সুতরাং গ্রিনিচের পরিবর্তে প্রথম যমীন কাবা শরীফ যা ইহুদী-নাছারাসহ সকলেরই রসূল হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-এরও ক্বিবলা তা থেকে পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য সমস্ত স্থানের সময় নির্ধারণ করা উচিত।”
গ্রিনিচের পরিবর্তে পবিত্র
কাবা শরীফ-এর উপর
দিয়ে পৃথিবীর
মূল মধ্যরেখা
বিবেচনা করে
বিশ্বের সকল
সময়- অঞ্চল
নির্ধারণ করা
প্রসঙ্গে রাজারবাগ শরীফ-এ তিনি
এসব কথা
বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
আমাদের মুসলমানদের
প্রতিদিনের যে নামাযের সময়সূচি তা
তৈরি হয়
প্রতিটি দেশের
স্থানীয় সময়
অনুযায়ী।
আর প্রতিটি
দেশের স্থানীয়
সময় নির্ধারিত
হয়েছে গ্রিনিচের
সময়কে আদর্শ
সময় ধরে। অথচ
গ্রিনিচের পরিবর্তে পবিত্র কাবা শরীফ
থেকেই পৃথিবীর
সকল স্থানের
সময়- অঞ্চল
নির্ধারিত হওয়া উচিত ছিল।
যেখানে মহান
আল্লাহ পাক
পবিত্র কাবা
শরীফ সম্পর্কে
ইরশাদ করেন,
“যা নিয়ামত
দ্বারা পূর্ণ
এবং মানব
ও জিন
জাতির জন্য
পথ প্রদর্শক।” সেখানে
পবিত্র কাবা
শরীফ অবশ্যই
সময়েরও পথ
প্রদর্শক।
অথচ আজ
মুসলমানদের প্রতিদিনের সময় নিরূপণ হয়
ব্রিটিশদের গ্রিনিচের সময় ধরে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
গ্রিনিচ রয়াল
অবজারভেটরী প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬৭৫ সালে। গ্রিনিচ
মেরিডিয়ানকে মূল মধ্যরেখা (প্রাইম মেরিডিয়ান)
হিসেবে বিবেচনা
করা হয়
১৮৮৪ সালে। কোন
বিখ্যাত এবং
ঐতিহাসিক স্থান
বলে গ্রিনিচ
থেকে প্রাইম
মেরিডিয়ান কল্পনা করা হয়নি বরং
এর পেছনে
ছিল রাজনৈতিক
কারণ।
এক সময়
ব্রিটিশরা পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে আধিপত্য বিস্তার
করতে পেরেছিল
বলে তারা
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গ্রিনিচ থেকে সময়
নির্ধারণের বিষয়টি পৃথিবীর উপর চাপিয়ে
দিয়েছে।
অথচ গ্রিনিচের
পূর্বেও ব্রাসেলস,
কোপেনহেগেন, আলেকজান্দ্রিয়া, জেরুজালেম,
মাদ্রিদ, প্যারিস
এ সকল
এলাকাও প্রাইম
মেরিডিয়ান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
পৃথিবীর কোন
স্থানের উপর
দিয়ে যদি
প্রাইম মেরিডিয়ান
স্থির করতে
হয়, পৃথিবীর
কোন স্থানের
সময়কে প্রমাণ
সময় ধরে
যদি পৃথিবীর
বিভিন্ন অঞ্চলের
সময় নির্ধারণ
করতে হয়,
তবে সেই
স্থান হওয়া
উচিত পবিত্র
কাবা শরীফ।
বর্তমানে বিভিন্ন পর্যায়
থেকে গ্রিনিচ
মিন টাইম-এর পরিবর্তে
মক্কা শরীফ
মিন টাইম
নির্ধারিত হবার বিষয়ে আলোচনা তুললেও
তারা সুনির্দিষ্ট
কারণটি ব্যাখ্যা
করতে পারেনি। কেউ
কেউ কাবা
শরীফ-এর
ভৌগলিক অবস্থান,
চৌম্বকীয় অবস্থান
ইত্যাদি বললেও
প্রকৃত উত্তর
থেকে দূরে
সরে আছেন। সঠিক
উত্তর গ্রহণ
করতে হবে
কুরআন শরীফ
ও হাদীছ
শরীফ থেকে। মহান
আল্লাহ পাক
সূরা আলে
ইমরান-এর
৯৬ নম্বর
আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ
করেন, “প্রকৃতপক্ষে
মানবজাতির জন্য প্রথম যে ঘর
তৈরি করা
হয়েছিল তা
হচ্ছে ঐ
বাক্কা বা
কাবা শরীফ। যা
নিয়ামত দ্বারা
পূর্ণ এবং
মানবজাতির জন্য পথ প্রদর্শক।”
সুতরাং কাবা
শরীফ পৃথিবীর
সবচেয়ে প্রাচীনতম
স্থান।
প্রশ্ন হতে
পারে ইহুদী,
খ্রিস্টানরা কেন মুসলমানদের বিষয়টি মেনে
নিবে।
প্রকৃতপক্ষে ইহুদী খ্রিস্টানরাও কাবা শরীফ-এর অবস্থান,
মান-মর্যাদা,
ঐতিহাসিক গুরুত্ব
সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
হযরত নূহ
আলাইহিস সালাম-এর মহা
প্লাবনের পর
হযরত ইব্রাহীম
আলাইহিস সালাম
এই পবিত্র
কাবা শরীফ-এর পুনঃনির্মাণ
করেন।
হযরত ইব্রাহীম
আলাইহিস সালাম-এর দুই
সন্তান হযরত
ইসমাইল আলাইহিস
সালাম এবং
হযরত ইসহাক
আলাইহিস সালামকেও
আল্লাহ পাক
নবী হিসেবে
কবুল করেন। হযরত
ইসমাইল আলাইহিস
সালাম-এর
বংশধরদের মধ্য
থেকে তাশরীফ
নেন নূরে
মুজাস্সাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম
এবং হযরত
ইসহাক আলাইহিস
সালাম এবং
তাঁর বংশধরদের
মধ্য থেকে
আসেন হযরত
মুসা আলাইহিস
সালাম এবং
পরে হযরত
ঈসা আলাইহিস
সালাম।
সূতরাং ইহুদী
এবং খ্রিস্টানসহ
সকল আহলে
কিতাবের কাছেই
কাবা শরীফ-এর অপরিসীম
গুরুত্ব রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
সকল বর্ণের,
সকল গোত্রের,
সকল জাতির
আদি পিতা
হচ্ছেন হযরত
আদম আলাইহিস
সালাম।
যিনি প্রথম
মানুষ এবং
নবী।
তাঁর সঙ্গে
সংশ্লিষ্ট কোন কিছুর ইতিহাসের চেয়ে
পুরনো কোন
ইতিহাস নেই,
থাকতে পারে
না।
যদি কোন
কারণে কোন
স্থানকে ঐতিহাসিক
গুরুত্বের কারণে নির্বাচন করা হয়,
তবে প্রথম
গুরুত্ব পাবে
বাইতুল্লাহ শরীফ বা কাবা শরীফ;
যার চেয়ে
ঐতিহাসিক কোন
স্থান এই
যমীনে নেই।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
সুতরাং গ্রিনিচের
পরিবর্তে কাবা
শরীফকে কেন্দ্র
করেই সমস্ত
পৃথিবীর সময়-
অঞ্চলকে নির্ধারণ
করতে হবে। পৃথিবীর
২৪০ কোটির
অধিক মুসলমানের
এখনই সময়
এ বিষয়ে
সজাগ ও
সচেতন হওয়া। মনে
রাখতে হবে
এ পৃথিবীটা
মুসলমানদের। কাফির, মুশরিকদের নয়। মুসলমানদের
কারণেই ইহুদী-মুশরিকরা রিযীকপ্রাপ্ত
হয়।