“তরীকার
ছবক, পাছ-আনফাছ যিকির
এবং ইশা-ফযর বাদ
দরূদ শরীফ
পাঠের দ্বারা
আল্লাহ পাক
ও উনার
হাবীব হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-উনাদের সাথে ক্বলবী
নিছবত স্থাপিত
হয়।”
যামানার ইমাম ও
মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল
আইম্মাহ, কুতুবুল
আলম, মুহ্ইস সুন্নাহ, আওলাদে
রসূল রাজারবাগ
শরীফ-এর
হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী এক ক্বওল শরীফে
একথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ
হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী বলেন, ইলম অর্জন
করা ফরয। আল্লাহ
পাক কুরআন
শরীফে ইরশাদ
করেছেন, “আল্লাহ
পাক আমাদের
ইলম বৃদ্ধি
করে দিন।” আর
হাদীছ শরীফে
উল্লেখ আছে,
আল্লাহ পাক-এর হাবীব
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ
করেন, “প্রত্যেক
মুসলমান নর-নারীর জন্য
ইলম অর্জন
করা ফরয।” অর্থাৎ
আমল করতে
হলে ইসলাম
সম্পর্কে জানতে
হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ
হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী বলেন, মানুষের ভুলত্রুটি
থাকতে পারে। সেটা
আলাদা মাসয়ালা। কিন্তু
শর্ত হচ্ছে
ঈমানের সাথে
যেতে হবে। এক্ষেত্রে
কোনো ত্রুটি
করা যাবে
না।
ঈমানের সাথে
যেতে হলে
কিছু ইলম
(জাহিরী) অর্জনের
সাথে সাথে
হক্কানী মুর্শিদ
ক্বিবলা-এর
নিকট বাইয়াত
হয়ে তরীক্বার
যিকির-আযকার
করতে হবে। তরীক্বার
প্রাথমিক যিকির,
পাছ-আনফাছ
এবং ইশা
ও ফরয
পর ১০০/১০০ দরূদ
শরীফ পাঠ
করতে হবে।
প্রসঙ্গতঃ মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
আল বাইয়্যিনাত
শরীফ এমন
একটি পত্রিকা
যেখানে অনেক
জরুরী মাসয়ালা
মাসায়িল এবং
ইখতিলাফী বিষয়গুলো
বর্তমান পরিস্থিতি
অনুযায়ী যতটুকু
প্রয়োজন, মানুষের
যতটুকু জানা
দরকার বিষয়গুলো
দলিল-আদিল্লাসহ
কুরআন শরীফ,
হাদীছ শরীফ,
ইজমা ও
ক্বিয়াসসহ আলোচনা করা হয়ে থাকে। তাই
আল বাইয়্যিনাত
পাঠ করলে
জাহিরী-বাতিনী
উভয় প্রকার
ইলম হাছিল
হবে।
তরীক্বার প্রাথমিক যিকিরের
গুরুত্ব সম্পর্কে
মুজাদ্দিদে আ’যম,
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ
হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী বলেন, ইশার নামাযের
পর ১০০
বার দরূদ
শরীফ দ্বারা
আল্লাহ পাক-এর হাবীব
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
মুহব্বত পয়দা
হবে এবং
ফযরের নামাযের
পর ১০০
বার দরূদ
শরীফ দ্বারা
আল্লাহওয়ালাগণের মুহব্বত পয়দা হবে।
আর পাছ-আনফাছ দ্বারা
আল্লাহ পাক-এর মুহব্বত
পয়দা হবে।
সিরাতুল মুস্তাকিম অর্থাৎ
সরল পথ
সম্পর্কে মুজাদ্দিদে
আ’যম,
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ
হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী বলেন, সূরা ফাতিহা
পাঠ করে
আমরা সরল
পথ চাই,
নিয়ামতপ্রাপ্তগণের পথ চাই। নিয়ামতপ্রাপ্তগণ
হচ্ছেন, নবী,
ছিদ্দীক, শহীদ,
ছলেহীনগণ।
তাঁদের পথ
আমরা চেয়ে
থাকি।
নবী আলাইহিমুস্
সালাম হচ্ছেন
এক তবক্বা,
আর ছিদ্দীক,
শহীদ ছলেহ
হচ্ছেন আউলিয়ায়ে
কিরামগণের তবক্বা।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ
হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী বলেন, আমরা প্রতিদিন
১৭ রাকায়াত
ফরয নামায,
ওয়াজিব ধরলে
বিতর তিন
রাকায়াত, আর
সুন্নতে মুয়াক্কাদা
বার রাকায়াত
নামায আদায়
করি।
তাহলে কমপক্ষে
এ ৩২
রাকায়াত নামাযে
৩২ বার
আল্লাহ পাক-এর কাছে
বলি, “আল্লাহ
পাক আপনি
আমাদের সরলপথ
প্রদর্শন করুন।” অর্থাৎ
নবী ও
আউলিয়ায়ে কিরামগণের
পথ আমাদের
দান করুন। আমরা
সকলেই আল্লাহ
পাক-এর
কাছে এ
দোয়া করি।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ
হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী বলেন, শুধু মুখে
মুখে দোয়া
করলেই চলবে
না।
সাথে সাথে
কাজও করতে
হবে।
কাজ করতে
হলে ইশা-ফযর নামাযের
পর দরূদ
শরীফ পাঠ
করতে হবে। ইশার
নামাযের পর
দরূদ শরীফ
দ্বারা আল্লাহ
পাক-এর
হাবীব হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-এর
সাথে পথটার
সংযোগ হবে
এবং ফযরের
নামাযের পর
দরূদ শরীফ
দ্বারা আউলিয়ায়ে
কিরামগণের পথের সাথে সংযোগ হবে। আর
পাছ-আনফাছ
দ্বারা আল্লাহ
পাক-এর
সাথে সংযোগ
স্থাপিত হবে। আর
দরূদ শরীফ
দ্বারা আল্লাহ
পাক-এর
রহমত হাছিল
হয়ে থাকে।
রহমতের প্রসঙ্গে মুজাদ্দিদে
আ’যম,
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ
হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী বলেন, আল্লাহ পাক
হচ্ছেন রহমান,
রাহীম, সাত্তার,
গাফ্ফার। আল্লাহ
পাক-এর
হাবীব হচ্ছেন
রহমতুল্লিল আলামীন। আর আউলিায়ে
কিরামগণ হচ্ছেন উনারাই যাদের
কাছে আল্লাহ
পাক-এর
রহমত রয়েছে। কাজেই
রহমতটা হাছিল
করতে পারলেই
রহমতের দ্বারা
নেক কাজ
করা যাবে,
পাপ কাজ
থেকে বেঁচে
থাকা যাবে। আল্লাহ
পাক-এর
রহমত ছাড়া
কারো পক্ষে
নেক কাজ
করা সম্ভব
নয়।
আবার পাপ
কাজ থেকে
বেঁচে থাকাটাও
সম্ভব নয়। এখন
সেই রহমতটা
অর্জন করতে
হবে।
রহমত হাছিল করার
উপায় সম্পর্কে
মুজাদ্দিদে আ’যম,
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ
হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী বলেন, আমরাতো আল্লাহ
পাককে সরাসরি
পাবো না,
আল্লাহ পাক-এর হাবীব
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেও সরাসরি
পাবো না। কিন্তু
আল্লাহওয়ালাগণকে পাবো। এখন আল্লাহওয়ালাগণের
ছোহবত ইখতিয়ার
করে, ছবক
আদায় করলে
তখন আল্লাহওয়ালাগণের
মাধ্যম (উছীলা)
দিয়ে আল্লাহ
পাক-এর
হাবীব, সেখান
থেকে আল্লাহ
পাক পর্যন্ত
যেতে হবে। আল্লাহ
পাক-এর
রহমতটা যখন
আসবে তখন
আল্লাহ পাক-এর রহমতের
উছিলায় দেখা
যাবে যে,
আস্তে আস্তে
পাপ থেকে
বেঁচে নেক
কাজের দিকে
ধাবিত হতে
পারা যাবে। আর
একজন ঈমানদার
মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে সব
সময় আল্লাহ
পাক-এর
দিকে ধাবিত
হওয়া।
এ প্রসঙ্গে মুজাদ্দিদে
আ’যম,
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ
হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী বলেন, হাদীছ শরীফে
আছে, মুমিন,
মুসলমান, ঈমানদার
বান্দা যারা
তাঁদের যদি
৪০ দিনের
মধ্যে তার
আমলে উন্নতি
নাও হয়,
তার আমলটা
বিয়োগ হতে
পারবে না। সংযোগ
থাকতে হবে। আর
যদি সংযোগ
নাও হয়,
কমপক্ষে যতটুকু
রয়েছে ততটুকু
তাকে থাকতে
হবে।
সে আমলে
ঘাটতি আসতে
পারে না। অর্থাৎ
তার আমলটা
খারাপ হতে
পারবে না,
ভাল হতে
হবে।
অন্যথায় তার
জন্য কামিয়াবী
নেই।
সেজন্যই যিকির-ফিকির, ইশা-ফযর ১০০
বার দরূদ
শরীফ, আর
পাছ-আনফাছ
ঠিকমত চালাতে
হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ
হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী বলেন, পাছ-আনফাছ
করতে সময়
লাগে না। এটা
চলাফেরা, ওঠা-বসা সব
সময় করা
যায়।
শোয়ার সময়
করলেও আস্তে
আস্তে জারি
হয়ে যায়। কাজের
ফাঁকে ফাঁকে
করা যেতে
পারে।
পড়াশুনার সাথে
সাথে সব
সময় করা
যেতে পারে। ইশা-ফযর দরূদ
শরীফ পাঠ
করলে যেমন
আল্লাহ পাক-এর হাবীব
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও
আল্লাহওয়ালাগণের সাথে সম্পর্ক হয় তেমনি
পাছ-আনফাছ
দ্বারা আল্লাহ
পাক-এর
সাথে সম্পর্ক
স্থাপিত হয়।
আল্লাহ পাক-এর
সাথে সম্পর্ক
স্থাপন সম্পর্কে
মুজাদ্দিদে আ’যম,
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ
হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী বলেন, হাদীছ শরীফে
উল্লেখ আছে,
আরশে মুয়াল্লার
সামনে একটা
নূরের স্তম্ভ
বা খুঁটি
আছে, যখন
কেউ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র যিকির
করতে থাকে
তখন এ
খুঁটিটি কাঁপতে
থাকে।
আল্লাহ পাক
খুঁটিকে জিজ্ঞাসা
করেন, হে
খুঁটি! তুমি
কাঁপো কেন?
খুঁটি উত্তর
দেয়, আল্লাহ
পাক! আপনার
অমুক বান্দা
যিকির করছে
সেজন্য আমি
কাঁপছি।
আল্লাহ পাক
বলেন, হে
খুঁটি! তোমার
কাঁপা বন্ধ
করো।
খুঁটি বলে,
আল্লাহ পাক!
আমি কাঁপা
বন্ধ করবো
তাকে ক্ষমা
করলে।
আল্লাহ পাক
বলেন, যাও
তাকে ক্ষমা
করে দিলাম। (সুবহানাল্লাহ)
এখন সে
তো পড়তেই
থাকে, আর
আল্লাহ পাক
তাকে ক্ষমা
করতেই থাকেন,
গুনাহখাতা মাফ হতেই থাকে।
(সুবহানাল্লাহ) যত পড়বে তত গুনাহ
মাফ হবে,
আস্তে আস্তে
তার মর্যাদা
বৃদ্ধি পাবে। সে
নেক কাজে
ধাবিত হতে
পারবে।
কুরআন শরীফে
ইরশাদ হয়েছে,
তোমরা আমাকে
(আল্লাহ পাককে)
স্মরণ করো,
আমি তোমাদের
স্মরণ করবো। এখন
যখন বান্দা
সব সময়
পাছ-আনফাছ
করে আল্লাহ
পাককে স্মরণ
করতে থাকে,
তখন আল্লাহ
পাক তাকে
সব সময়
স্মরণ করবেন।
আল্লাহ পাক-এর
স্মরণের মেছাল
দিয়ে মুজাদ্দিদে
আ’যম,
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ
হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী বলেন, দুনিয়াবী মেছাল-
যদি কোন
প্রজাকে তার
বাদশাহ স্মরণ
করে, তাহলে
তারতো কোন
অসুবিধা থাকার
কথা না। এটা
যদি হয়,
তাহলে আল্লাহ
পাক- যিনি
খালিক, মালিক
রব্বুল আলামীন,
সারা সৃষ্টি
জগতের মালিক
যিনি, তিনি
যদি কোন
বান্দাকে স্মরণ
করেন তাহলে
তার অসুবিধা
থাকবে কি
করে? সেতো
ইতমিনান হয়ে
যাবে।
আল্লাহ পাক
গায়েবী মদদ
করবেন, রহমত
করবেন, সেজন্য
পাছ-আনফাছ
সব সময়
চললে আল্লাহ
পাক-এর
ধ্যান, খেয়াল,
স্মরণ থাকলো,
চলতে থাকলো।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ
হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী বলেন, ইশার দরূদ
শরীফ- ইশার
নামাযের পর
রাতে শোয়ার
আগে ১০,
১১, ১২,
১টা পর্যন্ত
পড়া যেতে
পারে।
ফযরের নামায
আদায় করার
পর দরূদ
শরীফ ৭,
৮, ৯,
১০টা পর্যন্ত
পড়ে নিলে
কোন অসুবিধা
নেই।
আর পাছ-আনফাছ অভ্যাস
হয়ে গেলে
পরবর্তী ছবক
নিতে হবে।
পরকালের পাথেয় সম্পর্কে
মুজাদ্দিদে আ’যম,
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ
হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী বলেন, মানুষ দুনিয়ায়
হালাল কামাই
করার জন্য
যতটুকু কামাই
করতে পারে
তার ফায়দার
জন্য করে,
ঠিক পরকালেও
এরকম লাগবে। যমীনে
টাকা-পয়সা
প্রয়োজন কিন্তু
পরকালে তো
নেকীটাই তার
ঐ ছূরতে
আসবে।
এখন যদি
আমরা এখান
থেকে নেকী
পয়দা করে
যেতে পারি
তাহলে সেখানে
আমাদের কাজে
লাগবে।
আর যদি
নেকী না
থাকে তাহলে
কী করে
কাজ করবে। এজন্য
যিকির-ফিকির,
পাছ-আনফাছ,
ইশা-ফযর
দরূদ শরীফ
এবং পরবর্তী
ছবকগুলো যত
বেশী করা
যাবে ফায়দা
তত বেশী।