নোটিশ

বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১০

শাফিউল উমাম, নূরে মুজাস্‌সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পান পাত্র মুবারক ও মুবারক পান পদ্ধতি

হযরত ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আমাদেরকে একটি লৌহপাত যুক্ত মোটা কাঠের নির্মিত পেয়ালা বের করে দেখালেন এবং বললেন, “ছাবিত! এটা নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পেয়ালা।” (শামায়েলে তিরমিযী শরীফ)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সাইব ইবনে খাব্বাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা, তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি (খাব্বাব) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রোদে শুকনো গোশত একটি পাত্রে নিয়ে আহার করতে দেখেছি। অতঃপর তিনি পানি ভর্তি একটি মাটির পাত্রের দিকে এগিয়ে গেলেন এবং পানি পান করলেন। (আখলাকুন্‌ নবী)

হযরত হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের রেশমী ও রেশম সুতি মিশেল কাপড় পড়তে নিষেধ করেছেন। তিনি সোনা ও রূপার পাত্রে পান করা থেকেও নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, “এসব জিনিস দুনিয়া। তাদের (অর্থাৎ কাফিরদের) জন্য নির্ধারিত। আর তোমাদের জন্য আখিরাতে নির্দিষ্ট। (রিয়াদুছ্‌ ছলেহীন)

পান পদ্ধতি: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, “আমি রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যমযমের পানি পান করিয়েছি। তিনি দাঁড়িয়েই তা পান করেছেন।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)

ব্যাখ্যা: তিন প্রকার পানি দাঁড়িয়ে পান করা মুস্তাহাব। যমযম কূপ এবং ওযুর পর অবশিষ্ট পানি ও মুর্শিদ বা পীর সাহেব-এর পানকৃত অবশিষ্ট পানি।

হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাউকে দাঁড়িয়ে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন। হযরত কাতাদাহ্‌ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে জিজ্ঞাসা করলাম, দাঁড়িয়ে খানা খাওয়ার ব্যাপারে কি হুকুম? তিনি বললেন, এটা খারাপ অথবা নিকৃষ্টতর কাজ। (রিয়াদুছ ছলেহীন)

হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পানিতে ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন। একজন বললো- পাত্রে কখনো কখনো ময়লা আবর্জনা দেখা গেলে তখন কি করতে হবে? তিনি বললেন, ঢেলে ফেলে দেবে। লোকটি বলল, আমি এক নিঃশ্বাসে পান করতে তৃপ্ত হই না। তিনি বললেন, তখন মুখ থেকে পেয়ালা দূরে সরিয়ে নিবে। (রিয়াদুছ ছলেহীন)

হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পানি পান করতে তিনবার শ্বাস নিতেন। (রিয়াদুছ ছলেহীন)