যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কুরআন শরীফ-এর ‘সূরা দুখান’-এ শবে বরাতকে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ বা বরকতময় রাত বলা হয়েছে। আর হাদীছ শরীফ-এ ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান’ বা ‘মধ্য শা’বানের রাত্র’ অর্থাৎ ১৪ তারিখ দিবাগত রাত্র বলা হয়েছে। এটাই মূলত সারাবিশ্বে শবে বরাত হিসেবে মশহুর। এ রাত মুসলমানগণের দোয়া কবুলের রাত, ক্ষমা বা মাগফিরাতের রাত, তওবা কবুলের রাত, বিপদ-আপদ থেকে নাযাত পাওয়ার রাত এবং এক বছরের হায়াত ও রিযিকের ফায়সালার রাত। (সুবহানাল্লাহ)
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, শবে বরাত বিরোধীরা বলে ও প্রচার করে থাকে যে, কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ-এর কোথাও শবে বরাত শব্দ নেই”- শবে বরাত বিরোধীদের এরূপ জিহালতপূর্ণ বক্তব্য ও মন্তব্যের জবাবে বলতে হয় যে, শবে বরাত শব্দ দুটি যেরূপ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর কোথাও নেই তদ্রূপ নামায ও রোযা শব্দ দুটিও কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর কোথাও নেই। এখন শবে বরাত বিরোধী লোকেরা কি নামায ও রোযা শব্দদ্বয় কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ না থাকার কারণে ছেড়ে দিবে? মূলত শবে বরাত, নামায, রোযা ইত্যাদি শব্দগুলো ফার্সী ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ফার্সীতে শব অর্থ রাত্রি, আর বরাত অর্থ ভাগ্য বা মুক্তি অর্থাৎ ভাগ্য রজনী বা মুক্তির রাত। তাই তা কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ নেই। কারণ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর ভাষা হচ্ছে আরবী।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মূলতঃ শবে বরাত এবং এর ফযীলত কুরআন শরীফের আয়াত শরীফ ও অসংখ্য হাদীছ শরীফের দ্বারা প্রমাণিত। কুরআন শরীফে শবে বরাতকে ‘লাইলাতুম্ মুবারকাহ’ বা বরকতময় রাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর হাদীছ শরীফে ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান’ বা শা’বান মাসের মধ্য রাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কিত আয়াত শরীফ উল্লেখ করে মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আল্লাহ পাক তাঁর কালাম পাকে ইরশাদ করেন, “হা-মীম! (এটি হুরূফে মুক্বাততায়াত। এর অর্থ আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই বেহতর জানেন এবং ঐ সকল বান্দাগণ জানেন যাঁদেরকে আল্লাহ পাক কিংবা আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জানিয়েছেন।) শপথ প্রকাশ্য কিতাবের, নিশ্চয়ই আমি কুরআন শরীফ নাযিল করেছি (অর্থাৎ নাযিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি) এক বরকতময় রাত্রিতে। নিশ্চয়ই আমিই ভীতি প্রদর্শনকারী। আমারই নির্দেশক্রমে উক্ত রাতে প্রতিটি প্রজ্ঞাসম্পন্ন বিষয় ফায়সালা করা হয়। নিশ্চয়ই আমি প্রেরণকারী। আপনার রবের পক্ষ হতে রহমত। নিশ্চয়ই তিনিই সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।” (সূরা দুখান/১-৬)
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কেউ কেউ কম জ্ঞান, কম বুঝের কারণে বলে থাকে যে, সূরা দুখান-এর উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা শবে ক্বদরকে বুঝানো হয়েছে। কেননা উক্ত আয়াত শরীফ-এ সুস্পষ্টরূপে উল্লেখ আছে যে, আমি কুরআন শরীফ নাযিল করেছি...... আর কুরআন শরীফ যে ক্বদরের রাত্রিতে নাযিল করা হয়েছে তা সূরা ক্বদরেও” উল্লেখ আছে।” মূলত যারা এরূপ মন্তব্য করে থাকে তারা সূরা দুখান-এর এই আয়াত শরীফ-এর সঠিক ব্যাখ্যা (তাফসীর) না জানার কারণেই করে থাকে।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এ আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায় হযরত মুফাসসিরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম, বিশেষ করে রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি লাইলাতুম মুবারাকাহ অর্থাৎ বরকতময় রাত্রি বলতে মধ্য শাবান মাসের রাত অর্থাৎ শবে বরাতকে বুঝিয়েছেন। আল্লাহ পাক তিনি এ রাতে সকল প্রজ্ঞাসম্পন্ন বিষয়ের ফায়সালা করে থাকেন। (ছফওয়াতুত তাফাসীর)
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যে সূরা দুখান-এ বলেন, আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন শরীফ নাযিল করেছি”-এর ব্যাখ্যামূলক অর্থ হলো, আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন শরীফ নাযিলের ফায়ছালা করেছি।” আর সূরা ক্বদর-এ যে বলেছেন, আমি ক্বদরের রাত্রিতে কুরআন শরীফ নাযিল করেছি” এর ব্যাখ্যামূলক অর্থ হলো, আমি ক্বদরের রাত্রিতে কুরআন শরীফ নাযিল করি।” অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক লাইলাতুম মুবারাকাহ বা শবে বরাতে কুরআন শরীফ নাযিলের সিদ্ধান্ত নেন আর শবে ক্বদরে তা নাযিল করেন।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত মুফাসসিরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা শবে বরাতকে “ফায়সালার রাত্র” আর শবে ক্বদরকে জারি করার রাত্র বলে অভিহিত করেছেন। কেননা শবে বরাতে যে সকল বিষয়ের ফায়সালা করা হয় তা সূরা দুখান-এর আয়াত শরীফ-এই উল্লেখ আছে। যেমন, ইরশাদ হয়েছে, উক্ত রজনীতে সকল প্রজ্ঞাময় কাজগুলো ফায়সালা করা হয়।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এর মধ্যেও উক্ত আয়াত শরীফ-এর সমর্থন পাওয়া যায়। যেমন হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত আছে। একদা আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! আপনি কি জানেন, লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান অর্থাৎ শবে বরাতে কি সংঘটিত হয়? তিনি বললেন, হে আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এ রাত্রিতে কি সংঘটিত হয়? আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, এ রাতে আগামী এক বৎসরে কতজন সন্তান জন্মগ্রহণ করবে এবং কতজন লোক মৃত্যুবরণ করবে তা লিপিবদ্ধ করা হয়। আর এ রাতে বান্দার (এক বৎসরের) আমলসমূহ আল্লাহ পাক উনার নিকট পেশ করা হয় এবং এ রাতে বান্দার (এক বৎসরের) রিযিক নাযিল করা হয়।” (বাইহাক্বী, ইবনে মাজাহ, মিশকাত) এছাড়াও শবে বরাত সম্পর্কে আরো বহু হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে।
হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن ام المؤمنين حضرت عائشة عليها السلام قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة فاذا هو بالبقيع فقال اكنت تخافين ان يحيف الله عليك ورسوله قلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انى ظننت انك اتيت بعض نسائك فقال ان الله تعالى ينزل ليلة النصف من شعبان الى السماء الدنيا فيغفر لاكثر من عدد شعر غنم كلب
অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম-উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সাথে কোন এক রাত্রিতে রাত্রিযাপন করছিলাম। এক সময় উনাকে বিছানা মুবারক-এ না পেয়ে আমি মনে করলাম যে, তিনি হয়তো অন্য কোন উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হুজরা শরীফে তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর আমি তালাশ করে উনাকে জান্নাতুল বাক্বীতে পেলাম। সেখানে তিনি উম্মতের জন্য আল্লাহ পাক-উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছেন। এ অবস্থা দেখে আমি স্বীয় হুজরা শরীফে ফিরে আসলে তিনিও ফিরে এসে আমাকে বললেন, আপনি কি মনে করেছেন, আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আপনার সাথে আমানতের খিয়ানত করেছেন! আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি ধারণা করেছিলাম যে, আপনি হয়তো অপর কোন হুজরা শরীফে তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি শা’বানের ১৫ তারিখ রাত্রিতে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর তিনি বনী কালবের মেষের গায়ে যতো পশম রয়েছে তার চেয়ে অধিক সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে থাকেন।” (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, রযীন, মিশকাত)
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ছিহাহ সিত্তাহর অন্যতম হাদীছ গ্রন' “ছহীহ ইবনে মাযাহ” শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যখন অর্ধ শা’বানের রাত্রি উপসি'ত হবে তখন তোমরা উক্ত রাত্রিতে নামায আদায় করবে এবং দিনে রোযা রাখবে। কেননা নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উক্ত রাত্রিতে সূর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে আসেন। অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর ঘোষণা করেন, ‘কোন ক্ষমা প্র্রার্থনাকারী আছ কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব।’ ‘কোন রিযিক প্রার্থনাকারী আছ কি? আমি তাকে রিযিক দান করব।’ ‘কোন মুছিবতগ্রস্ত ব্যক্তি আছ কি? আমি তার মুছিবত দূর করে দিব।’ এভাবে ফজর বা ছুবহে ছাদিক পর্যন্ত ঘোষণা করতে থাকেন।” (ইবনে মাযাহ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ, লুময়াত, আশয়াতুল লুময়াত)
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, এই রাতে দুনিয়ার সকল জীবের আগামী এক বছরের রুজী-রোজগার, হায়াত-মউত প্রভৃতি যাবতীয় বিষয় লিপিবদ্ধ করা হয়। এ কারণেই এ রাতের বৈশিষ্ট্য এবং ফযীলত অফুরন্ত, যা বর্ণনা করে শেষ করা সম্ভব নয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কে অসংখ্য হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে। এক হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “সুসংবাদ ঐ ব্যক্তির জন্য যে শা’বানের মধ্যম রাতে ইবাদতে মশগুল থাকে।”
অপর এক হাদীছ শরীফে হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “হে মু’মিনগণ! তোমরা শা’বান মাসের মধ্যম রাতে জাগ্রত থাক। কেননা, এ রাত অতিশয় বরকতময়। এ রাতে স্বয়ং আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন বলতে থাকেন, হে বান্দাগণ! তোমাদের মধ্যে ক্ষমা প্রার্থনাকারী কেউ আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। কেউ রিযিক প্রার্থী আছে কি? তাকে রিযিক দান করবো। কেউ বিপদ মুক্তিকামী আছে কি? তার বিপদ দূর করে দিব।”
হাদীছ শরীফে আরো বর্ণিত আছে, হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “এ রাতে ইবাদতকারীগণের যাবতীয় গুনাহ্- খতা আল্লাহ পাক মাফ করে দেন। তবে যাদুকর, গণক, শিরককারী, বখীল, সুদখোর, শরাবখোর, ব্যভিচারী, ছবি অঙ্কনকারী, পিতা-মাতাকে কষ্ট দানকারী ইত্যাদি বিদয়াতী বেশরাকে ক্ষমা করেন না খালিছভাবে তত্তবা-ইস্তিগফার না করা পর্যন্ত।”
হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে, হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “ যে ব্যক্তি শা’বান মাসের পনের তারিখে দিনের বেলায় রোযা রাখে, কোনক্রমেই দোযখ তার নাগাল পাবে না।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, শ’বে বরাত উদ্যাপন করা বা এ রাত্রিতে ইবাদত-বন্দিগী করা কুরআন সুন্নাহরই নির্দেশেই অন্তর্ভুক্ত। এটা মোটেও বিদয়াত ও নাজায়িয নয় বরং সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত এবং কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফে বর্ণনা থাকার পরও শবে বরাত অস্বীকারকারীরা চরম জাহিল, গুমরাহ ও কাফিরের অন্তর্ভুক্ত।