“অনশন বা হাঙ্গার স্ট্রাইক করা শরীয়তসম্মত নয়; বরং তা সম্পূর্ণ নাজায়িয, হারাম ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। কারণ এটা হিন্দু ধর্মের খাছ আমলের অন্তর্ভুক্ত।”
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ্্, মুহ্ইস্্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এক ক্বওল শরীফে একথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনের লক্ষ্যে অনশন করে কারাগারে আইরিশ আত্ম ত্যাগী ম্যাক সুইনী ও বাঙ্গালী যতীন দাস মৃত্যুবরণ করে।
এছাড়া ভারত উপমহাদেশে অনশন প্রথার বিশেষ অনুশীলন করে, তাকে বহুল পরিচিত করে তোলে চরম ইসলাম বিদ্বেষী মহন দাস করমচাঁদ গান্ধী। গান্ধী তার কথিত অসহিংস আন্দোলনের জন্য বারবার অনশন করেছে। হিন্দু ধর্মে এই অনশন প্রথা স্বীকৃত। শ্রীকৃষ্ণের মতে, যে ব্যক্তি অনশন করে প্রাণ ত্যাগ করে সে বিষ্ণুতুল্য হয়।
এছাড়া ভারত উপমহাদেশে অনশন প্রথার বিশেষ অনুশীলন করে, তাকে বহুল পরিচিত করে তোলে চরম ইসলাম বিদ্বেষী মহন দাস করমচাঁদ গান্ধী। গান্ধী তার কথিত অসহিংস আন্দোলনের জন্য বারবার অনশন করেছে। হিন্দু ধর্মে এই অনশন প্রথা স্বীকৃত। শ্রীকৃষ্ণের মতে, যে ব্যক্তি অনশন করে প্রাণ ত্যাগ করে সে বিষ্ণুতুল্য হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, অনশন হিন্দু ধর্মের খাছ আমলের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ এটা হিন্দু ধর্মের শেয়ার (বৈশিষ্ট্য বা আদর্শ)। অথচ আল্লাহ পাক আদর্শ সম্পর্কে ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদীছ শরীফে অনেক স্থানে কাফির, মুশরিক, মুনাফিক, ইহুদী, নাছারা তথা সকল বিধর্মী, বেদ্বীন, বদ্-দ্বীনদের সাথে মুহব্বত, মেলা-মেশা ও তাদেরকে অনুরসণ করাকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ বিধর্মীদের আক্বীদা, আমলও প্রথা-পদ্ধতি কোন মু’মিন-মুসরমানের জন্য গ্রহণ করা জায়িয নেই বরং সম্পূর্ণরূপে কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
কুরআন শরীফের বরাত দিয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আল্লাহ পাক নিজেই ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন (ধর্ম) বা তার নিয়ম-নীতি তালাশ করে তা কখনোই তার থেকে গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।”
মসনদে আহমদ, সুনানে আবু দাউদ শরীফের বরাত দিয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন,, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি যে সম্পদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদের দলর্ভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মুসলমানদের কোন কোন মহলকে অনশনের মত বিজাতীয় হিন্দুয়ানী আমল করতে দেখা যায়। তাদের প্রত্যেকের উচিৎ এ সমস্ত কুফরী ও হিন্দুয়ানী আমল থেকে খালিছ তওবা ও ইস্তিগফার করা।