নোটিশ

মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১১

ইসলামের দৃষ্টিতে নারী নেতৃত্ব নাজায়িয ও হারাম



যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আযম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেছেন, “ইসলামে নারী নেতৃত্বের ব্যাপারে নিষেধ নেই।এটা ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে ছূদের ফতওয়া। রাজাকার ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারা ক্ষমতার লোভে আজ নারী নেতৃত্ব জায়িয করেছে।

মুজাদ্দিদে আযম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আজ যারা ইসলামের নামে নারী নেতৃত্ব জায়িয করছে তাদের অধিকাংশই রাজাকার। তারা সবাই ধর্মব্যবসায়ী। ৭১-এ এরাই নারীর ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে। আবার আজকে এরাই ক্ষমতার জন্য নারী নেতৃত্ব জায়িয করেছে।

মুজাদ্দিদে আযম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, রাজাকার ধর্মব্যবসায়ীরা ৭১ সালে যেমন ধর্মের অপব্যাখ্যা করে জালিম পাকিস্তানিদের সাথে ক্ষমতার ভাগ লাভ করেছিল এখনও তেমনি তারা ইসলামের অপব্যাখ্যা করে ক্ষমতার ভাগ নিয়েছে ও ক্ষমতার ভাগ লাভ করতে চাচ্ছে।

মুজাদ্দিদে আযম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ধর্মব্যবসায়ী রাজাকাররা রানী বিলকিসের কথা উল্লেখ করে নারী নেতৃত্ব জায়িয করার কথা বলে। কিন্তু তারা জাহিল বলেই বুঝতে পারে না অথবা না বোঝার ভান করে থাকে, যে হযরত সোলাইমান আলাইহিস সালাম-এর শরীয়ত আর আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শরীয়ত এক নয়।



মুজাদ্দিদে আযম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ইসলামে নারী নেতৃত্ব সমর্থন থাকলে আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বেছাল মুবারকের পর খলীফা হতেন উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম। কারণ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার কাছ থেকে মানুষ অর্ধেক দ্বীন শিক্ষা করবে। কিন্তু তারপরেও খিলাফতের দায়িত্বে তিনি আসেননি বা নেননি। এরপর নারী নেতৃত্ব জায়িয হলে খেলাফতের দায়িত্বে আসতেন হযরত মা ফাতিমা আলাইহাস সালাম। উনার সম্পর্কে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, হযরত ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হচ্ছেন আমার কলিজার টুকরা ও বেহেশতের মহিলাদের সাইয়্যিদা। (সুবহানাল্লাহ) কিন্তু তারপরেও উনারা খিলাফতের দায়িত্ব নেননি বা নিতে আগ্রহ পোষণ করেননি।



মুজাদ্দিদে আযম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এ স্পষ্টভাবে নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক স্পষ্ট ভাষায় বর্ণনা করেছেন, “আল্লাহ পাক পুরুষদেরকে নারীদের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন।



মুজাদ্দিদে আযম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, খিলাফতে জিহাদের নেতৃত্ব দেয়া, জুমুয়ার ইমামতি করা খলীফাদের দায়িত্ব। কিন্তু মহিলাদের দ্বারা তা সম্ভব নয়। এজন্য আল্লাহ পাক মহিলাদেরকে নবীও করেননি।



মুজাদ্দিদে আযম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “সেই ক্বওম কখনোই কল্যাণ লাভ করবে না যে ক্বওমের প্রধান হবে মহিলা। (বুখারী শরীফ)



হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “যখন তোমাদের শাসনভার মহিলাদের উপর ন্যস্ত হয় তখন যমীনের উপরিভাগ থেকে যমীনের তলভাগ তোমাদের জন্য উত্তম। অর্থাৎ বেঁচে থাকার চেয়ে মারা যাওয়াই ভাল।(তিরমিযী শরীফ)



মুজাদ্দিদে আযম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আজ যারা ইসলামের নামে নারী নেতৃত্ব জায়িয বলেছে তাদের অতীত লেখা বই-পুস্তকে নারী নেতৃত্বকে তারাই নাজায়িয ও হারাম বলেছে। কাজেই তারা যে বর্ণচোরা, ধর্মব্যবসায়ী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারাই হাদীছ শরীফ-এ ঘোষিত দাজ্জালে কাযযাব। তারা আল্লাহ পাক-এর যমীনে নিকৃষ্ট প্রাণী। তাদের থেকে দূরে থাকা ও তাদেরকে দূরে রাখা মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব।