কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে,
‘মহান আল্লাহ পাক তিনি দান-ছদক্বাকে বৃদ্ধি করে দেন।’
(সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ ২৭৬)
বরং মহান আল্লাহ পাক উনার
রাস্তায় বা উনার সন্তুষ্টির জন্যে যে অর্থ ব্যয় করা হবে তার বদলা দশ থেকে সাতশতগুণ
পাবে।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক
তিনি ইরশাদ করেন, যারা স্বীয় ধন-সম্পদ মহান
আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করে, সে দানের উদাহরণ হলো
একটি বীজের মতো, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়।
প্রত্যেকটি শীষে একশটি করে দানা থাকে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইচ্ছা করলে (বান্দার দানকে)
দ্বিগুণ বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন। তিনি প্রাচুর্যের অধিকারী ও সর্বপরিজ্ঞাত।
অথচ কতক সংকীর্ণমনা,
অর্থলিপ্সু ব্যক্তি যাকাত দেয়াকে জরিমানা ও কষ্টকর
বিষয় হিসেবে মনে করা থাকে। নাউযুবিল্লাহ!
প্রকৃতপক্ষে যাকাত দেয়া তথা
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় ব্যয় করা আদৌ জরিমানা ও লোকসানের বিষয় নয় বরং সম্পদ বৃদ্ধির
কারণ এবং সাথে সাথে ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবির কারণও বটে।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ,
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যারা স্বীয় ধন-সম্পদ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করে,
সে দানের উদাহরণ হলো একটি বীজের মতো, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে একশটি করে দানা থাকে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইচ্ছা করলে (বান্দার দানকে) দ্বিগুণ বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন।
তিনি প্রাচুর্যের অধিকারী ও সর্বপরিজ্ঞাত।’ (সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ
২৭১) অর্থাৎ মাত্র একটি শষ্য বীজ বপন করে সাতশতটি পাওয়া গেলো আর এটাই প্রতিদানের চূড়ান্ত
হার নয়। বরং নিয়ত ও কাজের বিশুদ্ধতা অনুযায়ী মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাকে বেহিসাব
প্রতিদান দিতে পারেন এবং দিয়েও থাকেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
‘দানে সম্পদ কমে না।’
(মুসলিম শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ছহীহ আবু দাউদ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এইজন্য যাকাত ফরয করেছেন যে,
তোমাদের অবশিষ্ট অর্থ-সম্পদগুলিকে পবিত্র করে দিবেন।’
সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত
এক হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি একটি খেজুর পরিমাণও
দান করে সে যেন হালাল উপার্জন থেকে দান করে। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি হালাল ব্যতীত কোনো দান গ্রহণ বা কবুল করেন
না। তিনি হালাল দান আপন (কুদরতী) ডাত হাত মুবারকে গ্রহণ করেন এবং তা দানকারীর উদ্দেশ্যে
লালন-পালন করেন যেমনিভাবে তোমাদের কেউ ঘোড়ার বাচ্চাকে লালন-পালন করে থাকে। এমনকি সে
দান বৃদ্ধি পেয়ে পাহাড় পরিমাণ হয়ে যাবে।’ (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ) সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত ফাতিমা বিনতে কায়িস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি বলেন,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ করেন, ‘যাকাত ছাড়াও মালের মধ্যে
(মানুষের) হক রয়েছে। অতঃপর হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
আয়াত শরীফ পাঠ করলেন; যার অর্থ হলো- ‘তোমরা (নামাযে) পূর্ব বা পশ্চিম দিকে মুখ ফিরাবে শুধু এটাই নেক
কাজ নয়। বরং প্রকৃত নেক কাজ হলো, যে ঈমান এনেছে মহান
আল্লাহ পাক উনার প্রতি, ক্বিয়ামত দিবসের প্রতি,
হযরত ফেরেশতাগণ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি,
মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাবের প্রতি ও হযরত নবী-রসূল
আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি এবং মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে মাল দান করেছে আত্মীয়দেরকে,
ইয়াতীমদেরকে, মিসকীনদেরকে, পথিক মুসাফির ও সুওয়ালকারীদেরকে এবং গোলাম আযাদকরণে। এতদ্ব্যতীত কায়িম করেছে নামায
ও আদায় করেছে যাকাত।’ (সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ
১৭৭)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “হে আদমসন্তান! তুমি দান করো, আমিও তোমাকে দান করবো।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
‘দানকারী মহান আল্লাহ পাক উনার নিকটে, জান্নাতের নিকটে, মানুষের নিকটে তবে জাহান্নাম হতে দূরে।” (তিরমিযী শরীফ)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে,
‘সখী অর্থাৎ দানশীল মহান আল্লাহ পাক উনার বন্ধু,
যদিও সে ফাসিক (গুনাহগার) হোক না কেন।”
(লুগাতুল আহাদীছ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘হায়াতকালে এক দিরহমান দান করা তার মৃত্যুকালে একশত দিরহাম দান
করা অপেক্ষা উত্তম।’ (আবূ দাউদ শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
দানশীলতা বেহেশতের একটি বৃক্ষস্বরূপ। যে ব্যক্তি
দানশীল সে যেন উহার একটি শাখা ধরেছে আর শাখা তাকে ছাড়বে না যে পর্যন্ত না তাকে বেহেশতে
পৌঁছিয়ে দেয়।’ (বায়হাক্বী, মিশকাত)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
তোমরা দানের ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করবে। কেননা,
বিপদাপদ উহাতে অতিক্রম করতে পারবে না অর্থাৎ দানের
দ্বারা বিপদাপদ দূরিভূত হয়।’ (রযীন, মিশকাত)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাক্বীক্বত যাকাত দানে যাকাতদাতার মাল কখনো কমে না। বরং বৃদ্ধি
পেয়ে থাকে এবং সে তার কৃপণতার কুলুষ হতে পবিত্রতা লাভ করে থাকে এবং তার অন্যান্য সম্পদও
পবিত্র হয়। এছাড়া ফরয ও নফল দান-ছদকার মাধ্যমে সমস্ত প্রকার বালা-মুছীবত দূরীভূত হয়ে
থাকে।