“সারাবিশ্বে যারা একই দিনে রোযা-ঈদসহ অন্যান্য ইবাদত পালন করার কথা বলে তাদের কথা সম্পূর্ণ ভুল। ভুগোলের সামান্যতম জ্ঞানও তাদের নেই।”
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল,সুলত্বানুল নাছীর, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি এক ক্বওল শরীফে একথা বলেন।
হাদীছ শরীফের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোযা রাখ, চাঁদ দেখে ইফতার (ঈদ) কর।’
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, রমযান শরীফের চাঁদ দেখা ওয়াজিবে ক্বিফায়া। কাজেই কিছু সংখ্যক লোক দেখলেই সকলের জন্যে রোযা ফরয হয়ে যাবে। চাঁদ দেখা গেলেই রোযা ফরয হবে, চাঁদ দেখা না গেলে রোযা ফরয হবে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সারাবিশ্বে যারা একদিনে রোযা রাখা এবং একদিনে ঈদ করার কথা বলে থাকে, সামান্যতম ভৌগোলিক জ্ঞানও তাদের নেই। কেননা, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের সময়ের পার্থক্য হচ্ছে ১৪ ঘণ্টা। পৃথিবীর এক প্রান্তে যখন দিন, তখন অন্য প্রান্তে পূর্ব বা পরের দিন অথবা রাত। কাজেই সেখানে তখন চাঁদ দেখার প্রশ্নই আসে না।
তাহলে কি করে একদিনে সারাবিশ্বে রোযা রাখা বা ঈদ করা যেতে পারে? এটা মূলতঃ নেহায়েত অজ্ঞতা ও জিহালতপূর্ণ কথা। তারা হানাফী মাযহাবের ইমাম, ইমামে আ’যম, হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর উদয়স্থলের পার্থক্য সংক্রান্ত ক্বওল না বুঝার কারণে বিভ্রান্তিতে পতিত হয়েছে।
সেটা হচ্ছে “হানাফীদের নিকট একই উদয়স্থলের পার্থক্য গ্রহণযোগ্য নয়।” একই উদয়স্থলের সীমা রেখা হচ্ছে ৫০০-৭০০ মাইলের মধ্যে। এর মধ্যে যারা চাঁদ দেখবে তাদের রোযা রাখতে হবে। আর যারা এর বাইরে থাকবে কিন্তু চাঁদ দেখবে না, তাদেরকে রোযা রাখতে হবে না। এটাই হচ্ছে উদয়স্থলের পার্থক্যের মূল কথা। একই উদয়স্থলের মধ্যে যারা চাঁদ দেখবে তাদের সকলের জন্যে একই হুকুম হবে।
কিন্তু শাফিয়ী মাযহাব মতে প্রত্যেক শহরে আলাদা আলাদা চাঁদ দেখতে হবে। এটা আমাদের হানাফী মাযহাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এমন যদি হয় যে, আলাদা উদয়স্থলে একদিনে এক দেশের পর আরেক দেশ পর্যায়ক্রমে চাঁদ দেখতে থাকে তাহলে সে সব দেশে একদিনে রোযা এবং ঈদ করতে পারবে। কিন্তু যেহেতু ভৌগোলিক কারণে পৃথিবীর এক প্রান্তের সাথে আরেক প্রান্তের ১৪ ঘণ্টা সময়ের পার্থক্য রয়েছে, সেহেতু সারাবিশ্বে একদিনে রোযা এবং ঈদ পালন করা আদৌ সম্ভব নয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফে রোযা ও ঈদের অনেক ফযীলতের কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ইহুদী-নাছারাদের যোগসাজশে একটি মহল মুসলমানদের রমযান শরীফ এবং ঈদের ফযীলত থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এটা মুসলমানদের ঈমান, আমল ও নিয়ামত থেকে বঞ্চিত করার এক আন্তর্জাতিক চক্রান্ত। এ থেকে সকলকে সাবধান থাকতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনিসকলকে সারাবিশ্বে একদিনে রোযা ও ঈদ পালনের ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত না হয়ে হাদীছ শরীফে বর্ণিত চাঁদ দেখে রোযা রাখা এবং চাঁদ দেখে ঈদ পালনের আদের্শ উজ্জীবিত হওয়ার আহ্বান জানান।
=======================
অপর এক ক্বওল শরীফে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিইরশাদ করেন, “ঊনত্রিশতম দিনে চাঁদ তালাশ করো, আকাশ মেঘলা থাকলে মাস ত্রিশ দিনে পূর্ণকরো।”সউদী আরবের আকাশে চাঁদ না দেখে যেমনি হজ্জের সময় নির্ধারণ করা জায়িয নয়, তেমনি নিজস্বঅঞ্চলের উদয়স্থলে চাঁদ না দেখে রোযা, ঈদ ও অন্যান্য আমল পালন করাও জায়িয নয়। পৃথিবীর দুটি স্থানেরসর্বোচ্চ সময়ের পার্থক্য ১৪ ঘণ্টা। সুতরাং কখনো এক দিনে পৃথিবীর সব দেশে রোযা ও ঈদ পালন করা সম্ভবনয়। যারা সারা বিশ্বে একদিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরুর কথা বলে তাদের শরীয়ত ও ভৌগোলিক জ্ঞানেরঅভাব রয়েছে।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুলআলম, মুর্শিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “সউদী আরবের আকাশে চাঁদ না দেখে যেমনি হজ্জের সময় নির্ধারণকরা জায়িয নয়, তেমনি নিজস্ব উদয়স্থলে চাঁদ না দেখে রোযা, ঈদ ও অন্যান্য আমল পালন করাও জায়িয নয়।পৃথিবীর দুটি স্থানের সর্বোচ্চ সময়ের পার্থক্য ১৪ ঘণ্টা। সুতরাং কখনো এক দিনে পৃথিবীর সব দেশে রোযা ওঈদ পালন করা সম্ভব নয়।”
সারা বিশ্বে এক দিনে ঈদ পালনকারীদের শরীয়ত এবং ভৌগোলিক জ্ঞানের চরম সীমাদ্ধতা বা অভাব নিয়েআলোচনা প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন,পৃথিবীর এমন অনেক স্থান আছে যেখানে সন্ধ্যা হলে অন্য স্থানে সকাল। আর আমরা জানি,শরীয়তের দিন শুরু হয় সন্ধ্যার পর থেকে। সুতরাং কোন স্থানের সন্ধ্যায় চাঁদ দেখে, যে স্থানে সকালসেখানে যদি ঈদ পালন করতে হয় তবে ঐ স্থানের দিনটি হবে অপূর্ণ। কেননা, ঈদ পালনের দিনটিররাতটি তাহলে কোথায়? অথচ হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে ঈদের রাতে দোয়া কবুল হয়। তাহলে কোনস্থানের সন্ধ্যায় চাঁদ দেখে পৃথিবীর সব দেশে ঈদ পালন করতে চাইলে পৃথিবীতে বহু দেশেরঅধিবাসীরা এই দোয়া কবুলের রাত পাবে না। শরীয়তের পূর্ণ দিন পাবে না। আর এরকম অবস্থায়ঈদ, রোযা পালন করা শরীয়ত কখনো সমর্থন করে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন,শুধু ঈদ কেন, রোযার কথাই ধরা যাক। পৃথিবীতে এমন অনেক স্থান আছে যেখানে সন্ধ্যায় রমাদ্বানশরীফ-এর চাঁদ দেখা গেলে অন্যস্থানে সকাল গড়িয়ে প্রায় দুপুর। যে অঞ্চলে সকাল সে অঞ্চলেরঅধিবাসীরা পূর্বে তারাবীহ পড়েননি, সাহরীও খাননি বরং সকালের নাস্তা শেষ করেছেন। তাহলেঅন্য অঞ্চলের সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে সেই চাঁদ দেখে কিভাবে তারা রোযা পালন করবেন? তাহলেদেখা যাচ্ছে, সারা বিশ্বে একদিনে ঈদ এবং রোযা পালনকারীদের শরীয়তের ইলমের যেমনি অভাবরয়েছে তেমনি রয়েছে ভৌগোলিক জ্ঞানের অভাব।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন,অনেকেই বলে থাকে- যদি পৃথিবীর সব দেশের শুক্রবারেই জুমুয়ার নামায আদায় হয় তাহলে একদিনে ঈদ পালন করা সম্ভব নয় কেন? বলা হয়, প্রশ্ন হচ্ছে অর্ধেক জ্ঞান। এ প্রশ্নকারীদের প্রশ্নটিইঅবান্তর। পৃথিবীর সব দেশের জুমুয়ার দিনে যেমনি জুময়ার নামায আদায় হয় তেমনি সব দেশেরপহেলা শাওয়ালেই ঈদ পালিত হয়। অর্থাৎ একটি দেশের পহেলা শাওয়ালের সকালে অন্য অনেকস্থানে ৩০শে রমাদ্বান সন্ধ্যা আবার কোন দেশ পহেলা শাওয়ালের ঈদ পালন করে সন্ধ্যায় যখনপৌঁছেছে তখন অন্য দেশে ঈদ পালন শুরু হয়েছে। যেহেতু পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে সময়ের পার্থক্যরয়েছে এবং এই পার্থক্য ১৪ ঘণ্টারও বেশি সুতরাং কোন দেশে ঈদ পালিত হলে অন্য দেশে ঈদপালন শেষ হবে; এটাই স্বাভাবিক এবং এটাই শরীয়তের নিয়ম। যার যার অঞ্চলে চাঁদ দেখে ঈদএবং রোযা বা অন্যান্য দ্বীনী আমল পালন করতে হবে। কোন স্থানের শাওয়ালের চাঁদ দেখে পৃথিবীরসব স্থানে ঈদ পালন সম্ভব নয় বরং অবান্তর।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন,পৃথিবীর এমন অনেক স্থান আছে সেখানে সউদী আরবের পূর্বে চাঁদ দেখা যায়। যদি কোন বছরের যিলহজ্জমাসের চাঁদ সউদী আরবের পূর্বে অন্য কোন দেশে দেখা যায় এবং তার একদিন পর যদি সউদী আরবেযিলহজ্জ মাসের চাঁদ দৃশ্যমান হয় তাহলে কি সউদী আরবের পূর্বে বা আগেই প্রথমে যে স্থানে যিলহজ্জ মাসেরচাঁদ দেখা গেলো সে অনুযায়ী হাজীদের আরাফার ময়দানে উপস্থিত থাকতে হবে! যদি তাই হয়, তাহলে কারোহজ্জ আদায় হবে না। সউদী আরবের আকাশে যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখেই যিলহজ্জ মাস শুরু করতে হবেএবং তাদের ৯ই যিলহজ্জ তারিখে পৃথিবীর সব হাজীকে আরাফার ময়দানে উপস্থিত থাকতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন,যারা একই দিনে ঈদ, রোযা পালন করার কথা বলে থাকে তাদের কোন যুক্তি নেই, দলীল নেই। বরং যা বলাহয় তা অবান্তর, যুক্তিহীন, দলীলহীন, মনগড়া এবং যা বাস্তবে কখনো প্রয়োগ করা সম্ভব নয়। সুতরাং এক দিনেঈদ পালনকারীদের উচিত এখনই এই অবান্তর বিষয়টি থেকে খালিছ তওবা করে শরীয়তের সঠিক পথঅনুসরণ করা।