কুফরী আক্বীদা যারা বিশ্বাস
করে তারা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনা বরং তারা ৭২টি বাতিল ফিরক্বাহর
অন্তর্ভুক্ত। এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
“আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত
হবে, একটি দল ব্যতীত ৭২টি দলই জাহান্নামে যাবে। তখন হযরত
সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! যে একটি দল
নাযাত প্রাপ্ত, সে দলটি কোন দল? হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি এবং আমার সাহাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মত ও পথের
উপর যারা কায়েম থাকবে, (তারাই নাযাত প্রাপ্ত
দল)।” ( তিরমিযী শরীফ)
এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে ইরশাদ
হয়েছে,
“হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, ৭২টি দল জাহান্নামে
যাবে, আর ১টি দল জান্নাতে যাবে।
(আবূ দাউদ, মসনদে আহমদ,মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ)
উক্ত হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায়
মিরকাত শরীফে আরো উল্লেখ আছে যে,
“জেনে রাখ ! (উক্ত ৭৩টি দল)
প্রধানতঃ ৮টি দলে বিভক্ত যা “মাওয়াক্বিফ”
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
(১) মু’তাযিলাহ—————এরা ২০ দলে বিভক্ত
(২) শিয়া———————এরা ২২ দলে বিভক্ত
(৩) খারেজী——————-এরা ২০ দলে বিভক্ত
(৪) মরজিয়্যাহ—————-এরা ৫ দলে বিভক্ত
(৫) নাজ্জারিয়্যাহ————–এরা ৩ দলে বিভক্ত
(৬) জাবারিয়্যাহ—————এরা ১ দলে বিভক্ত
(৭) মুশাব্বিহা—————–এরা ১ দলে বিভক্ত
উল্লেখিত ৭২টি দল,
তারা প্রত্যেকেই জাহান্নামী।
(৮) নাজিয়্যাহ——————এরা ১ দলে বিভক্ত
আর নাজিয়্যাহ হল-হুজুর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,উনার স্পষ্ট সুন্নত
ও উজ্জ্বল তরীক্বতের অনুসারী।”
গাউসুল আযম, মাহবুবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত আব্দুল
কাদির জ্বীলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর আলোড়ন সৃষ্টিকারী গুনিয়াতুত্ তালেবীন কিতাবের
১৯৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন,
“(হাদীস শরীফে বর্ণিত) ৭৩টি
দল মুলতঃ ১০টি মুল দলের অন্তর্ভুক্ত যার বিস্তারিত বর্ণনা নিম্নরূপঃ
(১)আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত—————এরা ১ দলে বিভক্ত
(২) খারেজী———————————-এরা ১৫ দলে বিভক্ত
(৩) মু’তাযিলাহ——————————–এরা ৬ দলে বিভক্ত
(৪) মরজিয়্যাহ——————————–এরা ১২ দলে বিভক্ত
(৫) শিয়া————————————-এরা ৩২ দলে বিভক্ত
(৬) জাহমিয়্যাহ——————————–এরা ১ দলে বিভক্ত
(৭) নাজ্জারিয়্যাহ——————————-এরা ১ দলে বিভক্ত
(৮) জেরারিয়্যাহ——————————-এরা ১ দলে বিভক্ত
(৯) কিলাবিয়াহ——————————-এরা ১ দলে বিভক্ত
(১০) মুশাব্বিহা——————————-এরা ৩ দলে বিভক্ত
উল্লেখিত সবগুলো দল মিলে ৭৩
দল হলো, যে সম্পর্কে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদীস শরীফে এরশাদ করেছেন। উক্ত দলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্রর ১টি দলই
নাজাত প্রাপ্ত আর সেটা হল ফিরক্বায়ে নাজী অর্থাৎ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত”
উক্ত হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায়
মিরকাত শরীফের শরাহ তানজীমুল আশতাত কিতাবের ১ম খন্ডের ১২৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে,
“হাদীস শরীফে যে ৭২টি ফিরক্বাহ
কথা উল্লেখ আছে উক্ত ফিরক্বাহসমূহের মুলে হলো ৬টি যথাঃ
(১) খারেজী———————-এরা ১৫ দল
(২) শিয়া————————এরা ৩২ দল
(৩) মু’তাযিলাহ——————এরা ১২ দল
(৪) জাবারিয়্যাহ——————-এরা ৩ দল
(৫) মরজিয়্যাহ——————–এরা ৫ দল
(৬) মুশাব্বিহা——————–এরা ৫ দল
উল্লেখিত সবগুলো দল মিলে ৭৩টি
দল,যে সম্পর্কে
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদীস শরীফে এরশাদ করেছেন। উক্ত দলগুলোর
মধ্যে শুধুমাত্র ১টি দলই নাজাত প্রাপ্ত, আর সেটা হলো “ফিরক্বায়ে নাজী”
অর্থাৎ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত।”
উক্ত হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায়
বিশ্ব বিখ্যাত মুহাদ্দিস হযরত শায়খ আব্দুল হক দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি আশয়াতুল লোমাত
কিতাবের ১ম খন্ডের ১৫১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন যে,
“ইসলামের বড় দল ৮টি। যথাঃ
(১) মু’তাযিলাহ————এরা ২০ দল
(২) শিয়া —————–এরা ২২ দল
(৩) খারেজী—————এরা ২০ দল
(৪) মরজিয়্যাহ————-এরা ৫ দল
(৫) নাজ্জারিয়্যাহ———–এরা ৩ দল
(৬) জাবারিয়্যাহ————এরা ১ দল
(৭) মুশাব্বিহা————–এরা ১ দল
(৮) নাজিয়্যাহ————–এরা ১ দল”
উল্লেখ্য, ইমাম-মুজতাহিদগণ ৭২টি বাতিল ফিরক্বাহ নাম ও সংখ্যার ব্যাপারে
ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করলেও নিম্নে বর্ণিত মূল দলগুলো বাতিল ও জাহান্নামী হওয়ার ব্যাপারে
সকলেই একমতঃ (১) খারেজী (২) শিয়া (৩) মরজিয়্যাহ (৪) জাহমিয়্যাহ (৫) মু’তাযিলাহ (৬) ক্বদরিয়া (৭) জাবারিয়্যাহ (৮) মুশাব্বিহা।
কারণ উক্ত ৮টি দলের প্রত্যেকেই
কালিমা পাঠ করে, নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি ফরয-ওয়াজিব ও সুন্নত আমল গুলোও প্রায় পালন করে।
এমনকি অনেক বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ন্যায় আক্বীদা পোষণ করে। অথচ তার পরেও
তারা শরীয়তের দৃষ্টিতে গোমরাহ, বাতিল ও জাহান্নামী।
কারণ তারা কোন কোন ক্ষেত্রে কূফরীমূলক আক্বীদা পোষণ করে।
খারেজী ফিরকার আক্বীদাঃ
খারেজী সম্প্রদায়কে খারেজী
বলার কারণ হলো তারা (খারেজীরা) হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু,উনাকে খলীফা বলে স্বীকার করেনা। কেননা হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু ও হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু্ম যখন হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু ও আমর ইবনুল আ’স রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু,
উনাদের সালিশ মেনে নিয়েছিলেন, তখন তারা বলেছিল ” আমরা আল্লাহ্ পাক ব্যতীত অন্য করো নির্দেশ মান্য করতে প্রস্তূত নই।”
এ কথা বলে তারা উক্ত মজলিশ থেকে খারিজ বা বের হয়ে
যায়, এ কারণেই তাদেরকে খারেজী বলা হয়। তাদের কুফরী আক্বীদাগুলোর
মধ্যে প্রধানগুলো হলঃ
(১) হযরত সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুম গণ কাফের ও কবিরা গুনাহে গুনাগার
(২) যারা সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুম গনের প্রতি বিদ্বেষ পোষন করে তারা তাদের(খারেজীদের) বন্ধু।
(৩) যাকে একবার দোযখে নিক্ষেপ
করা হবে সে চিরকাল দোযখেই থাকবে।
(৪) একবার মিথ্যা বলে বিনা
তওবায় মারা গেলে চিরকাল জাহান্নামে থাকবে।
(৫) মোজা পরিধান করে নামায
পড়া ও মোজার উপর মসেহ্ করা হারাম।
(৬) মোতা বা কন্ট্রাক বিবাহ
করা জায়েজ।
(৭) যে একবার মিথ্যা কথা বলে
এবং ছগীরা গুনাহ করে ও এর উপর দৃঢ় থাকে সে মুশরিক।
(৮) পৃথিবীতে কোন ইমাম বা নেতার
প্রয়োজন নেই।
(৯) প্রত্যেক কবীরা গুনাহই
কুফরী।
(১০) সূরা ইউসূফ কুরআন শরীফের
অংশ নয়। পরে তা সংযোজন করা হয়েছে।
শিয়া বা রাফেজী ফিরকার আক্বীদাঃ
তারা হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুকে অনুসরণ করে এবং সকল সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের উপরে
হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, উনাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে তাই তাদেরকে শিয়ানে আলী বা শিয়া বলা হয়। এদের উল্লেখযোগ্য
কূফরীমূলক আক্বীদা হলঃ
(১) হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু, হযরত ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু, ও হযরত ওসমান রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু সহ সকল সাহাবীর চেয়ে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু -এর মর্যাদা বেশী।
(২) হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খেলাফতের পর অধিক হক্বদার ছিলেন হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু। তাঁকে খেলাফত না দেয়ায় সকলেই মুরতাদ হয়ে গেছে, ৪ জন ব্যতীত। তারা হলেন, হযরত আলী, আম্মার, মেকদাদ ইবনে আসওয়াদ ও সালমান ফার্সী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম।
(৩) পৃথিবীর সকল নবীগণের চেয়ে
হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু -এর মর্যাদা বেশী।
(৪) হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুই নবী।
(৫) হযরত জিব্রীল আলাইহিস সালাম
ভুলে তাঁর( হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) উপর ওহী নাযিল করেন নাই।
(৬) আল্লাহ্ পাকের আকৃতি মানুষের
আকৃতির ন্যায়।
মরজিয়্যাহ ফিরকার আক্বীদাঃ
মরজিয়্যাহ সম্প্রদায়ের কূফরীমূলক
আক্বীদা হলঃ
(১) একবার কালিমা শরীফ পাঠ
করে ঈমান আনার পর হাজার কুফরী-শেরেকী করলেও ঈমান নষ্ট হয়না।
(২) শুধু ঈমান আনলেই হয় আমলের
কোন প্রয়োজন নেই।
(৩) ঈমান বাড়েও না কমেও না।
(৪) সাধারণ মানুষ, ফেরেস্তা ও নবী-রসূলদের মর্যাদা সমান।
জাহমিয়াহ ফিরকার আক্বীদাঃ
জাহম ইবনে ছাফওয়ান এ সম্প্রদায়ের
নেতা বলে এদেরকে জাহমিয়াহ বলা হয়। জাহমিয়াহ সম্প্রদায়ের কূফরীমূলক আক্বীদা হলঃ
(১) আল্লাহ পাককে জানা ও আল্লাহ
পাকের নিকট যা রয়েছে তা সম্পর্কে জ্ঞাত থাকাই ঈমান।
(২) কুরআন শরীফ আল্লাহ পাকের
মাখলুক বা সৃষ্টি।
(৩) আল্লাহ পাক হযরত মূসা আলাইহিস
সালাম বা অন্য করো সাথে কথা বলেন নাই।
(৪) আরশ-কুরসী, হাশর-নাশর, মীযান-শেষ বিচার বলতে
কিছু নেই।
(৫) পরকালে আল্লাহ পাক কারো
দিকে তাকাবেন না, কারো সাথে কথা বলবেন না,
কারো সাথে দেখাও দিবেন না।
(৬) কবিরা গুনাহ করলে ফাসেক
হয়না।
মু’তাজিলাহ ফিরক্বার আক্বীদাঃ
ইসলামী আক্বীদা থেকে তারা
দুরে সরে গেছে বিধায় এদেরকে মু’তাজিলাহ বলা হয়।আবার কেউ কেউ
বলেন, তারা একবার কোন এক বিষয়ে হযরত
হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি,উনার সাথে বিতর্কে
লিপ্ত হয়, তখন হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি
আলাইহি বলেছিলেন, ” আমার থেকে তোমার দূরে সরে
যাও।” সেদিন থেকেই তারা মু’তাজিলাহ নামে পরিচিত। মু’তাজিলাহ সম্প্রদায়ের কূফরীমূলক আক্বীদা হলঃ
(১) কুরআন শরীফ আল্লাহ পাকের
মাখলুক বা সৃষ্টি।
(২) কবীরা গুনাহ্ কারী কাফির।
(৩) আল্লাহ পাকের ইলম,
কুদরত, দর্শন, শ্রবণ ইত্যাদি কোন ছিফত বা
গুণ নেই।
(৪) আল্লাহ পাক আরশে স্থিতিবান।
(৫) অন্যের ভাগ্যে আল্লাহর
হাত নাই
(৬) বান্দার কাজ আল্লাহ সৃষ্টি
করেন না বরং বান্দাই তার(কাজের) সৃষ্টিকর্তা।
(৭) বান্দা মৃত্যূর নিদিষ্ট
সময়ের পূর্বেও মারা যায়।
ক্বদরিয়া ফিরক্বার আক্বীদাঃ
এরা তাকদীর অস্বীকার করে বলে
এদেরকে ক্বদরিয়া বলা হয়।ক্বদরিয়া সম্প্রদায়ের কূফরীমূলক আক্বীদা হলঃ
(১) বান্দা যে সকল পাপ বা নেক
করে তা নিজের ইচ্ছাই করে, এতে আল্লাহ পাকের
কোন হাত নেই।
(২) যাবতীয় কাজ বান্দার ইচ্ছাধীন
এতে আল্লাহ পাকের কোন দখল নেই অর্থাৎ তাকদীর বলতে কিছু নেই।
জাবারিয়া ফিরক্বার আক্বীদাঃ
জাবারিয়া সম্প্রদায়ের কূফরীমূলক
আক্বীদা হলঃ
ভাল-মন্দ অর্থাৎ নেক কাজ-পাপ
কাজ সবই আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় হয় এতে বান্দার কোন ইচ্ছা বা এখতিয়ার নেই। মোট কথা হলঃ
নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত, চুরি, যিনা, হত্যা ইত্যাদি সবই আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় হয় এতে বান্দার কোন ইচ্ছা
নেই।
মুশাব্বিহা ফিরক্বার আক্বীদাঃ
মুশাব্বিহা সম্প্রদায়ের কূফরীমূলক
আক্বীদা হলঃ
(১)মহান আল্লাহ পাক জিসম বা
দেহ বিশিষ্ট। কারণ কারো অস্তিত্বের জন্য দেহ বা কাঠামোর প্রয়োজন। যার দেহ নেই তার অস্তিত্ব
নেই।
(২) আল্লাহ পাকের দেহ লম্বা,
চওড়া, মোটা ও নুরানী, চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল।
(৩) আল্লাহ পাক চলমান আবার
অনঢ়।
(৪) আল্লাহ পাকের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের
সাথে কারো তুলনা হতে পারেনা।
শিয়া বা রাফেজী ফিরকার আক্বীদাঃ
তারা হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুকে অনুসরণ করে এবং সকল সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের উপরে
হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, উনাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে তাই তাদেরকে শিয়ানে আলী বা শিয়া বলা হয়। এদের উল্লেখযোগ্য
কূফরীমূলক আক্বীদা হলঃ
(১) হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু, হযরত ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু, ও হযরত ওসমান রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু সহ সকল সাহাবীর চেয়ে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু -এর মর্যাদা বেশী।
(২) হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খেলাফতের পর অধিক হক্বদার ছিলেন হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু। তাঁকে খেলাফত না দেয়ায় সকলেই মুরতাদ হয়ে গেছে, ৪ জন ব্যতীত। তারা হলেন, হযরত আলী, আম্মার, মেকদাদ ইবনে আসওয়াদ ও সালমান ফার্সী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম।
(৩) পৃথিবীর সকল নবীগণের চেয়ে
হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু -এর মর্যাদা বেশী।
(৪) হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুই নবী।
(৫) হযরত জিব্রীল আলাইহিস সালাম
ভুলে তাঁর( হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) উপর ওহী নাযিল করেন নাই।
(৬) আল্লাহ্ পাকের আকৃতি মানুষের
আকৃতির ন্যায় ।
নাউযুবিল্লাহ!!!
[ট্যাগঃ পীর-মুরীদি (মুরিদি) ব্যবসাধারী ভন্ড-পীর সহ ধর্মব্যবসায়ীদের জম রাজারবাগ দরবার শরীফ, রাজারবাগী পীর সাহেব কিবলা আলাইহিস সালাম]
[ট্যাগঃ পীর-মুরীদি (মুরিদি) ব্যবসাধারী ভন্ড-পীর সহ ধর্মব্যবসায়ীদের জম রাজারবাগ দরবার শরীফ, রাজারবাগী পীর সাহেব কিবলা আলাইহিস সালাম]