সূর্য পূর্ণভাবে উদিত হবার পর থেকে (অর্থাৎ
মাকরূহ্ ওয়াক্ত শেষ হবার পর থেকে অথবা সূর্য উদয়ের শুরু থেকে ঘড়ির মিনিট অনুযায়ী
২৩মিঃ পর) ঈদের নামাযের ওয়াক্ত শুরু হয়। আর যাহওয়াতুল কুবরা বা যাওয়াল অথবা শরয়ী
অর্ধদিন বা দ্বিপ্রহর অর্থাৎ সূর্যের এস্তাওয়া (বরাবর হওয়া) আরম্ভ হবার পূর্ব
পর্যন্ত ঈদের নামাযের ওয়াক্ত থাকে।
ফজরের ওয়াক্ত শেষ হবার পর ২৩মিঃ পর্যন্ত
মাকরূহ্ ওয়াক্ত এবং এর পর ঈদের নামাযের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং যোহরের ওয়াক্ত শুরু
হবার ১ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত ঈদের নামযের ওয়াক্ত থাকে। সূর্য পূর্ণভাবে উদিত হবার
পর থেকে অর্থাৎ মাকরূহ্ ওয়াক্ত যা ঘড়ির হিসাব অনুযায়ী ২৩ মিনিট অতিক্রম হবার
পূর্বে ঈদের নামায আদায় করলে নামায হবে না এবং যোহরের নামাজের ওয়াক্ত হবার পূর্বের
১ঘণ্টা যা মাকরূহ্ ওয়াক্ত নামে পরিচিত অর্থাৎ যাহওয়াতুল কোবরা বা সূর্যের এস্তাওয়া
(বরাবর হওয়া) আরম্ভ হবার পর ঈদের নামায আদায় করলে তা আদায় হবে না।
ঈদের নামায কোন সময় আদায় করলে তা সুন্নত হবে
সে সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “ঈদের দিন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ফজরের নামায পড়ে
হুজরা শরীফে যেয়ে সকাল সকাল গোসল করতেন এবং ঈদুল ফিতর-এর দিন বিজোড় সংখ্যক (৩,
৫,৭) খোরমা, খেজুর খেয়ে ঈদগাহে যেতেন। আর ঈদুল আযহার সময় কিছু না খেয়ে সরাসরি ঈদগাহে
যেতেন এবং ঈদের নামাযের ওয়াক্ত হবার সাথে সাথে ঈদের নামায আদায় করতেন এবং তারপর
খুৎবা দিতেন ও নছীহত করতেন।”
”হযরত আবুল হোয়ায়রেস্ রদ্বিয়াল্লাল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আমর ইবনে হাযাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনাকে নাজরানের গভর্ণর থাকা অবস্থায় চিঠি দিয়ে আদেশ করেছেন, ঈদুল আযহার নামায খুব সকাল সকাল পড়বে এবং ঈদুল ফিতর-এর নামায ঈদুল আযহার
চেয়ে অল্প একটু দেরীতে পড়বে এবং নামাযের পরে মানুষকে নছীহত করবে।”
কাজেই, ঈদের নামায সকাল সকাল পড়া সুন্নত। ঈদের নামাযের সম্মানার্থে এবং ঈদের নামায
যাতে আদায় দেরি না হয়, সেজন্য ঈদের দিন ইশরাকসহ
অন্যান্য নামায পড়া নিষিদ্ধ।
আল বাইয়্যিনাত: ২০৭তম সংখ্যা |
বিভাগ: সুওয়াল জাওয়াব