নোটিশ

বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১১

রোযার নিয়ত ও ইফতারের দুআ এবং সুন্নত আমলসমূহ


সাহরীর পরিচয়ঃ
রমাদ্বান শরীফ মাসে শেষ রাতের খাবারকে সাহরী বলে। অর্থাৎ ছুবহি ছাদিক্বের পূর্বে রোযা রাখার নিয়তে পানাহার করাকে সাহরী বলে। সাহরী করা খাছ সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, তোমরা সাহরী খাও, কেননা সাহরী খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)


রোযার নিয়তঃ

نويت ان اصوم غدا من شهر رمضان المبارك فرضا لك ياالله فتقبل منى انك انت السميع العليم.

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিং শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম। 

অর্থ: আয় আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফ-এর ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা , সর্বজ্ঞাত।



মাসআলা: কেউ যদি ছুবহি ছাদিক্বের পূর্বে নিয়ত করতে ভুলে যায় তাহলে তাকে দ্বিপ্রহরের পূর্বে নিয়ত করতে হবে। তখন এভাবে নিয়ত করবে: 
نويت ان اصوم اليوم من شهر رمضان المبارك فرضا لك يالله فتقبل منى انك انت السميع العليم.

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমাল ইয়াওমা মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বাল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফা তাক্বাব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম।


সাহরীর সুন্নত আমল: জরুরত আন্দাজ খাওয়া-দাওয়া করার পর বেজোড় সংখ্যক খুরমা-খেজুর খাওয়া খাছ সুন্নত। রাতের শেষভাগে সাহরী করা সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।


ইফতার-এর পরিচয়ঃ
ইফতার অর্থ ভঙ্গ করা। সন্ধ্যা রাতে তথা মাগরিবের আযানের পর খুরমা-খেজুর, দুধ, শরবত ইত্যাদি দ্বারা পানাহারের মাধ্যমে রোযা ভঙ্গ করাকে ইফতার বলে।


ইফতার-এর দুআঃ

اللهم لك صمت و على رزقك افطرت.

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা আফত্বরতু। 
অর্থ: আয় আল্লাহ পাক! আমি আপনারই সন্তুষ্টির জন্য রোযা রেখেছি এবং আপনারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।


ইফতার-এর সুন্নত আমল:
  • খুরমা-খেজুর দ্বারা ইফতার শুরু করা খাছ সুন্নত।
  • ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে ইফতার করা খাছ সুন্নত। হাদীছে কুদসী শরীফ-এ রয়েছে, আল্লাহ পাক তিনি বলেন: “আমার বান্দাদের মধ্যে আমার নিকট অধিকতর প্রিয় ওই ব্যক্তিরাই যারা তাড়াতাড়ি ইফতার করে অর্থাৎ সময় হওয়ার সাথে সাথে ইফতার করে।” কিন্তু সময় হয়নি এ অবস্থায় তাড়াতাড়ি করে পানাহার করলে ক্বাযা-কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হবে।
  • ইফতার করার পূর্বে তিনবার দুরূদ শরীফ পাঠ করা।
  • কোন রোযাদারকে ইফতার করানো। এটা অত্যধিক ফযীলতের কারণ।
বিঃ দ্রঃ সাহরী ও ইফতার-এর সময়ের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে যেন সময় কম-বেশি না হয়। সেজন্য সাবধানতার নিমিত্তে সাহ্রী-এর সময় থেকে ৫ মিনিট কমিয়ে ও ইফতারী-এর সময় থেকে ৫ মিনিট বাড়িয়ে সাহরী ও ইফতার করা উচিত। 
আর ইফতার ও সাহরীর ঘোষণার জন্য সাইরেন বাজানো হারাম। এক্ষেত্রে ইফতারীর জন্য আযান দেয়া আর সাহরীর জন্য মুখে বা মাইকে ঘোষণা দেয়াই সর্বোত্তম ও একমাত্র মাধ্যম।



তথ্যসূত্রঃ আহ্‌কামু শাহরি রমাদ্বান