মহান আল্লাহ পাক
তিনি ইরশাদ
করেন, ‘হে
আমার হাবীব
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি
আপনাকে এবং
আপনার যিকির
(মর্যাদা-মর্তবা)কে সমুন্নত
করেছি।’
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ করেন,
‘আমি তোমাদের
কারো মতো
নই।’
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
সাধারণ মানুষের
ন্যায় যমীনে
আগমন করেননি।
বরং উনার হযরত
আম্মাজান আলাইহাস
সালাম উনার
বাম পার্শ্বের
পাঁজর মুবারক-এর নিচ
থেকে কুদরতীভাবে
আগমন করেছেন।
যা উনার বেমেছাল
ত্বহারাত বা
পবিত্রতার বহিঃপ্রকাশ ও বেমেছাল মর্যাদার
মধ্যে একটি
বিশেষ মর্যাদা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ,
যামানার ইমাম
ও মুজতাহিদ,
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ,
কুতুবুল আলম,
আওলাদে রসূল,
সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন,
মহান আল্লাহ
পাক তিনি
উনার হাবীব
নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম
উনাকে বেমেছাল
ফাযায়িল-ফযীলত,
মর্যাদা-মর্তবা,
শান-মান
দান করেছেন। মহান
আল্লাহ পাক
তিনি ইরশাদ
করেন, “হে
আমার হাবীব
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি
আপনাকে এবং
আপনার যিকির
(মর্যাদা-মর্তবা)কে সমুন্নত
করেছি।”
আসন্ন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে
ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে
ঈদে আকবর
অর্থাৎ কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ
ঈদ পবিত্র
ঈদে মীলাদুন
নবী ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ১৪৩৩
হিজরী-এর
গুরুত্ব ও
নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম
উনার বেমেছাল
শান-মান,
মর্যাদা-মর্তবা
ও ফাযায়িল-ফযীলত আলোচনাকালে
তিনি এসব
কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন,
মহান আল্লাহ
পাক রব্বুল
আলামীন তিনি
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম
উনার মুহব্বতেই
সবকিছু সৃষ্টি
করেছেন।
এ প্রসঙ্গে
হাদীছে কুদসী
শরীফ-এ
ইরশাদ হয়েছে,
“হে আমার
হাবীব ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম! আপনি
ছাড়া যত
কিছু রয়েছে
সব আপনার
জন্যই সৃষ্টি
করেছি।”
সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন,
হাদীছে কুদসী
শরীফ-এ
এসেছে, মহান
আল্লাহ পাক
তিনি ইরশাদ
করেন, “আমি
আপনাকে খলীল
ও হাবীব
হিসেবে গ্রহণ
করেছি।”
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন,
মহান আল্লাহ
পাক তিনি
ইরশাদ করেন,
“মহান আল্লাহ
পাক তিনি
উনার দিকে
বা উনার
জন্য মনোনীত
করেন যাঁকে
ইচ্ছা উনাকেই।” (সূরা
শূরা : আয়াত
শরীফ ১৩)
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন,
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি
এবং পূর্ববর্তী
আম্বিয়া আলাইহিমুস
সালামগণ উনারা
কেউই সাধারণ
মানুষের মতো
আগমন করেননি। যেহেতু
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস
সালামগণ উনারা
মহান আল্লাহ
পাক উনার
খাছ ও
বিশেষভাবে মনোনীত বান্দা। তাই
মহান আল্লাহ
পাক তিনি
হযরত নবী
ও রসূল
আলাইহিমুস সালামগণ উনাদেরকে উনার শান-মান হেতু
স্বীয় কুদরত
মুবারক দ্বারা
আলাদাভাবে সৃষ্টি করেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন,
এ প্রসঙ্গে
কিতাবে বর্ণিত
হয়েছে, জেনে
রাখুন! সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
বিলাদত শরীফ
বা আগমনের
পদ্ধতি সম্পর্কে
চারটি ক্বওল
শরীফ রয়েছে।
১. নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম
উনার হযরত
আম্মাজান আলাইহাস
সালাম উনার
বাম পার্শ্বের
পাঁজর মুবারক-এর নিচ
দিয়ে কুদরতীভাবে
আগমন করেছেন।
২. স্বাভাবিক স্থান
ও নাভির
মধ্যবর্তী স্থান হতে।
৩. স্বীয় মাতা
আলাইহাস সালাম
উনার মুখ
হতে।
৪. স্বাভাবিকভাবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন,
আখিরী রসূল,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম
উনার বিলাদত
শরীফ সম্পর্কে
আহলে সুন্নত
ওয়াল জামায়াতের
সকল ইমাম-মুজতাহিদ ও
আউলিয়ায়ে কিরাম
রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের অভিমত হলো,
“হযরত আম্বিয়া
আলাইহিমুস সালামগণ উনারা ব্যতীত সমস্ত
মানুষই স্বাভাবিকভাবে
জন্মগ্রহণ করেন। আর সমস্ত
হযরত আম্বিয়া
আলাইহিমুস সালামগণ উনারা স্বাভাবিক স্থান
ও নাভির
মধ্যবর্তী স্থান হতে কুদরতীভাবে আগমন
করেছেন।
আর আমাদের
নবী সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
উনার আম্মাজান
আলাইহাস সালাম
উনার বাম
পার্শ্বের পাঁজর মুবারক-এর নিচ
থেকে কুদরতীভাবে
আগমন করেছেন।” (উমদাতুন
নুকুল ফি
কাইফিয়াতি বিলাদাতির রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন,
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ও
সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস
সালামগণ উনারা
সাধারণ মানুষের
মতো আগমন
করেননি।
বরং আল্লাহ
পাক তিনি
উনাদেরকে খাছ
কুদরতীভাবে সৃষ্টি করেছেন। এ
সম্পর্কে কিতাবে
আরো বর্ণিত
আছে যে,
“হযরত আম্বিয়া
আলাইহিমুস সালামগণ উনারা স্বাভাবিক পথে
আগমন করেছেন,
একথা সম্পূর্ণরূপেই
অশুদ্ধ।”
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন,
“মালিকী মাযহাবের
ইমামগণ এজন্যই
ওই ব্যক্তিকে
ক্বতল করার
ফতওয়া দিয়েছেন,
যে ব্যক্তি
বলবে যে,
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
স্বাভাবিকভাবে আগমন করেছেন।” (উমদাতুন
নুকুল ফি
কাইফিয়াতি বিলাদাতির রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন,
আমাদের আহলে
সুন্নত ওয়াল
জামায়াতের আক্বীদা হলো- নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম
উনার হযরত
আম্মাজান আলাইহাস
সালাম উনার
রেহেম শরীফ
হতে সাধারণ
মানুষের ন্যায়
আগমন করেননি। বরং
তিনি উনার
হযরত আম্মাজান
আলাইহাস সালাম
উনার বাম
পার্শ্বের পাঁজর মুবারক-এর নিচ
থেকে কুদরতীভাবে
আগমন করেছেন। যা
উনার বেমেছাল
ত্বহারাত বা
পবিত্রতার বহিঃপ্রকাশ ও বেমেছাল মর্যাদার
মধ্যে একটি
বিশেষ মর্যাদা।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন,
মহান আল্লাহ
পাক উনার
হাবীব হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার
মর্যাদা-মর্তবা
বর্ণনা করে
শেষ করার
মতো নয়। উনার
ফাযায়িল-ফযীলত
শ্রেষ্ঠত্বের বর্ণনা করতে গিয়ে সমুদ্রের
পানিকে কালিস্বরূপ
এবং সমস্ত
গাছ-পালাকে
কলমরূপে ব্যবহার
করে সমস্ত
জিন-ইনসান
ক্বিয়ামত পর্যন্ত
লিখতে থাকলেও
সমস্ত কিছুই
নিঃশেষ হয়ে
যাবে, তবুও
উনার ফাযায়িল-ফযীলত বা
শ্রেষ্ঠত্বের কিঞ্চিৎ বর্ণনাও লিখে শেষ
করা যাবে
না।
এক কথায়
তিনি শুধু
আল্লাহ পাক
নন, এছাড়া
সকল ছানা
ছিফত মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত-এর
অধিকারী হচ্ছেন
নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন,
মূলত যে
ব্যক্তি মহান
আল্লাহ পাক
উনার হাবীব
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
ছানা-ছিফত
করবে, শান-মান বর্ণনা
করবে প্রকৃতপক্ষে
সে নিজেই
ফায়দা লাভ
করবে।
এ প্রসঙ্গে
বিশিষ্ট ছাহাবী
হযরত হাসসান
বিন ছাবিত
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন,
‘আমি আমার
প্রশংসামূলক কবিতার দ্বারা মহান আল্লাহ
পাক উনার
হাবীব হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার
শান-মান
কিছুই বাড়াতে
পারিনি।
বরং উনার
ছানা-ছিফত
বা প্রশংসা
করার কারণে
আমার কবিতা
এবং আমি
নিজেই সম্মানিত
ও মর্যাদাবান
হয়েছি।’
সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন,
আমাদের সকলের
দায়িত্ব ও
কর্তব্য হলো-
আল্লাহ পাক
উনার প্রিয়তম
হাবীব হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার
শান-মান,
মর্যাদা-মর্তবা
উপলব্ধি করতঃ
উনার প্রতি
যথাযথ তা’যীম-তাকরীম
ও সম্মান
প্রদর্শন এবং
পরিপূর্ণ ছানা-সিফত করার
মাধ্যমে মহান
আল্লাহ পাক
ও উনার
হাবীব হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাদের
খাছ রেযামন্দি
হাছিল করা।