যামানার ইমাম ও
মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, মুর্শিদে
আ’যম,
ইমামুল আইম্মাহ,
মুহইস্ সুন্নাহ,
কুতুবুল আলম,
আওলাদে রসূল,
সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেছেন,
শরীয়তের দৃষ্টিতে যারা
‘বন্ধু দিবস’
পালন করবে
তারা কুফরী
করবে।
কারণ মুসলমানদের
জন্য আলাদা
কোনো ‘বন্ধু
দিবস’ নেই। আর
মুসলমানদের জন্য বিধর্মীদের অনুসরণ করাও
জায়িয নেই। বাংলাদেশে
‘বন্ধু দিবস’
প্রবর্তনের পিছনে রয়েছে ইহুদী ও
মুশরিক এজেন্ট
মিডিয়া তথা
পাশ্চাত্য সংস্কৃতি বিপণনকারী ও চিহ্নিত
ব্যবসায়ী মহলের
স্বার্থ।
মুসলমানদের জন্য এ গভীর ষড়যন্ত্র
সম্পর্কে সচেতন
হওয়া এবং
তা থেকে
বিরত থাকা
ও বিরত
রাখা এবং
শক্তভাবে প্রতিহত
করা ফরজ-ওয়াজিব।
‘তথাকথিত বন্ধু
দিবস’ পালনের
প্রতিক্রিয়ায় গতকাল রাজারবাগ শরীফ-এ
তিনি এসব
কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
আজকে এদেশে
আশুরা, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম,
পহেলা রজব,
লাইলাতুর্ রগায়িব, শবে মি’রাজ,
শবে বরাত,
ঈদে মীলাদুন্
নবী ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম পালনে
কোন ঘনঘটা
নেই, আবেগ
নেই, উৎসাহ
নেই, অনুভূতি
নেই, চেতনা
নেই, প্রেরণা
নেই।
কিন্তু থার্টি
ফার্স্ট নাইট,
ভ্যালেন্টাইন ডে, পহেলা বৈশাখ, বসন্ত
উৎসব, বিশ্ব
যুব দিবস,
বন্ধু দিবস
ইত্যাদি সব
বিজাতীয় দিবস-
বিজাতীয় সংস্কৃতিতে
পালনের মচ্ছব
চলছে।
(নাঊযুবিল্লাহ)
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
নামধারী ও
ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারা অর্থাৎ উলামায়ে ছূ’রা ইহুদী
ষড়যন্ত্র ও
প্রেসক্রিপশনে ইসলামী অনুষঙ্গ বা ইসলামের
বিশেষ বিশেষ
দিনগুলো পালনে
মুসলমানদের নিরুৎসাহিত করার কারণে মুসলমানদের
ভিতরে চিরন্তন
ও ঐতিহ্যবাহী
ইসলামী অনুভূতিগুলি
নষ্ট হয়ে
গিয়েছে এবং
সে কারণেই
আজ মুসলমানদের
মাঝে থার্টি
ফার্স্ট নাইট,
ভ্যালেন্টাইন ডে, পহেলা বৈশাখ, বিশ্ব
যুব দিবস,
বন্ধু দিবস
ইত্যাদি বিজাতীয়
ও নাজায়িয
সংস্কৃতি মাথাচাড়া
দিয়ে উঠেছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
কথিত বন্ধু
দিবসের চেতনা
হলো, পৃথিবীর
যে কোন
ধর্মের যে
কোন দেশের
যে কেউ
বন্ধু হতে
পারে।
কিন্তু ইসলাম
তা সমর্থন
করে না। কুরআন
শরীফ-এ
আল্লাহ পাক
ইরশাদ করেন,
“হে ঈমানদারগণ!
তোমরা ইহুদী-নাছারাদের বন্ধুরূপে
গ্রহণ করো
না।
তারা একজন
আরেকজনের বন্ধু। তোমাদের
মধ্যে যে
কেউ তাদেরকে
বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে সে তাদেরই
অন্তর্ভুক্ত হবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
বিধর্মীদের বন্ধুরূপে গ্রহণের পরিবর্তে বরং
তাদেরকে শত্রুরূপে
গ্রহণের জন্য
কুরআন-সুন্নাহয়
শক্ত নির্দেশ
রয়েছে।
যেমন, কুরআন
শরীফ-এ
ইরশাদ হয়েছে,
“হে ঈমানদারগণ!
তোমরা আমার
শত্রু ও
তোমাদের শত্রুকে
তথা ইহুদী,
মুশরিক, নাছারা
ইত্যাদি বিধর্মীদেরকে
বন্ধু হিসেবে
গ্রহণ করনা।” আরো
ইরশাদ হয়েছে,
“ইহুদীরা মুসলমানদের
চরম শত্রু। এরপর
পৌত্তলিক বা
হিন্দুরা।”
এছাড়া কুরআন
শরীফ-এ
বার বার
বলা হয়েছে,
“শয়তান মুসলমানদের
প্রকাশ্য শত্রু।” আর
সমস্ত বিধর্মীরাই
শয়তানের বন্ধু। কাজেই
শয়তানের বন্ধু
কখনও মুসলমানের
বন্ধু হতে
পারে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
বন্ধু দিবসের
চেতনার আঙ্গিকে
যারা বন্ধু
বলে দাবী
করে তাদের
কাউকেই বন্ধুরূপে
গ্রহণ করা
ইসলামের দৃষ্টিতে
জায়িয নেই। কারণ,
কথিত বন্ধু
দিবসের চেতনায়
যারা ভাসমান
তারা সবাই
নাচগান, বেপর্দা,
বেহায়ার সাথে
মত্ত।
তারা কেউ
ইসলামের প্রতি
নিবেদিত নয়। বরং
ইসলামের দৃষ্টিতে
ফাসিক।
আর হাদীছ
শরীফ-এ
বর্ণিত রয়েছে,
“মানুষ তার
বন্ধুর দ্বারা
প্রভাবিত হয়। সুতরাং
সে যেন
বন্ধু গ্রহণ
করার আগে
বিচার করে
নেয়।”
আর কুরআন
শরীফ-এ
আল্লাহ পাক
ইরশাদ করেন,
“তোমরা তাকে
অনুসরণ করো
না যার
ক্বলব বা
অন্তঃকরণ আমার
যিকির থেকে
গাফিল।
এবং সে
কারণে সে
তার নফছকে
অনুসরণ করে
আর তাই
তার কাজগুলো
হয় শরীয়তের
খেলাফ।”
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
কথিত বন্ধু
দিবসের বন্ধুত্ব
আর মুসলমানের
বন্ধুত্ব এক
নয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে
বন্ধুত্ব হতে
হবে আল্লাহ
পাক-এর
জন্য।
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ
হয়েছে, “আল্লাহ
পাক-এর
জন্য বন্ধুত্ব
আর আল্লাহ
পাক-এর
জন্য বিদ্বেষ।”
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
সাত ব্যক্তিকে
আল্লাহ পাক উনার ছায়ায়
স্থান দেবেন
যেদিন উনার
ছায়া ছাড়া
কোন ছায়া
থাকবে না। তন্মধ্যে
যে দু’ব্যক্তি আল্লাহ
পাক-এর
ওয়াস্তে পরস্পরকে
মুহব্বত করে,
আল্লাহ পাক-এর ওয়াস্তেই
মিলিত হয়
এবং উনার
জন্যেই আলাদা
হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
ইসলামে বন্ধু
দিবস বলে
আলাদা কোন
দিবস নেই। কেবল
এক
দিবসেই বন্ধুত্বের
চেতনা জাহির
করা হবে
সে কথা
নেই।
বরং ইসলামের
বন্ধুত্ব আল্লাহ
পাক-এর
জন্য সারাজীবন
ও সব
সময়।
তা কোন
দিন ও
ক্ষণে সীমাবদ্ধ
নয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
‘ইসলামের দৃষ্টিতে
তথাকথিত বন্ধু
দিবসের চেতনা
হারাম’- এ
ফতওয়া যারা
না মানবেনা
তারা কিন্তু
ঠিকই অন্য
ধর্মের তথা
খ্রীষ্ট ধর্মের
চেতনা গ্রহণ
করবে এবং
নিজেদের খ্রীস্টান
অনুরাগী বলে
প্রমাণ করবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
বাইবেলে ‘রুথ
এবং নাওমির’
মধ্যে রোমান্টিক
বন্ধুত্বের কথা বলা হয়েছে।
এ ধরনের
আরো অনেকের
মধ্যে বন্ধুত্বের
কথা বলা
হয়েছে।
বাইবেলের এই
চেতনা থেকে
১৯৩৫ সালে
ইউএস কংগ্রেস
বন্ধু দিবস
চালু করে
আগস্টের প্রথম
রোববার।
এদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর
আমেরিকা ইউরোপের
বিভিন্ন দেশের
সংঘাত দূর
করার জন্য
প্রচারণা চালানো
হয় দেশে
দেশে বন্ধুত্ব
না হলে
ভিন দেশের
ব্যক্তি, ব্যক্তিত্বে
বন্ধুত্ব গড়ে
তোলা হোক
এবং বিশ্ব
বন্ধু দিবসের
প্রচারণা চালানো
হোক।
এরপর মহাভারত
থেকে কৃষ্ণের
বন্ধুত্বের ধারণাও এই বন্ধু দিবসের
চেতনার সাথে
সম্পৃক্ত করা
হয়।
এরপর বন্ধু
দিবসের চেতনায়
আরো কয়েকটি
প্রচারণার সংযুক্ত করা হয়।
উইমেন্স ফ্রেন্ডশিপ
ডে আগস্টের
তৃতীয় রোববার। নতুন
ও পুরাতন
বন্ধু সপ্তাহ
মে মাসের
তৃতীয় সপ্তাহ। সমগ্র
ফেব্রুয়ারি মাস হচ্ছে আন্তর্জাতিক বন্ধু
মাস।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
তথাকথিত বন্ধু
দিবসের নামে
মূলতঃ চলে
বেপর্দা-বেহায়াপনার
নির্লজ্জ উৎসব। যাতে
ইবলিস শয়তানের
ওয়াস্ওয়াসা
থাকে ও
নফস বা
প্রবৃত্তির উদ্দামতা যুক্ত হয়।
যা কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক
শক্ত কবীরাহ
গুনাহ এবং
পরকালে এসব
কাজের জন্য
কঠিন শাস্তি
পেতে হবে
তথা জাহান্নামে
যেতে হবে। কারণ,
এ দিবসের
প্রবর্তন হয়েছে
বিধর্মীদের থেকে এবং তা পালিত
হয় বেশরীয়তী
পন্থায়।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
হাদীছ শরীফে
ইরশাদ হয়েছে,
হযরত আব্দুল্লাহ
ইবনে উমর
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি
বলেন, আল্লাহ
পাক-এর
হাবীব হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ইরশাদ
করেন, “যে
ব্যক্তি যে
সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে
তাদের দলভুক্ত
এবং তার
হাশর-নশর
তাদের সাথেই
হবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
অতএব, মুসলমানের
জন্য বিধর্মীদের
অনুসরণ করে
বন্ধু দিবস
পালন করা
কুফরী ও
শিরকের অন্তর্ভুক্ত। এর
থেকে বেঁচে
থাকা সকলের
জন্য ফরজ।