হাদীছ শরীফের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই পাঁচ রাত্রিতে দোয়া কবুল হয়। রজবের প্রথম রাত্র, শাবানের মধ্য রাত্র বা ১৪ তারিখ দিবাগত রাত্র, ক্বদরের রাত্র এবং দু’ঈদের দু’রাত্র।’
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি হাদীছ শরীফ-এর উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা বরাতের রাত্রি পাবে তখন তোমরা সারা রাত্রি জেগে-জেগে নামায-কালাম পড়বে বেশি বেশি দুয়া ও তওবা-ইস্তিগফার করবে এবং দিনে রোযা রাখবে। কেননা, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি সেই রাত্রিতে পৃথিবীর আকাশে এসে অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করে ফজর তথা ছুবহি ছাদিক হওয়া পর্যন্ত ঘোষণা দিতে থাকেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ ক্ষমাপ্রার্থী আছ কী? তাকে আমি ক্ষমা করে দিব। কেউ রিযিক প্রার্থী আছ কী? আমি তাকে রিযিক দান করব। কেউ বিপদগ্রস্ত আছ কী? তার বিপদ দূর করে দিব।” (সুবহানাল্লাহ)
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কাজেই বান্দা যদি এ রাতে খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করে তবে অবশ্যই আল্লাহ পাক তিনি বান্দাকে ক্ষমা করে দিবেন এবং শবে বরাত-এর সকল রহমত, বরকত ও নিয়ামত দান করবেন। কেননা, আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “তোমরা আল্লাহ পাক উনার রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত গুনাহখতা ক্ষমা করে দিবেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।” অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক কাউকে ক্ষমা করার জন্যে, রহমত করার জন্যে, তার মর্যাদা-মর্তবা দেখেন না। বরং মহান আল্লাহ পাক তিনি একটা উছীলা পেলেই বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে কিতাবে একটি ওয়াকিয়া বর্ণিত আছে, “ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রতিবেশী ছিলো এক মজুসী। অর্থাৎ অগ্নি উপাসক। হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তাকে ঈমান গ্রহণের ব্যাপারে অনেক বুঝিয়েছেন। কিন্তু উক্ত মজুসী তার অগ্নি উপাসনার মধ্যেই অটল থাকে। অবশেষে তার মৃত্যুর সময় যখন নিকটবর্তী হলো তখন তার চেহারা কালো হয়ে গেলো। সেই মুহূর্তে একজন লোক এসে হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জানালেন যে, হুযূর! মজুসী তো মৃত্যুশয্যায় শায়িত। আপনি যদি তাকে শেষ বারের মত তওবা-ইস্তিগফার করিয়ে ঈমান গ্রহণের দাওয়াত দিতেন তাহলে সে নাযাত লাভ করতে পারতো। হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি প্রতিবেশীর হক্ব মনে করে সত্যিই শেষ বারের মত গেলেন। তিনি তাকে বললেন, হে মজুসী! তুমি তো জীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছো। এখনও সময় আছে তুমি কুফরী, শিরকী থেকে খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করে মুসলমান হয়ে যাও।
সে তখন বললো, আমি মুসলমান হলে কী আমার সমস্ত কুফরী শিরকী গুনাহ মাফ হয়ে যাবে? এবং আমি কী নাযাত লাভ করবো? তিনি বললেন, হ্যাঁ- অবশ্যই তুমি নাযাত লাভ করবে। তখন মজুসী বললো, তাহলে আপনি তা লিখিত দিন। হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তাকে লিখিত দিলেন। মজুসী লিখিত সনদ পেয়ে তওবা-ইস্তিগফার করে মুসলমান হয়ে যায়। (সুবহানাল্লাহ) মজুসী তার আল-আওলাদ, আত্মীয়-স্বজনকে অসিয়ত করে যায়, আমি মারা গেলে আমাকে দাফন করার সময় আমার সাথে এই লিখিত কাগজখানা দিয়ে দিবে। সত্যিই যখন সেই মজুসী মারা গেলো, মারা যাবার পর তার যারা আল-আওলাদ, আত্মীয়-স্বজন ছিলো তারা যখন তাকে দাফন করলো, দাফন করার সময় হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত কাগজখানা সাথে দিয়ে দিলো।
এদিকে হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এটা জেনে ফিকির করতে লাগলেন। এটা কী কাজ করা হলো? লিখিত দেয়াটা কতটুকু সঠিক হলো? ইত্যাদি ফিকির করতে করতে তিনি ঘুমিয়ে গেলেন। ঘুমের মধ্যে তিনি মজুসীকে স্বপ্নে দেখতে পেলেন যে, সে জান্নাতবাসী হয়েছে এবং বেশ শান-শওক্বতের মধ্যে অবস্থান করছে। এটা দেখে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, হে ব্যক্তি! তোমার কী অবস্থা? সে বললো, হুযূর! এটা সম্পূর্ণ আপনার দয়া। আপনি আমাকে তওবা করিয়ে ঈমান দিয়ে মুসলমান করেছেন যার বদৌলতে আল্লাহ পাক তিনি আমার তওবা কবুল করে আমাকে ক্ষমা করে জান্নাত নছীব করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর আপনি যে আমাকে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটার এখন আর কোন প্রয়োজন নেই। ইচ্ছা করলে সেটা আপনি নিয়ে নিতে পারেন। হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি স্বপ্নের মধ্যেই সেটা নেয়ার সাথে সাথে স্বপ্ন ভেঙে গেলো। উনি জাগ্রত হয়ে দেখলেন, কাগজটা উনার হাতে রয়ে গেছে।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি তওবা-ইস্তিগফার করার কারণে উক্ত মজুসীর দীর্ঘ ৯০ বছরের কুফরী, শিরকীর মতো কঠিন গুনাহখতা মাফ করে জান্নাত নছীব করে দিতে পারেন তাহলে শবে বরাত-এর মত বরকতপূর্ণ রাত যে রাতে তওবা কবুল করার ও গুনাহখতা মাফ করার ওয়াদা করা হয়েছে সে রাত্রে যারা তওবা-ইস্তিগফার করবে বা ক্ষমা প্রার্থনা করবে আল্লাহ পাক তাদেরকে কেন ক্ষমা করবেন না; অবশ্যই আল্লাহ পাক তাদেরকেও ক্ষমা করে জান্নাত দান করবেন। সুবহানাল্লাহ!
সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত কায়িনাতের, সমস্ত মাখলুকাতের যত আরজু, যত আকাঙ্খা রয়েছে তা সব যদি আল্লাহ পাক পূর্ণ করে দেন তাহলে আল্লাহ পাক-এর নিয়ামতের কতটুকু তারা লাভ করবে এব্যাপারে মুজাদ্দিদে আযম হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেন, মহাসমুদ্রে একটি সূচ ডুবিয়ে আবার তুললে তার মাথায় যতুটুকু পানি উঠে আসবে তার চেয়ে বেশি নয়। কাজেই আল্লাহ পাক-এর নিকট সব চাইতে হবে, বেশি বেশি চাইতে হবে। ইয়াক্বীনের সাথে চাইলে অবশ্যই আল্লাহ পাক দিয়ে দিবেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কে অসংখ্য হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে। এক হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “সুসংবাদ ঐ ব্যক্তির জন্য যে শা’বানের মধ্যম রাতে ইবাদতে মশগুল থাকে।”
হাদীছ শরীফের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে মুজাদ্দিদে আযম হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেন, ‘এ রাত্রিতে বান্দার প্রতি রহমতে খাছ নাযিল করা হয়। বনি ক্বলব, রবি ও মুদার গোত্রের মেষপালের যত সংখ্যক পশম রয়েছে তার চেয়ে বেশি সংখ্যক উম্মতে মুহম্মদীকে আল্লাহ পাক এ রাত্রিতে ক্ষমা করে থাকেন।’
বাইহাক্বী শরীফের হাদীছ শরীফের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে মুজাদ্দিদে আযম, হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেন, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘এ রাত্রিতে (আগামী এক বছরে) যে সকল আদম সন্তান জন্মগ্রহণ করবে এবং ইন্তিকাল করবে তাদের তালিকা লিপিবদ্ধ করা হয়। বান্দার (এক বছরের) রিযিকের ফায়সালা করা হয় এবং বান্দার (বিগত এক বছরের) আমলনামা আল্লাহ পাক-এর নিকট পেশ করা হয়।’
মুজাদ্দিদে আযম, হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেন, এ রাত্রিতে আল্লাহ পাক অসংখ্য উম্মতে মুহম্মদীকে ক্ষমা করে থাকেন। মুজাদ্দিদে আযম হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী কাউকে ক্ষমা করার জন্যে, রহমত করার জন্যে, তার মর্যাদা-মর্তবা দেখেন না। বরং মুজাদ্দিদে আযম হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী একটা উছীলা পেলেই বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। কাজেই এ বরকতময় বরাতের রাতে ইয়াক্বীনের সাথে যত দোয়াই করা হোক না কেন অবশ্যই আল্লাহ পাক সে দোয়া কবুল করবেন। অনেকের মনে প্রশ্ন- জীবনে অনেক শবে বরাত পাওয়া গেছে, অনেকে দোয়া করা হয়েছে কিন্তু তার বদলাতো পাওয়া যায়নি। তাহলে কি দোয়া কবুল হয়নি? এর জবাবে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দোয়া তিনভাবে কবুল হয়ে থাকে- এক. বান্দা যা চেয়ে থাকে সেটা তাকে সরাসরি দিয়ে দেন। দুই. বান্দা যেটা চেয়ে থাকে সেটা আল্লাহ পাক সরাসরি দেন না বরং আল্লাহ পাক যেটা ভাল মনে করেন, বেশি জরুরী মনে করেন সেটা দিয়ে থাকেন, তখন বান্দা তার দোয়া কবুল হল বা হলো না সেটা বুঝতে পারে না। তিন. ক্বিয়ামতের দিন বান্দারা তাদের অসংখ্য পাপ ও বদি দেখে পেরেশান হয়ে যাবে। তারা নিজেদেরকে জাহান্নামী ধারণা করবে, তখন আল্লাহ পাক তাদের এ অবস্থা দেখে তাদেরকে বলবেন, তোমরা চিন্তিত হয়ো না, তোমরা অমুক স্থানে যাও সেখানে তোমাদের জন্যে পাহাড় পাহাড় নেকী জমা করে রাখা হয়েছে। তোমরা দুনিয়াতে আমার নিকট যে দোয়া করেছিলে তার বদলা দুনিয়াতে না দিয়ে পরকালের জন্যে জমা করে রেখেছিলাম। এখন তোমরা সেটা নিয়ে তোমাদের নেকীর পাল্লায় দিয়ে দাও। তখন বান্দা খুশি হয়ে যাবে। তারা বুঝতে পারবে যে তাদের দোয়া কবুল হয়েছিল।
মুজাদ্দিদে আযম, হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী আরো বলেন, যমীনে বসবাস করার জন্যে আল্লাহ পাক এবং তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুহব্বত-মারিফাত অর্জনের জন্যে ইলম, আমল, ইখলাছ এক কথায় যা কিছু দরকার রয়েছে সবকিছু শবে বরাতে আল্লাহ পাক-এর নিকট চাইতে হবে। ইহকালে আল্লাহ পাক-এর বান্দা এবং তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উম্মত হিসেবে থাকতে হলে যা কিছু প্রয়োজন রয়েছে সবই এ রাতে চাইতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, সাত ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ্ পাক এ বরকতপূর্ণ রাতেও কবুল করেন না, যদি না তারা খালিছ তওবা করে। এরা হচ্ছে- (১) যাদুকর (গণক, জ্যোতিষ), (২) শরাবখোর, (৩) যিনাখোর, (৪) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, (৫) চোগলখোর, (৬) আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, (৭) ঐ ব্যক্তি, যে শরয়ী ওজর ব্যতীত কোন মুসলমান ভাইয়ের সাথে তিন দিনের বেশি কথা বন্ধ রাখে। মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, অন্য হাদীছ শরীফে আরো দু’ব্যক্তির কথা উল্লেখ আছে- (ক) মুশরিক অর্থাৎ যারা আল্লাহ্ পাক-এর সাথে শরীক করে, (খ) যে শরীয়তের কারণ ব্যতীত কাউকে হত্যা করে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, শবে বরাত হচ্ছে দোয়া কবুলের খাছ রাত। বান্দার সর্বপ্রকার নেক দোয়া, নেক আরজু আল্লাহ্ পাক এ রাতেই কবুল ও পুরণ করে থাকেন। তাই বান্দার উচিত এ মুবারক রাতে জাগ্রত থেকে যার যা নেক্ দোয়া, নেক্ আরজু রয়েছে তা দরবারে ইলাহীর নিকট পেশ করা। তবে দৃঢ়তার সাথে খালিছভাবে তা চাইতে হবে। কোন প্রকার সন্দেহ পোষণ না করা। ইয়াক্বীন রাখতে হবে, আমার সব দোয়া এবং সব আরজুই আল্লাহ্ পাক অবশ্যই কবুল করবেন এবং অবশ্যই পূরণ করে দিবেন। মূলতঃ বান্দার কোন দোয়াই আল্লাহ্ পাক ফিরিয়ে দেননা। সবই কবুল করে থাকেন। বান্দা কোনটা বুঝে এবং কোনটা বুঝে না।
মুজাদ্দিদে আযম, হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেন, এখন যারা বেপর্দা হয় তারাও ব্যভিচারী হিসেবে গণ্য হবে। বর্তমানে আমাদের দেশে তথাকথিত শাইখুল হাদীছ, শায়খুত তাফছীর, মুফতী, খতীব যারা দাবী করে থাকে তারা বেপর্দা হয়ে ব্যভিচার করে থাকে। কেননা ব্যভিচার অনেক প্রকার। যেমন- চোখের ব্যভিচার দৃষ্টি করা, যবানের ব্যভিচার কথা বলা, হাতের ব্যভিচার স্পর্শ করা, কানের ব্যভিচার শ্রবণ করা, পায়ের ব্যভিচার ধাবিত হওয়া, অন্তর সেটা চায় আর লজ্জাস্থান সেটাকে সত্য-মিথ্যায় পরিণত করে থাকে।
মুজাদ্দিদে আযম, হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেন, এখন তো মানুষ ছবিকে জায়িয করে নিয়েছে। অথচ এর দ্বারাও বেপর্দা হয়ে থাকে। এরও শক্ত গুনাহ রয়েছে। এক লক্ষ লোকও যদি একটা ছবির সামনে নামায পড়ে থাকে, তাহলে সকলের নামায মাকরূহ হবে, তাদের সকলের নামায দোহরিয়ে পড়তে হবে।
মুজাদ্দিদে আযম হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী সকলকে এসমস্ত কাজ হতে বিরত হয়ে নেক আমল করে শবে বরাতের খাছ রহমত, বরকত, ছাক্বীনা, ক্ষমা, নাযাত ও নিয়ামত হাছিলের আহ্বান জানান।