মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ
করেন, হে হাবীব আমার!
নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদ প্রদানকারী ও ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিফত হিসেবে সর্বত্র
সবসময় হাযির ও নাযির। আর আল্লাহ পাক প্রদত্ত ক্ষমতায় যে কোন সময় যে কোন স্থানে
হাযির-নাযির হতে পারেন।
এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল
জামায়াত-এর বিশুদ্ধ আক্বীদা। এর খিলাফ আক্বীদা পোষণ করা গুমরাহীর অন্তর্ভুক্ত।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিফত হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির। আর
আল্লাহ পাক প্রদত্ত ক্ষমতায় যে কোন সময় যে কোন স্থানে হাযির-নাযির হতে পারেন। এ
প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ পাক) সব কিছুকে পরিবেষ্টন করে আছেন।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আক্বাইদের কিতাবে উল্লেখ আছে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া হলো, আল্লাহ পাক ইলম ও কুদরতের
দ্ব্বারা হাযির-নাযির; জাত হিসেবে নন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, বিখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘আহকামুল কুরআন লিল আরাবী’তে উল্লেখ আছে, “নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ পাক) উনার ইলম ও কুদরতের দ্বারা সমস্ত
স্থানে রয়েছেন।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মহান আল্লাহ পাক, উনাকে হাযির ও নাযির জানার এটাই অর্থ যে, মহান আল্লাহ পাক উনার
সৃষ্টি জগতের প্রত্যেক সৃষ্টির কার্যসমূহ পূর্ণরূপেই দেখেন এবং উনার ইলম সর্বত্র
বিরাজমান।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া হলো, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির। আর
আল্লাহ পাক প্রদত্ত ক্ষমতায় যে কোন সময় যে কোন স্থানে হাযির-নাযির হতে পারেন।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার হাযির-নাযির হওয়া
সম্পর্কে হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “আপনি যখন মসজিদে প্রবেশ করবেন তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনাকে সশ্রদ্ধ সালাম দিবেন। কারণ তিনি মসজিদসমূহে হাযির
আছেন।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আল্লামা হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী রহমতুল্লাহি
আলাইহি বলেন, “নামাযে আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনাকে সম্ব্বোধন করা
হয়েছে। এটা যেন এ কথারই ইঙ্গিতবহ যে, আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার উম্মতদের মধ্যে নামাযীদের
অবস্থা উনার কাছে এমনভাবে উদ্ভাসিত করেছেন যেন তিনি তাদের মধ্যে হাযির বা উপস্থিত
থেকেই দেখতে পাচ্ছেন, তাদের আমলসমূহ অনুধাবন করছেন। এ সম্ব্বোধনের আরও একটি কারণ
হচ্ছে উনার এ হাযির হওয়ার (উপস্থিতির) ধারণা অন্তরে অতিমাত্রায় বিনয় ও নম্রতার
সৃষ্টি করে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আল্লামা হযরত ইমাম মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার ‘শরহে শিফা’ কিতাবের উল্লেখ করেছেন, “নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার পবিত্র রূহ মুবারক মুসলমানদের ঘরে ঘরে হাযির আছেন।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হযরত ইমাম ইবনুল হাজ্জ রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার ‘মাদখাল’ গ্রন্থ ও হযরত ইমাম কুসতুলানী
রহমতুল্লাহি, উনার ‘মাওয়াহেব’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, “আমাদের সুবিখ্যাত উলামায়ে
কিরাম, উনারা বলেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার হায়াত ও ওফাত মুবারকের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তিনি
নিজ উম্মতকে দেখেন, তাদের অবস্থা, নিয়ত, ইচ্ছা ও মনের কথা জানেন। এগুলো উনার কাছে সম্পূর্ণরূপে
সুস্পষ্ট; কোনরূপ অস্পষ্টতা
বা পুশিদা থাকে না।” সুবহানাল্লাহ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মূলকথা হলো- নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ছিফত হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির। আর আল্লাহ পাক প্রদত্ত ক্ষমতায় যে কোন
সময় যে কোন স্থানে তিনি হাযির-নাযির হতে পারেন ।
যা উনার সীমাহীন
বৈশিষ্টের মধ্যে একটি বৈশিষ্ট।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার মর্যাদা-মর্তবা
বর্ণনা করে শেষ করার মত নয়। উনার ফাযায়িল-ফযীলত শ্রেষ্ঠত্বের বর্ণনা করতে গিয়ে
সমুদ্রের পানিকে কালিস্বরূপ এবং সমস্ত গাছ-পালাকে কলমরূপে ব্যবহার করে সমস্ত
জিন-ইনসান কিয়ামত পর্যন্ত লিখতে থাকলেও সমস্ত কিছুই নিঃশেষ হয়ে যাবে, তবুও উনার ফাযায়িল-ফযীলত
বা শ্রেষ্ঠত্বের কিঞ্চিত বর্ণনাও লিখে শেষ করা যাবে না। এক কথায় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধু আল্লাহ পাক নন, এছাড়া সকল ছানা-ছিফত, মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত-এর অধিকারী।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, যে ব্যক্তি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, উনার ছানা-সিফত
করবে, শান-মান বর্ণনা
করবে প্রকৃতপক্ষে সে নিজেই ফায়দা লাভ করবে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত হাসসান
বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছেন, “আমি আমার প্রশংসামূলক কবিতার দ্বারা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার শান-মান কিছুই বাড়াতে পারিনি। বরং উনার ছানা-সিফত বা
প্রশংসা করার কারণে আমার কবিতা এবং আমি নিজেই সম্মানিত ও মর্যাদাবান হয়েছি।” সুবহানাল্লাহ!