মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা যমীনে যা পবিত্র ও হালাল তা থেকে খাও।নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, শরীরের যে গোশতের টুকরা হারাম ও অপবিত্র খাদ্য দ্বারা পয়দা হয়েছে তার জন্য জাহান্নামই যথেষ্ট। ইবাদত ও দোয়া কবুলের পূর্ব শর্ত হচ্ছে পবিত্র ও হালাল খাদ্য। তাই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- ফান্টা, মেরিন্ডা, পেপসি, স্প্রাইট, সেভেন আপ ,কোকাকোলা ইত্যাদি সর্বপ্রকার কোল্ড ড্রিংকস ও এনার্জি ড্রিংকস পান করা থেকে বিরত থাকা। কারণ এসবগুলোর মধ্যেই রয়েছে অ্যালকোহল বা মদ। যা খাওয়া মুসলমানদের জন্য সম্পূর্ণরূপে হারাম।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সুলত্বানুল নাছীর, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, খালিক্ব মালিক রব আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক-এ একাধিক আয়াত শরীফ নাযিল করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, বান্দারা যেন হালাল ও পবিত্র রিযিক গ্রহণ করে আর হারাম ও অপবিত্র রিযিক পরিহার করে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যেসব পবিত্র হালাল রিযিক দিয়েছি, তা হতে তোমরা ভক্ষণ কর।” তিনি অন্যত্র আরও ইরশাদ করেন, “হালাল বা পবিত্র বস্তু থেকে ভক্ষণ কর এবং নেক কাজ কর।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি তিনি ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র ও হালাল খাদ্য গ্রহণ করবে, সুন্নত অনুযায়ী আমল করবে এবং তার অসদাচরণ থেকে মানুষ নিরাপদ থাকবে সে বেহেশতে প্রবেশ করবে।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সকলকেই সর্বদা হালাল রিযিক বা খাদ্য কামাই করতে হবে বা খেতে হবে। কারণ এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে মানুষেরা! তোমরা যমীনে যা হালাল ও পবিত্র তা থেকে খাও আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কর না। নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।”
আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “অন্যান্য ফরযের পর হালাল কামাই করা বা খাওয়া ফরয।”
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “ওই দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম ও অপবিত্র গেজা বা খাদ্য দ্বারা তৈরি হয়েছে।”
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “শরীরের যে গোশতের টুকরাটি হারাম ও অপবিত্র খাদ্যের দ্বারা তৈরি হয়েছে, তার জন্য জাহান্নামের আগুনই যথেষ্ট।”
‘ইবনে হাব্বান’ নামক হাদীছ শরীফ-এর কিতাবে বর্ণিত হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “মানব দেহের যে রক্ত-গোশত হারাম মাল দ্বারা গঠিত হয়েছে তা কখনও বেহেশতে প্রবেশ করবে না বরং তা দোযখের উপযুক্ত।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইহুদী, নাছারা, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী, মুশরিকগুলো মুসলমানদের চির শত্রু। তারা চায় ছলে-বলে-কৌশলে মুসলমানদেরকে জাহান্নামী করতে। যেহেতু তারা জানে যে, মুসলমানদের ইবাদত ও দোয়া কবুল হওয়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে- হালাল গেজা বা খাদ্য। হারাম খাদ্য জাহান্নামী হওয়ার কারণ। তাই তারা খাদ্যদ্রব্যে সুকৌশলে হারাম যেমন অ্যালকোহল বা মদ, শূকরের চর্বি, গো-চনা, গোবর ইত্যাদি মিশ্রিত করে মুসলমান দেশে রফতানি করে। যাতে মুসলমানগণ সেগুলো খেয়ে তাদের ঈমানী কুওওয়াত কমে যায়, রুহানীয়ত নষ্ট হয়ে যায়। ইবাদত-বন্দেগী, দোয়া কবুল না হয় এবং জাহান্নামী হয়। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কাফিরদের উৎপাদিত যেসকল পণ্যদ্রব্যে হারাম মিশ্রিত আছে; তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সফট ড্রিংকস বা কোমল পানীয় অর্থাৎ ফান্টা, মেরিন্ডা, পেপসি, স্প্রাইট, সেভেন আপ, কোকাকোলাসহ সর্বপ্রকার কোল্ড ড্রিংকস ও এনার্জি ড্রিংকস। যার সবগুলোতেই রয়েছে অ্যালকোহল বা মদ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যারা বলে অ্যালকোহল ৫% অথবা এর চেয়ে কম হলে জায়িয রয়েছে। তাদের একথা সম্পূর্ণই ভুল। শরীয়তের ফতওয়া হচ্ছে অ্যালকোহল বা মদ এক কাতরা খাওয়াও হারাম। তাতে নেশা হোক বা না হোক। এখন কেউ যদি এক বোতল মদ খাওয়ার পরও তার নেশা না হয় তাই বলে কি তার জন্য তা জায়িয হবে? কস্মিনকালেও না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- ইবাদত ও দোয়া কবুলের পূর্ব শর্ত হচ্ছে পবিত্র ও হালাল খাদ্য। তাই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- ফান্টা, মেরিন্ডা, পেপসি, স্প্রাইট, সেভেন আপ, কোকাকোলা ইত্যাদি সর্বপ্রকার কোল্ড ড্রিংকস ও এনার্জি ড্রিংকস পান করা থেকে বিরত থাকা। কারণ এসবগুলোর মধ্যেই রয়েছে অ্যালকোহল বা মদ। যা খাওয়া মুসলমানদের জন্য সম্পূর্ণরূপে হারাম।