যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য জমা করে রাখে এবং মহান আল্লাহ উনার পথে ব্যয় করে না; তাদেরকে কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সংবাদ প্রদান করুন। ক্বিয়ামতের দিন তাদের এই সঞ্চিত সম্পদ দোযখের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে এবং তা দ্বারা তাদের চেহারা, পাঁজরে ও পিঠে দাগ দেয়া হবে আর বলা হবে, এগুলো তোমাদের ধন-সম্পদ, যা তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্যে ব্যয় না করে নিজের জন্য সঞ্চয় করে রেখেছিলে। আজ সেই সঞ্চিত সম্পদের স্বাদ উপভোগ করো। ”
যাবতীয় সাংসারিক প্রয়োজনের
অতিরিক্ত মজুদ সম্পদ হতে চল্লিশ ভাগের একভাগ অর্থাৎ শতকরা মাত্র আড়াই টাকা এই সামান্য
একটি অংশ মহান আল্লাহ পাক উনার নামে ব্যয় করতে বা যাকাত দিতে যে কুন্ঠিত, নিঃসন্দেহে সে কৃপণ। কৃপণ ব্যক্তি মহান আল্লাহ
পাক উনার দুশমন। কৃপণের পরিনতি ও শাস্তি অত্যন্ত কঠিন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি মুনাফিকের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন যে,
মহান আল্লাহ পাক উনার পথে ধন-সম্পদ ব্যয় করার ব্যাপারে
যারা হাত গুটিয়ে রাখে। আর মুনাফিকের শাস্তি সম্পর্কেও মহান আল্লাহ পাক তিনি ঘোষণা করেছেন
যে, মুনাফিকরা দোযখের সর্বনিম্নে অবস্থান করবে এবং
জঘন্যতম শাস্তিতে নিপতিত হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এর বিশুদ্ধ কিতাব ‘মুসলিম শরীফ’-এ বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
যে স্বর্ণ ও রৌপ্যের মালিক উহার হক্ব আদায় করে না,
ক্বিয়ামতের দিন উক্ত স্বর্ণ ও রৌপ্য জাহান্নামের
আগুন উত্তপ্ত করে অগ্নিময় তক্তা করা হবে এবং তা দ্বারা তার পার্শ্বদেশ, ললাটে ও পৃষ্ঠদেশ দাগ দেয়া হবে। যখন টেনে নেয়া হবে তখনই পুনরায়
তাকে দাগ দেয়া হবে। উক্ত দিবস যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বৎসর হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এর বিশুদ্ধ কিতাব ‘বুখারী শরীফ’-এ বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ধন-সম্পদের অধিকারী করেছেন,
সে যদি ঐ সম্পদের যাকাত না দেয়, তাহলে তার ঐ সমস্ত সম্পদ ক্বিয়ামতের দিন এমন এক সর্পে পরিণত
হবে যার বিরাট মস্তক থাকবে কিন্তু মস্তকে কেশ থাকবে না। আর তার চোখের উপর দু’টি তিলক থাকবে। (যা অত্যন্ত বিষাক্ত ও হিংস্র হওয়ার চিহ্ণ) সর্পটি ক্বিয়ামতের দিন তার গলায় জড়িয়ে ধরবে
আর বলবে, আমিই তোমার অর্থ-সম্পদ এবং
আমিই তোমার সঞ্চিত ধন-ভান্ডার। আর সাথে সাথে সাপটি কামড়াতে থাকবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যাদের প্রতি যাকাত ফরয তাদেরকে যাকাত আদায় করে মালের হক্ব আদায়
করা অপিরহার্য্য ফরয কর্তব্য। এ হক্ব আদায়ে ত্রুটি বা অবেহলা করলে কঠিন শাস্তি ভোগ
করতে হবে। এ থেকে কোনোভাবেই সে রেহাই পাবে না। কারণ এটা স্বয়ং খালিক, মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে নির্ধারিত বা ফরয করা
হয়েছে।
----------------------------------
যাকাত আদায় না করার পরিণতি
সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত উমর ইবনুল খত্ত্বাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
স্থলে এবং পানিতে যেখানেই কোন সম্পদ ধ্বংস হয়,
তা হয় কেবল যাকাত আদায় না করার কারণে।”
(তবারানী শরীফ)
হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে,
“যে ব্যক্তি যাকাত প্রদান করেনা, তার নামায কবুল হয়না।” (বুখারী শরীফ)