নোটিশ

বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১০

নাবিয়্যুল উম্মী বা শ্রেষ্ঠতম নবী


কুরআন শরীফে এবং হাদীছ শরীফে বর্ণিত আন নাবিয়্যুল উম্মীদ্বারা মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ এরূপ ব্যাখ্যা করেছেন যে, রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু দুনিয়াবী কোন শিক্ষক কর্তৃক লিখা-পড়া শিখেননি সেহেতু তিনি নাবিয়্যুল উম্মীলক্ববে অভিহিত। যা তাঁর শ্রেষ্ঠ নবী এবং রসূল হওয়ার প্রমাণ। কিন্তু তার পরেও তিনি যে লিখতেন সেটা ছিল তার মুজিযা। যেমন, বুখারী শরীফের প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাকারী আল্লামা কিরমানী রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন, “এখানে উম্মী মানে এ লিখাটা হচ্ছে তাঁর মুজিযা।” (বুখারী শরীফ ২য় খণ্ড)

মুলতঃ নাবিয়্যুল উম্মীএখানে উম্মীঅর্থ সাইয়্যিদ, মূল, অভিভাবক, প্রধান, শ্রেষ্ঠ ইত্যাদি। অর্থাৎ যিনি সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস্‌ সালামগণের মূল বা যাকে ব্যতীত কোন নবী-রসূল আলাইহিমুস্‌ সালামগণই সৃষ্টি হতেন না তিনিই নাবিয়্যূল উম্মীলক্ববে ভূষিত। উপরোক্ত অর্থ ছাড়াও অভিধানে উম্মীশব্দটি ভিন্ন অর্থেও ব্যবহৃত হয় কিন্তু তা আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নবী গনের নবী, রসূল গনের রসূল, নূরে মুজাস্‌সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শানে প্রযোজ্য নয়।
স্মরণীয় যে, নবী-রসূল আলাইহিমুস্‌ সালামগণের ক্ষেত্রে কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফের এমন তাফসীর, অনুবাদ, ব্যাখ্যা করা যাবেনা যার কারণে তাঁদের শানের খিলাফ হয়। তাদের শানে চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করার অর্থই হচ্ছে তাঁদের বিরোধিতা করা; আর তাদের বিরোধিতা করা হচ্ছে স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর বিরোধিতা করা। ফলে তাদের জাহান্নাম ছাড়া আর কোন পথ নেই।
আয় আল্লাহ পাক! আমাদের সকলকে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে নাবিয়্যূল উম্মী তথা সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ছিলেন তিনি যে লিখতে জানতেন এ সম্পর্কে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সঠিক আক্বীদা রাখার তাওফীক দান করুন এবং এর খিলাফ সমস্ত কুফরী আক্বীদা থেকে হিফাযত করুন। (আমীন)