবে আপনার প্রকাশ ঘটিয়েছি।”


নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার বংশধর।সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার পিতা ছিলেন সাইয়্যিদুনা হযরত তারিখ আলাইহিস সালাম। কেউ কেউ বলে যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার পিতার নাম ছিলো আযর। (নাউযুবিল্লাহ) এটা কুফরী আক্বীদা। কারণ আযর কাফির ছিলো। মূলত তাদের এ বক্তব্য সম্পূর্ণ ভুল ও অশুদ্ধ এবং কাট্টা কুফরী। কারণ সীরাতুল হালাবিয়াসহ অন্যান্য সীরাত গ্রন্থে উল্লেখ আছে-


অর্থাৎ আহলে কিতাবগণের ইজমা হয়েছে যে, আযর ছিলো হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার চাচা। আরবরা সাধারণত চাচাকে বাবা বলে সম্বোধন করতেন। যেমন খালাকে মা বলে সম্বোধন করতেন। আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম উনার ঘটনা উল্লেখ করেছেন সেখানে তিনি বলেছেন, “আমার পিতা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম।” আর ইহা সর্বজন বিদিত যে, হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন উনার চাচা। (সীরাতুল হালাবিয়া-১/৪৫)



খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, আশরাফুল আউলিয়া, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, “আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অজুদ মুবারক যাঁদের মাধ্যম দিয়ে স্থানান্তরিত হয়ে দুনিয়াতে তাশরীফ এনেছেন তাঁরা অনেকেই ছিলেন নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম। আর যাঁরা নবী-রসূল ছিলেন না তাঁরা ছিলেন নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণের নায়িব বা স্থলাভিষিক্ত। সে যামানার সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। আল্লাহ পাক-এর লক্ষ্যস্থল। সর্বশ্রেষ্ঠ পরহেযগার। সকল গুণে গুনান্বিত। আদর্শ ও অনুসরণীয় ব্যক্তি। এটাই হচ্ছে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা বা বিশ্বাস। কাজেই এর বিপরীত চিন্তা করাটাও কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।”