নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ করেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোযা শুরু
করো এবং চাঁদ দেখে ঈদ করো।’
কেননা শরীয়তের খাছ ফতওয়া মতে
প্রতি মাসেই নতুন চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া। আর চাঁদ না দেখে মনগড়া তারিখে রোযা
শুরু করা ও ঈদ করা হারাম ও কঠিন কবীরা গুনাহ।
অথচ সউদী আরবের ওহাবী সরকারসহ
অনেক দেশের সরকারই চাঁদ দেখার প্রহসন করে মনগড়া তারিখে আরবী মাস শুরু করে।
মুসলমানগণের ফরয রোযা আদায়ের
সুবিধার্থে সউদীসহ সকল সরকারকে চাক্ষুষ চাঁদ দেখে রমাদ্বান শরীফ শুরু করতে হবে।
কেউ যেন মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে
রমাদ্বান শরীফ মাস এক দিন আগে শুরু করতে না পারে সে ব্যাপারে সকল মুসলমানকে সচেতন থাকতে
ও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
রমাদ্বান মাসসহ প্রতি মাসে
চাঁদের প্রকৃত ও সত্য খবর জানতে ‘আনজুমানে রুইয়াতে
হিলাল মজলিস’-এর সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ,
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, চাঁদ দেখা বা তালাশ করার বিষয়টি ইসলামী শরীয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়। কারণ ইসলামের অধিকাংশ আমলগুলোই চাঁদের তারিখের সাথে সম্পর্কযুক্ত। যেমন শবে বরাত,
শবে ক্বদর, আশূরা, কুরবানী, হজ্জ, পবিত্র ঈদে মীলাদুন
নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও পবিত্র রমাদ্বান শরীফসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ
ফযীলতপূর্ণ দিন ও রাত। চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে মাস শুরু হলে উল্লিখিত আমলগুলোও সঠিক
তারিখে পালিত হবে; এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর যদি
চাঁদ না দেখে মনগড়াভাবে আরবী মাসের তারিখ ঘোষণা করা হয় বা মাস শুরু করা হয়,
তবে উল্লিখিত আমলগুলো সঠিক তারিখে না হওয়ার কারণে
সমস্ত আমলগুলোই নষ্ট হয়ে যাবে নিঃসন্দেহে। তাই পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ ও ফিক্বাহ শাস্ত্রে চাঁদ দেখার ব্যাপারে বিশেষভাবে
গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ-এর উদ্ধৃতি
দিয়ে বলেন, সূরা ইউনুস-এর ৫ নম্বর আয়াত
শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তিনিই সেই মহান সত্ত্বা যিনি বানিয়েছেন সূর্যকে উজ্জ্বল আলোকময় আর চাঁদকে স্নিগ্ধ
আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারণ করেছেন এর জন্য মনযিলসমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এই আয়াত শরীফ-এ অনেকগুলো বিষয়ের সাথে একটি বিষয় স্পষ্ট যে,
বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব রক্ষার সাথে চাঁদের মনযিলের
একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ চাঁদের মনযিলের অবস্থা না দেখে কখনো চাঁদের মাসের
হিসাব রক্ষা করা সম্ভব নয়। সুতরাং কেউ যদি চাঁদের মনযিলের বিষয়টিকে উপেক্ষা করে,
চাঁদ না দেখে মনগড়া তারিখে আরবী মাস শুরু করে তাহলে
অবশ্যই তা শরীয়তে গ্রহণযোগ্য হবে না। বিভিন্ন আরবী মাসে মুসলমানদের যে আমলের বিষয়টি
রয়েছে তা চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে মাস শুরু হওয়ার উপর নির্ভরশীল।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
“আমার উম্মত সহজ-সরল হবে। তাদের কেউ কেউ হিসাব নিকাশে
তত দক্ষ হবে না। আরবী মাস হয় ২৯ দিনে হবে নতুবা ৩০ দিনে হবে।”
তাই নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি আরো ইরশাদ করেন, “তোমরা চাঁদ দেখে রোযা
শুরু করো এবং চাঁদ দেখে ঈদ কর। যদি ২৯ তারিখ কোনো কারণে চাঁদ দেখা না যায় তবে মাস ৩০
দিনে পূর্ণ কর।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এর সূরা বাক্বারা-এর ১৮৯ নম্বর
আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “তারা আপনাকে বাঁকা
চাঁদ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। আপনি বলুন, এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারক ও হজ্জের সময় নিরূপণকারী।”
এ আয়াত শরীফ-এ স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “চাঁদ সময় নির্ধারক।” তবে কিভাবে চাঁদ দেখে সময়
নিরূপণ করতে হবে তার বর্ণনাও হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যেহেতু রমাদ্বান শরীফ-এ আকাশ পরিষ্কার থাকলে অধিক সংখ্যক লোকের
চাঁদ দেখা প্রয়োজন আর আকাশ মেঘলা থাকলে একজন পুরুষ অথবা একজন মহিলার সাক্ষ্যও গ্রহণযোগ্য;
তাই এই সুযোগে সউদী আরবের ওহাবী সরকারের অনুসারী
এদেশের সালাফী ওহাবী, জামাতী, দেওবন্দী, খারিজীরা সউদী ওহাবী
সরকারের পথ ধরে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে মাস একদিন আগে শুরু করার চেষ্টা করতে পারে। সুতরাং
সকল সচেতন মুসলমানকে এ ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)কেও
সাবধানতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- চাঁদ দেখা ইসলামের দৃষ্টিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
শরীয়তের দৃষ্টিতে এটা ওয়াজিবে কিফায়া। তাই কিছু লোককে অবশ্যই খাছভাবে চাঁদ তালাশ করতে
হবে। নচেৎ সবারই ওয়াজিব তরকের গুনাহ হবে। চাঁদ দেখার সাথে শরয়ী হুকুম-আহকাম সংশ্লিষ্ট।
অর্থাৎ ফরয ইবাদতসহ সমস্ত ইবাদতই জড়িত। কাজেই ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উচিত বিষয়টি সরকার
ও ধর্মব্যবসায়ীদের উপর ছেড়ে না দিয়ে নিজেরা খাছভাবে চাঁদ তালাশ করা। গাফিল সরকারি কর্মচারী
ও ধর্মব্যবসায়ীদের প্রতারণা থেকে রক্ষা পেয়ে চাঁদের ছহীহ খবর পাওয়ার জন্যই ‘আনজুমানে রুইয়াতে হিলাল মজলিস’
গঠিত হয়েছে। প্রকৃত ও সত্য খবর জানতে তিনি এর সাথে
যোগাযোগের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
‘আনজুমানে রুইয়াতে হিলাল মজলিস’ এর ওয়েবসাইটঃ http://al-hilaal.net/