যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পিতা-মাতা জীবিত থাকতেই হক্কানী মুর্শিদ ক্বিবলার নিকট বাইয়াত হওয়া সকলের জন্য একান্ত জরুরী।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, প্রত্যেক পিতা-মাতার কর্তব্য কোন হক্কানী মুর্শিদ ক্বিবলা গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ শিক্ষা করা আর তাদের দায়িত্ব তারা স্বীয় সন্তানদের যেভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে দেয়, ঠিক অনুরূপ কোন হক্কানী-রব্বানী মুর্শিদ ক্বিবলার দরবার শরীফে পৌঁছে দেয়া।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আজকাল অনেক লোক কিল্লতে ইলম কিল্লতে ফাহম অথ্যাৎ কম জ্ঞান, কম বুঝের কারণে মনে করে, পিতা-মাতা জীবিত থাকাকালীন অথবা পিতা-মাতার অনুমতি ব্যতীত কোন মুর্শিদ ক্বিবলা গ্রহণ করা যাবে না। কিন্তু এটি একটি অবান্তর প্রশ্ন যার সাথে শরীয়তের কোনই মিল নেই। হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে, ইলম অর্জন করা ফরয। অন্য হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে, ইলম দু’প্রকার। (১) ইলমে ফিক্বাহ (২)ইলমে তাছাউফ।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইলমে তাছাউফ শিক্ষা করা ও মুর্শিদ ক্বিবলা গ্রহণ করা ফরয। জরুরত আন্দাজ ইলমে ফিক্বাহ শিক্ষা করাও ফরয। ইলমে ফিক্বাহ শিক্ষা করার জন্য প্রত্যেকের পিতা-মাতা অথবা মুরুব্বীরাই তাদের সন্তানদের কেমাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে থাকেন। এটা হলো শরীয়তের অর্ধেক ইলম। কারো যদি পিতা-মাতা অথবা মুরুব্বী জীবিত না থাকে তাহলে তার পক্ষে ইলমে ফিক্বাহ শিক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। ইলম শিক্ষা করা অবস্থায় থাকা, খাওয়া, পরা ইত্যাদি জরুরত আছে। তদ্রুপ ইলমে তাছাউফ শিক্ষা করার সময় পিতা-মাতা জীবিত থাকা দরকার আছে।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এটাই যদি সত্য হয় যে, পিতা-মাতা অথবা মুরুব্বী জীবিত অবস্থায় ইলমে তাছাউফ শিক্ষা করা যাবে না তাহলে যে সন্তানেরা পিতা-মাতা জীবিত থাকা অবস্থায় মারা গেল তাদের পক্ষে ইলমে তাছাউফ শিক্ষা করা সম্ভব হলো না তারা একটি ফরজ থেকে মাহরূম রয়ে গেল এবং যারা বেঁচে রইল তাদের ইলমে তাছাউফ শিক্ষার জন্য পিতা-মাতার মৃত্যু কামনা করতে হবে। অথচ এটা একটি শক্ত গুনাহর কাজ।
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উল্লেখ করেন যে, হালাল কামাই করা ফরয। হালাল কামাই করার জন্য মানুষ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে অথবা কোন কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়। এই শিক্ষা গ্রহণ করার সময়ও পিতা-মাতার জীবিত থাকার দরকার আছে। যাদের পিতা-মাতা জীবিত থাকে না তাদের পক্ষে উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করা সাধারণত সম্ভব হয় না। এর যথেষ্ট প্রমাণ আছে। আর যা ব্যতিক্রম তা সম্পর্কে বলা হয়, নগণ্য ধর্তব্য নয়।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যে কোন কাজ করার পূর্বে পিতা-মাতার অনুমতি নিয়েই করা বরকতের কারণ। সেজন্য যে বিষয়ে পিতা-মাতার জ্ঞান নেই, সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করার জরুরত নেই। আল্লাহ পাক বলেছেন, যদি তোমরা না জান তাহলে যারা জানেন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নাও। হ্যাঁ, আর যদি কারো পিতা-মাতা, পীর, বুযুর্গ, ওলীআল্লাহ অথবা হক্বানী আলিম হন তাহলে জিজ্ঞেস করে নিতে হবে। যার পিতা-মাতার ইলম-কালাম নেই তাদের যদি মুর্শিদ ক্বিবলা গ্রহণ সম্পর্কে জানান হয় এবং যদি তারা অনুমতি দেন তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। আর যদি পিতা-মাতা মুর্শিদ ক্বিবলা গ্রহণ করতে নিষেধ করেন তা কি মানতে হবে? অবশ্যই নয়। সেটাই আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেছেন, “যদি তারা তোমাদের শরীক করার জন্য আদেশ করেন যে বিষয়ে তাদের জ্ঞান নেই তাহলে তাদের অনুসরণ করো না।” দুনিয়াতে তাদের সাথে সৎভাবে জীবন-যাপন কর।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এই আয়াত শরীফের দ্বারা এটাই বুঝা যায় যে, পিতা-মাতা যদি কোন হুকুম করেন আর তা যদি শরীয়তসম্মত তা হয় তাহলেই পালন করা যাবে। আর যদি শরীয়তের খেলাফ হয় তবে তা অবশ্যই পালন করা যাবে না।