যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ; যা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর তথা সমস্ত কায়িনাতের হাক্বীক্বী ঈদ। কারণ এ দিন স্বয়ং হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে তাশরীফ আনেন। তাই এ ঈদ পালন করা মুসলমানদের জন্য তো অবশ্যই বরং সমস্ত কায়িনাতের জন্য ফরয-ওয়াজিব।
‘সূরা ইউনুস্থ-এ স্বয়ং আল্লাহ পাক তিনি এ ঈদ পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে আমার হাবীব! আপনি উম্মতদেরকে বলে দিন- যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল-করম ও রহমত অর্থাৎ আমাকে লাভ করার কারণে তোমাদের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য (ফরয) হচ্ছে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা।” এ আয়াত শরীফ-এ বর্ণিত ‘ফালইয়াফরাহু’ (অর্থাৎ তারা যেন ঈদ বা খুশি প্রকাশ করে) শব্দটি আদেশসূচক। আর একথা সকলেরই জানা যে, যিনি আল্লাহ পাক উনার আদেশ পালন করা বান্দার জন্য ফরয-ওয়াজিব। সুতরাং পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করাও সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সমস্ত ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ইজমা হয়েছে যে, ‘যে মাটি মুবারক আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র পা মুবারক স্পর্শ করেছে, তার মর্যাদা লক্ষ-কোটি আরশে আযীম-এর চেয়েও বেশি।’ সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে তায়াল্লুক-নিছবত থাকার কারণে মাটি মুবারক-এর যদি এত মর্যাদা-মর্তবা হয়ে থাকে, তাহলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে তারিখে, যে দিবসে, যে মাসে বিলাদত শরীফ লাভ করেছেন বা যমীনে তাশরীফ এনেছেন অর্থাৎ ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ-এর কতটুকু মর্যাদা-মর্তবা রয়েছে সেটা খুব সহজেই অনুধাবনীয়। মূলত সেদিন সমস্ত ঈদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ঈদ। সমস্ত দিনের চেয়ে বেশি সম্মানিত, ফযীলতপ্রাপ্ত দিন, তারিখ ও বার।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে, “হযরত আবু লুবাবাতা ইবনে আব্দুল মুনযির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, জুমুয়ার দিন সকল দিনের সাইয়্যিদ এবং সকল দিন অপেক্ষা আল্লাহ পাক উনার নিকট অধিক শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। এটি ঈদুল আযহার দিন ও ঈদুল ফিতরের দিন অপেক্ষাও আল্লাহ পাক উনার নিকট অধিক শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। এ দিনটিতে পাঁচটি (গুরুত্বপূর্ণ) বিষয় রয়েছে, (১) এ দিনে আল্লাহ পাক তিনি হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করেছেন, (২) এ দিনে উনাকে যমীনে প্রেরণ করেছেন, (৩) এ দিনে উনাকে বিছাল শরীফ হাদিয়া করেছেন, (৪) এ দিনটিতে এমন একটি সময় রয়েছে যে সময়টিতে বান্দা আল্লাহ পাক উনার নিকট কিছু চাইলে তিনি অবশ্যই তাকে তা দান করেন যে পর্যন্ত না সে হারাম কিছু চায় এবং (৫) এ দিনেই ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে। এমন কোন ফেরেশতা নেই, আসমান নেই, যমীন নেই, বাতাস নেই, পাহাড় নেই, সমুদ্র নেই যে জুমুয়ার দিন সম্পর্কে ভীত নয়।” (ইবনে মাযাহ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এখন কথা হচ্ছে- হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার জন্য যদি শুক্রবারের মর্যাদা রোযার ঈদ ও কুরবানীর ঈদের চেয়ে বেশি হয়; তাহলে যিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি না করলে হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকেও সৃষ্টি করা হতো না, আসমান-যমীন, লৌহ-কলম, জিন-ইনসান, জান্নাত-জাহান্নাম ইত্যাদি কোনকিছুই সৃষ্টি করা হতো না, কোনো বিশেষ সময়ও হতো না এবং ক্বিয়ামতও সংঘটিত হতো না; সেই হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর দিন, সোমবার শরীফ এবং ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ-এর ফযীলত যে শুক্রবারের চেয়ে কত লক্ষ-কোটি গুণ বেশি হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এ দিনকে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ বা সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ অর্থাৎ সকল ঈদের শ্রেষ্ঠ ঈদ বলা হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইসলাম বিদ্বেষী কাফির, মুশরিক, ইহুদী-খ্রিস্টান আর ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে ছূ’দের অপতৎপরতা ও বদ আক্বীদা প্রচারের ফলে সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম মাহে রবীউল আউয়াল শরীফ এবং সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম ও সাইয়্যিদে ঈদে আকবর সম্পর্কে আজ মুসলমানরা অজ্ঞ, উদাসীন এবং গাফিল।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মুসলমান মাত্রই ‘সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম, মাহে রবীউল আউয়াল শরীফ এবং সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর’ সম্পর্কে ইলম হাছিল করা প্রধান ফরয এবং তা পালন করাও বিশেষ ফরয। তাই আমরা অনেক পূর্ব থেকেই ‘দৈনিক আল ইহসান’-এ বিশেষ ব্যানার, মতামত, আর্টিকেল প্রকাশ করে আসছি এবং রবীউল আউয়াল শরীফ-এর সারা মাসই প্রকাশ করবো ইনশাআল্লাহ। যাতে সকলেই এ সম্পর্কে জরুরত আন্দাজ ইলম হাছিল করতে পারে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ যে দিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিলাদত শরীফ লাভ করেন সেদিনই কুল-কায়িনাত-এর সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর। যা পালন করা মুসলমানদের জন্য তো অবশ্যই বরং সমস্ত কায়িনাতের জন্য ফরয-ওয়াজিব।
----------------------------------------------
আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, ‘তোমাদেরকে যে নিয়ামত দেয়া হয়েছে তা তোমরা আলোচনা কর, প্রকাশ কর।’ (সূরা দোহা/১১)