দুনিয়ার ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই ফরয।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হাদীছ শরীফের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “দুনিয়া ধোঁকাপূর্ণ স্থান।”
তিনি বলেন, বস্তুতঃ দুনিয়া যে আল্লাহ পাক-এর কাছে কতটুকু অপছন্দনীয়, সে প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক-এর রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কোন ব্যক্তি যদি কোন ধনী ব্যক্তিকে, সে দ্বীনদার হোক, শত দ্বীনদার হোক, তার ধনের জন্য তাকে তা’যীম-তাকরীম করে, তাহলে তার দ্বীনের তিন ভাগের দু’ভাগ ধ্বংস হয়ে যাবে।” তিনি বলেন, দুনিয়ার মোহ থেকে প্রত্যেককেই দূরে সরে থাকতে হবে। আল্লাহ পাক-এর ধ্যানে-খেয়ালে, মুহব্বতে গরক্ব বা মশগুল থাকতে হবে হাদীছ শরীফের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহ পাক-এর রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “দুনিয়ার মুহব্বত সমস্ত গুনাহের মূল। আর দুনিয়ার মুহব্বত তরক করে দেয়া সমস্ত ইবাদতের মূল।” হাদীছ শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরো বলেন, আল্লাহ পাক-এর রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “আদম সন্তান বলে- আমার মাল, আমার মাল, (আমার সম্পদ, আমার বাড়ী, আমার গাড়ী, আমার জায়গা-সম্পত্তি ইত্যাদি, আমার অনেক কিছু রয়েছে) কিন্তু তিনটা ব্যতীত তার সম্পদ নয়। প্রথমটি হচ্ছে, যেটা সে খেয়ে হজম করে ফেলেছে।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে, যেটা সে পরিধান করে পুরাতন করে ফেলেছে। যেটা অন্য কারো পক্ষে পরিধান করা সম্ভব নয়।
আর তৃতীয়টি হচ্ছে, যেটা তার ভবিষ্যতের জন্য সে দান করে দিয়েছে। অর্থাৎ পরকালের জন্য,আল্লাহ পাক-এর জন্য যেটা দান করে দিয়েছে। এই তিনটি তার সম্পদ।’ এই তিনটা ছাড়া আর কিছুই তার মাল বা সম্পদ নয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, দুনিয়ার মুহব্বতের কারণে মানুষ আল্লাহ পাক -এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সরে যায়, ঈমান থেকে, ইসলাম থেকে সরে যায় এবং অবশেষে সে জাহান্নমী হয়ে যায়।
কুরআন শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “তোমরা কি দুনিয়াবী জিন্দেগীতে সন্তুষ্ট রয়েছ, পরকালের পরিবর্তে? তোমরা জেনে রাখ, দুনিয়ার জিন্দেগী, পরকালের জিন্দেগীর তুলনায় যৎসামান্য ব্যতীত কিছুই নয়।’
কাজেই প্রত্যেককেই দুনিয়ার মোহ থেকে, দুনিয়ার মুহব্বত থেকে সতর্ক থাকতে হবে তাহলে তার জন্য কামিয়াবী।