ইসলামের দোহাই দিয়ে অথবা ইসলামের নামে ভোট চাওয়া সম্পূর্ণরূপে হারাম
ও নাজায়িয। ইসলামের দোহাই দিয়ে যারা ভোট চায় অথবা ইসলামের নামে ভোট দেয়াকে যারা
ওয়াজিব বলে তারাই ধর্মব্যবসায়ী এবং তারাই হাদীছ শরীফ অনুযায়ী সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব।
ধর্মব্যবসায়ীদের থেকে দুরে থাকা এবং তাদেরকে দূরে রাখা মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও
মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল
আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল,
সাইয়্যিদুনা
ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেছেন,
হাদীছ
শরীফ-এ রয়েছে ধর্মব্যবসায়ীরা সৃষ্টির মধ্যে নিকৃষ্ট জীব। ইসলামের নামে অথবা দোহাই
দিয়ে যারা ভোট চায় তরা মিথ্যাবাদী দাজ্জালের চেলা তথা সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, সাধারণ রাজনীতিকরা
নির্বাচন করে বা ভোট চায় ইসলামের নামে নয়। তারা বলেনা যে, তাদের দলকে ভোট
দিলে কেউ জান্নাতে যাবে অথবা না দিলে জাহান্নামে যাবে। কিন্তু যারা ইসলামের নামে
ভোট চাচ্ছে তারা ইসলামকে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে। অর্থাৎ
ধর্মব্যবসায়ীরা প্রচার করে যে, তাদের দলকে ভোট দিলে জান্নাতে যাওয়া যাবে এবং
ভোট না দিলে জাহান্নামে যেতে হবে। (নাঊযুবিল্লাহ) এসব কথা সম্পূর্ণরূপেই
ধর্মব্যবসা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, কুরআন-সুন্নাহর
দৃষ্টিতে অর্থাৎ ইসলামের নামে ভোট দেয়া ওয়াজিব তো নয়ই বরং কেউ যদি বলে ইসলামের
নামে ভোট দেয়া ওয়াজিব তবে সেটা কুফরী হবে। কারণ শরীয়তের দৃষ্টিতে অর্থাৎ ইসলামে
ভোট আমানত, সাক্ষ্য, সুপারিশ এবং উকিল নিয়োগের মাধ্যম নয়।
ভোট ওয়াজিব হওয়ার কারণ হিসেবে এর সমর্থনকারীরা ভোটকে আমানত, সাক্ষ্য,
সুপারিশ
ও উকিল নিয়োগের মাধ্যম বলে যে দলীল পেশ করে থাকে তা সম্পূর্ণ অশুদ্ধ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ইসলাম হচ্ছে
আল্লাহ পাক-এর তরফ থেকে আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-এর প্রতি ওহীর মাধ্যমে নাযিলকৃত দ্বীন। যা একমাত্র পরিপূর্ণ মনোনীত
সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত ও অপরিবর্তনীয়। যে প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক “সূরা আলে
ইমরানের” ১৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ বলেন, “নিশ্চয়ই ইসলামই
আল্লাহ পাক-এর কাছে একমাত্র দ্বীন।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আল্লাহ পাক
ইসলামকে কামিল বা পরিপূর্ণ করে নাযিল করেছেন এবং তার মধ্যে আল্লাহ পাক-এর পূর্ণ
সন্তুষ্টি রয়েছে বলে “সূরা মায়েদার” ৩ নম্বর আয়াত
শরীফ-এ ঘোষণা করেছেন, “আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে (দ্বীন ইসলামকে) কামিল
বা পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত তা’মাম বা পূর্ণ
করে দিলাম এবং আমি তোমাদের দ্বীন ইসলামের প্রতি সন্তুষ্ট হলাম।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, গণতন্ত্র হচ্ছে-
মানব রচিত শাসন ব্যবস্থা, যার আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি,
তর্জ
তরীক্বা মানুষের দ্বারা রচিত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ইসলাম আল্লাহ
পাক-এর তরফ থেকে আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
প্রতি ওহীর মাধ্যমে নাযিলকৃত দ্বীন। তার সাথে গণতন্ত্রের কোনই সম্পর্ক নেই। কারণ
ইসলামের আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি ও তর্জ-তরীক্বা, আল্লাহ পাক-এর
তরফ থেকে নাযিল করা হয়েছে।
আর গণতন্ত্রের যে আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি ও
তর্জ-তরীক্বা, তা মানুষের দ্বারা তৈরি করা হয়েছে বা হয়। যার সাথে আল্লাহ পাক-এর কোন
সম্পর্ক নেই, ওহীর কোন সম্পর্ক নেই; এক কথায় ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।
কাজেই এরকম একটা বিষয়কে ইসলাম হিসেবে প্রচার করা অথবা ইসলামের দোহাই
দিয়ে বা ইসলামের নামে ভোট চাওয়া সম্পূর্ণ হারাম। আর এরকম হারাম বিষয়কে যেসব ইসলামী
দল ‘ইসলামী
কাজ’ বলে
প্রচার করছে ‘হারামকে হালাল’ বলার কারণে তারা ইসলামের দৃষ্টিতে মুরতাদ বলে
গণ্য হবে। হাদীছ শরীফ-এ এদের মিথ্যাবাদী দাজ্জাল বলা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে,
তোমরা
তাদের কাছে যেয়ো না এবং তাদেরকেও তোমাদের কাছে আসতে দিয়ো না।
কাজেই কুরআন সুন্নাহর দৃষ্টিতে সব ধর্মব্যবসায়ী থেকে দুরে থাকতে হবে
এবং তাদেরকে দূরে রাখতে হবে। মহান আল্লাহ পাক তৌফিক দানের মালিক।