নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
দোয়া মুবারক করেন, ‘আয় আল্লাহ পাক! হযরত মুআবিয়া
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে হাদী ও হিদায়েতপ্রাপ্ত করুন এবং উনার দ্বারা লোকদের
হিদায়েত দান করুন।’
আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি শুধু ছাহাবীই
নন, বরং মর্যাদাপূর্ণ, জলীলুল ক্বদর ছাহাবী, কাতিবে ওহী, গুপ্তভেদ জাননেওয়ালা
ছাহাবী এবং ন্যায়পরায়ণ খলীফাও ছিলেন।
কাজেই, ইয়াযীদ মালউনের অপরাধের জন্য বিশিষ্ট ছাহাবী, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনাকে দোষারোপ করা বা উনার সমালোচনা করা সম্পূর্ণরূপে কুফরী।
এ কুফরী থেকে প্রত্যেক মু’মিন-মুসলমান উনাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে। অন্যথায় ঈমানহারা হয়ে
মৃত্যুবরণ করে জাহান্নামের ইন্ধন হতে হবে।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ,
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম
তিনি বলেছেন, “পবিত্র আশূরা শরীফ উপলক্ষে
আলোচনা করতে গিয়ে যারা ছাহিবে সির, কাতিবে ওহী,
আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে দোষারোপ
করে; তারা মূলত উনার মহান মর্যাদা সম্পর্কে নেহায়েতই
জাহিল বা অজ্ঞ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছাহাবী উনাদের মধ্যে একজন বিশেষ শ্রেণীর ছাহাবী
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যাকে ‘উলুল আ’যম’ বা ‘জলীলুল ক্বদর’ ছাহাবী বলা হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ
উনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বুযূর্গ
পিতা হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
দরবার শরীফ এসে আরজ করলেন, ‘ইয়া রসূলাল্লাহ,
ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে আপনি কাতিবে ওহী নিযুক্ত করলে ভালো হতো।
আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে কাতিবে ওহী নিযুক্ত করলেন।”
(পবিত্র মুসলিম শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উদ্ধৃতি
দিয়ে বলেন, হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনাকে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাছ দোয়া করেছেন এভাবে, “আয় আল্লাহ পাক! হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে
হাদী ও হিদায়েতপ্রাপ্ত করুন এবং উনার দ্বারা লোকদেরকে হিদায়েত দান করুন।”
(পবিত্র তিরমিযী শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার মর্যাদা-মর্তবার মধ্যে অন্যতম মর্যাদা হলো, তিনি ছিলেন একজন আদিল বা ইনসাফগার খলীফা। অর্থাৎ খলীফাতুল মুসলিমীন,
আমীরুল মু’মিনীন। উনার ন্যায়বিচার ও ইনসাফ সম্পর্কে কিতাবে উল্লেখ করা
হয়, জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ছাহাবী হযরত সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন,
“আমার দৃষ্টিতে হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম
উনার পর আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার চেয়ে অধিক ন্যায় বিচারক কেউ নেই।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার অসংখ্য ফযীলতের মধ্যে আরো একটি ফযীলত হলো, তিনি যমীনে থাকতেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। যদিও তিনি আশারায়ে
মুবাশশারা উনাদের অন্তর্ভুক্ত নন। এ প্রসঙ্গে ‘পবিত্র বুখারী শরীফ’ উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার
মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার উম্মতের প্রথম যে দল
সমুদ্রের জিহাদে অংশগ্রহণ করবে, উনাদের জন্যে জান্নাত
ওয়াজিব।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত ইমাম তাবারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন,
আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আটাশ হিজরীতে
সর্বপ্রথম সমুদ্র জিহাদের মাধ্যমে কাবরাসের উপর আক্রমণ করেন এবং কাবরাস তিনিই বিজয়
করেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যারা আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, উনাকে নাক্বিছ বলে, দোষারোপ করে,
উনার সমালোচনা করে তাদের জন্যে হযরত ইমাম শিহাবুদ্দীন
খাফফাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কথাই অধিক প্রযোজ্য। তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, গালি দেয়, নাক্বিছ বলে, সমালোচনা করে, সে হাবিয়া দোযখের কুকুরসমূহের মধ্য হতে একটি কুকুর।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি শুধু ছাহাবীই
নন, বরং মর্যাদাপূর্ণ, জলীলুল ক্বদর ছাহাবী, কাতিবে ওহী, গুপ্তভেদ জাননেওয়ালা
ছাহাবী এবং ন্যায়পরায়ণ খলীফাও ছিলেন। কাজেই, ইয়াযীদ মালউনের জন্য বিশিষ্ট ছাহাবী, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনাকে দোষারোপ করা বা উনার সমালোচনা করা সম্পূর্ণরূপে কুফরী। এ কুফরী থেকে
প্রত্যেক মু’মিন মুসলমান উনাদেরকে বেঁচে
থাকতে হবে। অন্যথায় ঈমানহারা হয়ে মৃত্যুবরণ করে জাহান্নামের ইন্ধন হতে হবে।