নোটিশ

বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১১

মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম করা সুন্নতে উম্মত ॥ অবজ্ঞা করা কুফরী

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “মীলাদ শরীফ ক্বিয়াম করা সুন্নতে উম্মত, অবজ্ঞা করা কুফরী

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মীলাদ শরীফ মূলতঃ তিনটি শব্দের সমষ্টি যেমন-(মীলাদ) অর্থাৎ জন্মের সময়, (মাওলিদ) অর্থাৎ জন্মের স্থান এবং (মাওলুদ) অর্থাৎ সদ্য প্রসূত সন্তান অতএব সব মিলিয়ে মীলাদ শরীফের অর্থ দাঁড়ায়-সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সানা-ছীফত জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা করা তাঁর প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করা
তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এরূপ সানা-ছিফত করা, পবিত্র বিলাদতের আলোচনা করা, আল্লাহ পাক, ফেরেশতা, ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আহহুম আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম সকলেরই সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত কারণ আল্লাহ পাক কুরআন শরীফের সকল স্থানেই তাঁর হাবীব-এর প্রতি সানা-ছিফত করেছেন এবং আল্লাহ পাক তাঁর ফেরেশতাগণ সর্বদা তাঁর হাবীবের প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করছেন এবং আমাদেরকেও পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছেন

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ- সূরা আহযাব’-এর ৫৬ নম্বর আয়াত শরীফ- ইরশাদ ফরমান, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি উনার ফেরেশতা উনারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর ছলাত পাঠ করেন হে ঈমানদারগণ! তোমরাও উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ কর পাঠ করার মতোবস্তুত বান্দার প্রতি আল্লাহ পাক উনার সরাসরি নির্দেশ হচ্ছে তারাও যেন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করেন অত্যন্ত আদব শরাফত-এর সাথে

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার ছানা-ছিফত করা যেরূপ অশেষ রহমত বরকতের কারণ তদ্রপ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক নিয়ে আলোচনা করা, ছানা-ছিফত বর্ণনা করাও অসংখ্য ফযীলতের কারণ বলা হয়ে থাকে যে, ‘আল্লাহ রব্বুল আলামীন উনার কুরআন শরীফ-এর প্রত্যেকটি আয়াত শরীফ- উনার পেয়ারা হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত বা প্রশংসা করেছেনসুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মীলাদ শরীফ পাঠই হচ্ছে- প্রকৃতপক্ষে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত জীবনী মুবারক আলোচনা করা উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করা হাদীছ শরীফ- ইরশাদ হয়েছে, হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি আমার উপর একবার ছলাত পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তিনি তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, দশটি গুনাহ মাফ করবেন এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন তিরমীযী শরীফ- আরো বলা হয়েছে, “ওই ব্যক্তিই ক্বিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে নিকটে থাকবে, যে আমার প্রতি অধিক মাত্রায় ছলাত পাঠ করবে

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ পাক তিনি সূরা আলাম নাশরাহ সূরায় ইরশাদ করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার আলোচনা বা প্রশংসাকে সমুন্নত করেছিসুবহানাল্লাহ! হাদীছ শরীফ- বর্ণিত আছে যে, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যে আমার আলোচনা করবে, তার জন্য আল্লাহ পাক উনার রহমতের দরজা খুলে দেয়া হবে এবং তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হবেসুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সকলে একত্রিত হয়ে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক নিয়ে আলোচনা তথা মীলাদ শরীফ পাঠ করেছেন, উনার ছানা-ছিফত বা প্রশংসা বর্ণনা করেছেন যেমন প্রসঙ্গে কিতাবুত তানবীর সুবুলুল হুদানামক কিতাবদ্বয়ে উল্লেখ আছে, হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত যে, তিনি একদিন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ঘরে গেলেন সেখানে সকলেই ক্বিয়াম করে ছলাত ছালাম পাঠ করে নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বসালেন তখন তিনি সেখানে দেখতে পেলেন যে, হযরত আমির আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিজ সন্তানাদি আত্মীয়-স্বজনদের একত্রিত করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে আলোচনা করছেন এটা দেখে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যন্ত খুশি হলেন এবং বললেন, “হে আমির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি আপনার জন্য উনার রহমতের দ্বার উন্মুক্ত করেছেন সকল ফেরেশতা উনারা আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন আর আপনার ন্যায় এরূপ আমল যারা করবে তাঁরাও আপনার ন্যায় নাজাত পাবেসুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ- আরো বর্ণিত আছে যে, “একদিন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সেখানকার সকল লোকদেরকে উনার নিজ ঘরে একত্রিত করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ সম্পর্কে আলোচনা করেন, যা শুনে উপস্থিত সকলেই আনন্দ চিত্তে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর ছলাত-সালাম পাঠ করলেন এমন সময় হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে উপস্থিত হলেন তখন সেখানে সকলেই ক্বিয়াম করে ছলাত সালাম পাঠ করে নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বসালেন তখন তিনি উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আপনাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেলসুবহানাল্লাহ!

অতএব, হাদীছ শরীফ দুখানা দ্বারা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয় যে, স্বয়ং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা মীলাদ শরীফ-এর মজলিস করেছেন আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত মীলাদ শরীফ মাহফিলকে শুধু সমর্থনই করেননি; বরং ফযীলত বর্ণনা করে উম্মতদেরকে মীলাদ শরীফ-এর মজলিস করার জন্য উৎসাহিত করেছেন (সুবহানাল্লাহ)

কাজেই সকলে একত্রিত হয়ে আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র বিলাদতের আলোচনা করা, তাঁর প্রতি ছলাত সালাম পাঠ করা সুন্নতে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি হাদীছ শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে আরো বলেন, “তোমাদের জন্য আমার সুন্নত আমার খোলাফায়ে রাশেদীন তথা হিদায়েত প্রাপ্ত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের সুন্নত অবশ্য পালনীয়

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পূর্ববর্তী অনেক ইমাম-মুজতাহিদগণ মীলাদ শরীফ ক্বিয়ামকে জায়িয বলেছেন এবং সুন্নত আদায় করার লক্ষ্যে নিজে মীলাদ শরীফ ক্বিয়ামের মজলিস করতেন

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয় তা অবশ্যই কুরআন শরীফ হাদীছ শরীফ সম্মত কেননা কেউই প্রমাণ করতে সক্ষম হবে না যে, মীলাদ শরীফের মধ্যে যে সকল আমল রয়েছে, এর একটিও শরীয়ত বিরোধী, বরং এর প্রত্যেকটাই শরীয়সম্মত যেমন-মীলাদ শরীফের প্রথমেই পবিত্র কালামে পাক হতে তিলাওয়াত করা হয় অতঃপর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি ছলাত অর্থাৎ দরূদ শরীফ পাঠ করা হয় বরকত লাভের উদ্দেশ্যেতাওয়াল্লুদ শরীফঅর্থাৎ পবিত্র বিলাদতের বর্ণনা আলোচনা করা হয় এবং সম্মানার্থে আদব রক্ষার্থে ক্বিয়াম করে বা দাঁড়িয়ে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি সালাম পাঠ করা হয় কেননা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর প্রতি দাঁড়িয়ে সালাম পেশ করাই প্রকৃত আদব তাছাড়া এখনো মদীনা শরীফে গিয়ে দাঁড়িয়ে সালাম পেশ করতে হয় কারণ আল্লাহ পাক ঈমানদারদেরকে তাঁর হাবীবের প্রতি ছলাত সালাম পাঠ করার আদেশ দিয়েছেন এরপর সওয়াব রেসানী করে দোয়া মুনাজাত করা হয়

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পরবর্তী ইমাম-মুজতাহিদ আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিগণ (বর্তমানে আমরা যে পদ্ধতিতে মীলাদ শরীফ পাঠ করে থাকি) মীলাদ শরীফ ক্বিয়ামের এরূপ পদ্ধতি নির্ধারণ করেন উদ্দেশ্য হলো-যেন সকলেই অল্প সময়ের মধ্যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছানা-ছিফত করতে তাঁর প্রতি দরূদ সালাম পাঠ করতে পারেন

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ আলোচনা করা, উনার ছানা-ছিফত বা প্রশংসা তথা মীলাদ শরীফ পাঠ করা আল্লাহ পাক উনার হাবীব উনাদের উভয়ের তরফ থেকে নাজাত শাফায়াত এবং চির সন্তুষ্টি লাভেরও অন্যতম কারণ
মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যে মীলাদ শরীফের অস্তিত্ব আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যামানায় ছিলো সে মীলাদ শরীফ পাঠকারীকে বিদয়াতী বলা বা মীলাদ শরীফ অবজ্ঞা করা কুফরী

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- মীলাদ শরীফ নতুন কোনো বিষয় নয়; বরং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই মীলাদ শরীফ-এর মজলিস করেছেন- যা অসংখ্য হাদীছ শরীফ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত সেহেতু অসংখ্য আলিম, মুহাদ্দিস, মুফাসসির, ফক্বীহ, বুজুর্গ ইমাম, মুজতাহিদ আওলিয়ায়ে কিরামগণ করেছেন যার ফলশ্রুতিতে পৃথিবীর প্রায় অধিকাংশ মুসলমান মীলাদ-ক্বীয়াম করেন এবং এটাকে উত্তম মনে করেন সুতরাং মীলাদ-ক্বিয়াম করা শরীয়তে সম্পূর্ণ জায়িয বরং সুন্নতে সাহাবা সুন্নাতে উম্মত বা মুস্তাহসান কাজেই মীলাদ-ক্বিয়ামকে বিদয়াত নাজায়িয বলা গোমরাহী অজ্ঞতার নামান্তর অতএব, মীলাদ শরীফকে অস্বীকার করা মূলত হাদীছ শরীফকে অস্বীকার করার নামান্তর যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত