নোটিশ

রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১২

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইসলামের উপর একের পর এক আঘাত হানার নমুনা ও তালিকা


যেসব দেশ ইসলামের উপর আঘাত হেনে যাচ্ছে ও পরিকল্পনা নিচ্ছে, তাদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দেওয়া হল। (আপডেট হবে ইনশাআল্লাহ)

আমেরিকাঃ
1.       ৭ অক্টোবর, ২০০১ : ২০০১ সালে আমেরিকা আফগানিস্তানে আক্রমণ করে নিরীহ মুসলমানদের গণহারে শহীদ করে, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত। একমুখী এ আক্রমণে লাখ লাখ মুসলমান শাহাদাতবরণ করেন। এ আক্রমণে তারা বিভিন্ন দেশকে একত্রিত করে International Security Assistance Force নামক সংগঠন করে এবং একটি মুসলিম দেশ আক্রমণের জন্য ৪৯ টি দেশের শক্তিকে সমন্বিত করে। দুঃখের বিষয় যে, এদের মধ্যে স্টার চিহ্নিত কিছু মুসলিম দেশও সহায়তা করেছিল (নাযুবিল্লাহ)। 
যেসব দেশ আফগানিস্তান আক্রমণে সহায়তা করেছিল, তাদের তালিকা নিম্নরূপঃ

                                 i)            United States
                                ii)            United Kingdom
                              iii)            Albania
                               iv)            Belgium
                                v)            Bulgaria
                               vi)            Canada
                             vii)            Croatia
                            viii)            Czech Republic
                               ix)            Denmark
                                x)            Estonia
                               xi)            France
                             xii)            Germany
                            xiii)            Greece
                            xiv)            Iceland 
                              xv)            Italy
                            xvi)            Latvia
                           xvii)            Lithuania
                         xviii)            Luxembourg
                            xix)            Netherlands
                              xx)            Norway
                            xxi)            Poland
                           xxii)            Portugal
                         xxiii)            Romania 
                          xxiv)            Slovakia
                           xxv)            Slovenia
                          xxvi)            Spain
                        xxvii)            Turkey **
                       xxviii)            Armenia
                          xxix)            Austria
                           xxx)            Azerbaijan **
                          xxxi)            Bosnia and Herzegovina **
                        xxxii)            Finland
                       xxxiii)            Georgia
                       xxxiv)            Ireland 
                         xxxv)            Macedonia
                       xxxvi)            Sweden
                      xxxvii)            Ukraine
                    xxxviii)            Australia
                       xxxix)            Bahrain **
                               xl)            El Salvador
                             xli)            South Korea
                            xlii)            Malaysia **
                          xliii)            Mongolia
                           xliv)            New Zealand
                            xlv)            Singapore
                           xlvi)            Tonga
                         xlvii)            United Arab Emirates
                        xlviii)            Switzerland
                           xlix)            Jordan **

2.       ২০ মার্চ, ২০০৩ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পরিচালিত বাহিনীর ইরাক আগ্রাসনের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এই আগ্রাসী বাহিনীতে অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, পোল্যান্ড এবং অন্যান্য কয়েকটি জাতির সৈন্যদল অংশ নিয়েছিল। দুঃখের বিষয় যে, এদের মধ্যে স্টার চিহ্নিত কিছু মুসলিম দেশও সহায়তা করেছিল (নাযুবিল্লাহ)। যেসব দেশ ইরাক আক্রমণে সহায়তা করেছিল, তাদের তালিকা নিম্নরূপঃ

                                 i)            United States
                                ii)            United Kingdom
                              iii)            Australia
                               iv)            El Salvador
                                v)             Estonia
                               vi)             Romania
                   vii)         Albania **
                            viii)             Armenia
                               ix)             Azerbaijan **
                                x)             Bosnia and Herzegovina **
                               xi)             Bulgaria
                             xii)             Czech Republic
                  xiii)         Georgia 
                            xiv)             Kazakhstan **
                              xv)             South Korea
                            xvi)             Latvia
                           xvii)             Lithuania 
                         xviii)            Macedonia
                            xix)            Moldova 
                              xx)            Mongolia
                            xxi)            Poland
                           xxii)            Singapore
                         xxiii)            Tonga
                          xxiv)            Ukraine
                           xxv)            Denmark 
                          xxvi)            Slovakia
                        xxvii)            Italy 
                       xxviii)            Japan
                          xxix)            Norway
                           xxx)            Netherlands
                          xxxi)            Portugal 
                        xxxii)            Dominican Republic
                       xxxiii)            Honduras
                       xxxiv)            Hungary
                         xxxv)            Iceland 
                       xxxvi)            New Zealand
                      xxxvii)            Nicaragua
                    xxxviii)            Philippines
                       xxxix)            Spain
                               xl)            Thailand
                             xli)            Bulgaria


3.       ২০০৩ ; ডঃ আফিয়া সিদ্দিকী, পাকিস্তানী নিউরো সাইনটিষ্ট। ২০০৩ সালে FBI তাকে কিডন্যাপ করেছিল এবং তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো আফগানিস্থানের বাগ্রাম জেলে। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারীতে তাকে একপেশে বিচারের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছিল ৮৬ বছর সস্রম কারাদন্ড যা ছিল মানবিকতার উপর চরম অন্যায়।
4.       অক্টোবর, ২০০৮ : জুতা কোম্পানী Nike একটি জুতা প্রস্তুত করেছিল যাতে মহান আল্লাহ পাক, উনার নাম মুবারক জুতার উপরে এবং তলায় লিখা হয়েছিল।  তারা এই জুতায় অংকিত আল্লাহ শব্দটিকে “Air”  শব্দের নকশাকৃত ডিজাইন বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও পরে মুসলমানদের প্রতিবাদের মুখে বাজার থেকে সেই জুতাগুলো তুলে নিতে বাধ্য হয়।
5.       Nike-র মত জুতা কোম্পানী Puma ও একই ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। তারা তাদের একটি জুতার মডেলের উপরিভাগে আল্লাহ শব্দ মুবারকটি খুবই স্পষ্ট ভাবে ফুটিয়ে তুলে।

6.       ০৬ মে, ২০০৯ : আফগানিস্থানের মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে একজন খ্রিস্টান ধর্মজাজক- সেনাদেরকে ব্রিফিং দেয় কিভাবে মুসলমানদেরকে ধর্মান্তরিত করতে হবে, বাইবেল বিতরণ করতে হবে। সেনাদেরকে উৎসাহ দিতে গিয়ে লে. কর্নেল গ্যারি হ্যান্সি বলেছে- বিশেষ বাহিনী (ন্যাটো) যেমন শত্রু শিকার করছে, তেমনি আমরা যিশুর সন্তান হিসেবে যিশুর জন্যই মানুষ (মুসলমান)আনবো। (তথ্য- আল জাজিরা হতে, যায়যায়দিন)
7.       মে, ২০১০ : মার্কিন স্পোর্টস জুতা প্রস্তুতকারী কোম্পানী keds সম্প্রতি কালেমায়ে তাওহীদ «لا إله إلا الله» এবং «محمد رسول الله» নকশাকৃত একটি জুতা বাজারজাত করেছে। যদিও জুতা নির্মাণকারী এ কোম্পানীটি দাবী করছে যে, তারা সৌদি আরবের পতাকা অনুসরণ করেই এমন ডিজাইনের জুতা নির্মাণ করেছে।
8.       BK cones নামে একটি আইচক্রীম কোম্পানী তার আইচক্রীমের মোড়কে আল্লাহ শব্দ মুবারক ব্যবহার করেছিল যদিও তারা দাবী করেছিল যে, এটা ঘূর্ণায়মান আইচক্রীমের ছবি। কিন্তু বাস্তবে তা আল্লাহ শব্দ মুবারক বৈ কিছুই নয়।
9.       ২০১০ : নিউইয়র্কের বাণিজ্যিক এলাকা ম্যানহ্যাটনে মুসলমানদের শ্রেষ্ঠ শেয়ারুল ইসলাম মক্কা শরীফ এর অনুরূপ ‘APPLE MECCA’ নামে বার বা শরাবখানা খুলেছে (নাউযুবিল্লাহ)। শরাবের বোতলে তারা বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ-এর ছবি ছেপেছে।
10.   ২০ মে, ২০১০ : সামাজিক ওয়েব সাইট ফেসবুকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকার প্রতিযোগিতার আহ্বান জানায় সিয়াটলের কার্টুনিস্ট ‘মলি নরিস’।
11.   মে ২০১০ : মার্কিন কমেডি সেন্ট্রালের এপিসোড ‘সাউথ পার্ক’ এ ব্যাঙ্গ কার্টুন প্রদর্শন করে।
12.   ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ : ১০ জন উগ্রপন্থি মার্কিনী ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসের নিকটে একত্রিত হয় এবং পবিত্র কুরআন শরীফ এর পাতা ছিড়ে ফেলে এবং পবিত্র কুরআন শরীফ এর পবিত্র পাতা সমূহ মাড়ায়। (নাউযুবিল্লাহ) তারা অপব্যাখ্যা করে দাবি করে- পবিত্র কুরআন শরীফ ইহুদী-খ্রিস্টানদের জন্য হুমকি স্বরূপ।
13.   ২০১০ : নিউইয়র্কেও একই ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
14.   ২০১০ : এদিকে টেনেস এবং কানসাস অঙ্গরাজ্যে সরাসরি পবিত্র কুরাআন শরীফ পুড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। টেনেসে নাসভিলিতে দুই খ্রিস্টান জঙ্গি এই অপকর্ম সংগঠিত করে এবং এর ছবি বিভিন্ন ওয়েব সাইট ও নিউজ এজেন্সির কাছে প্রকাশ করে।
15.   ২০১০ : কুরআন শরীফ পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফ্লোরিডার পাদ্রি টেরি জোন্সসহ কট্টর ইসলামবিরোধী চক্র
16.   ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১২ : গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০টি কোরআন শরীফসহ ৩০০টি ধর্মীয় গ্রন্থ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। তারা পবিত্র কোরআনের আরো ১,২০০ কপিসহ মোট ২,০০০ ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়াতে চেয়েছিল: কিন্তু প্রথম ঘটনার পর আফগান জনগণ প্রতিবাদে ফেটে পড়ার পর সে সাহস মার্কিন সেনারা আর দেখায়নি। এ ঘটনার প্রতিবাদে আফগানিস্তানের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভের সময় ৩২ জন মানুষ নিহত হয়েছে। আফগানিস্তানের পারওয়ান নির্যাতন শিবিরে আটক বন্দিদের কাছ থেকে এসব কোরআন শরীফ জব্দ করা হয়েছিল এবং এসব গ্রন্থে গুপ্ত সংকেত রয়েছে উল্লেখ করে 'বিপদজনক বই-পত্র' হিসেবে তা পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় দখলদার মার্কিন সেনারা।
17.   ২০১২ : মার্কিন সেনাদের কুরআন শরীফ অবমাননার ঘটনা এবারই প্রথম নয়।এর আগে তারা ইরাকের রেজওয়ানিয়া এলাকায় প্রশিক্ষণ গ্রহণের সময় পবিত্র কুরআন শরীফকে লক্ষ্য বানিয়ে তাতে গুলি করেছিল।
18.   ২০১২ : কিউবা'র গুয়ান্টানামো বে'র বন্দীশিবিরেও মার্কিন সেনারা পবিত্র কোরআন অবমাননা করেছিল।
19.   ২০১২ : মার্কিন সেনাদের গুলিতে আফগান নাগরিকদের লাশে পেশাব করা এবং তার ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার মতো জঘন্য ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে তিন মেরিন সেনার বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ আনা হয়নি। তাদেরকেও লঘু শাস্তি দেয়া হয়েছে বলে আলাদাভাবে মার্কিন মেরিন কোর থেকে ঘোষণা করা হয়েছে।
20.   ২০১২ : নয়-এগারোর ঠিক ১১ বছরের মাথায় হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে জুলাই ২০১১-তে নির্মাণকাজ শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত ইনোসেন্স অব মুসলিমস চলচ্চিত্রের কিছু অংশ ইউটিউবে ছড়িয়ে দেয় স্যাম বাসিল নামে ৫৬ বছরের এক ইসরাইলি রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার। (নাউযুবিল্লাহ)
21.   ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২ : আমেরিকার নিউইয়র্কের সাবওয়ে নামে পরিচিত ১০টি স্টেশনে পাতাল রেলে প্রচণ্ড মুসলিম বিদ্বেষী বিজ্ঞাপন দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে একটি ইহুদিবাদী গোষ্ঠী-আমেরিকান ফ্রিডম ডিফেন্স ইনিশিয়েটিভ ২০০৭ সালে তালাকপ্রাপ্তা নারী ও ইহুদিবাদী গোষ্ঠী প্রধান পামেলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের এক বিচারক বলেছেন, আমেরিকার সংবিধানে বর্ণিত বাকস্বাধীনতার আওতায় মুসলমানদের বর্বর বলে উল্লেখ করে এ বিজ্ঞাপন দেয়া যেতে পারে। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর পামেলা জানিয়ে দিয়েছেন, এই বিজ্ঞাপনের কারণে প্রতিবাদ বা সহিংসতা হলেও তিনি তাতে অনুতপ্ত হবেন না। এর আগে সানফ্যান্সিসকোর বাসে ওই পোস্টার লাগনো হয়েছে (সূত্র: এপি, এএফপি, সিএনএন ও ওয়াশিংটন পোস্ট)
22.   ১৯ নভেম্বর, ২০১২ : নিউ ইয়র্কে একটি মসজিদের ইমাম ছুরিকাহত হয়েছেন। হামলার সময় মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য দেয়া হয়।

ফ্রান্সঃ
23.   ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ : ফ্রান্সর কাগজগুলো ডেনমার্কে প্রকাশিত ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন রি-প্রিন্ট করে।
24.   ৩ ডিসেম্বর, ২০০৯ : সুইডেনে যেদিন মিনার নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তার মাত্র পাঁচদিন পরই ৩ ডিসেম্বর ০৯-এ ফ্রান্সের পাঁটি দৈনিক জরিপ রিপোর্ট দেয়, সে দেশের ৪১% লোক মসজিদ নির্মাণকে ভয়ঙ্কর মনে করে এবং তারা সবসময়ই এর বিরোধী। আর ৪৬% লোক মসজিদের মিনার নির্মাণের বিরোধী। 
25.   ১১ এপ্রিল, ২০১১ : ইউরোপের সবচেয়ে বেশি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ফ্রান্সে সাবেক প্রেসিডেন্ট সারকোজি জনসম্মুখে নারীদের বোরকা পরা নিষেধ করে আইন কার্যকর করে।  এ আইনের আওতায় কোনো নারী ফ্রান্সের রাস্তা, পার্কসহ প্রকাশ্যে যে কোনো স্থানে বোরকা পরলে তাকে এ শাস্তি পেতে হবে। আইন ভঙ্গকারীকে ১৫০ ইউরো জরিমানা সহ সর্বোচ্চ  দুই বছরের কারাদন্ডের বধান করা হয়েছে।
26.   ফ্রান্সে দাড়ি রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়।
27.   ১ নভেম্বর, ২০১১ : প্যারিস হতে প্রকাশিত সাপ্তাহিক "Charlie Hebdo" রম্য ম্যাগাজিন দ্বিতীয়বারের মত মুসলিমদের অপমান এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেহযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি ব্যঙ্গ কার্টুন চিত্র প্রকাশ করে (নাউযুবিল্লাহ)। এসব কার্টুনের কয়েকটিতে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখানো হয়েছে (নাউযুবিল্লাহ) কার্টুন চিত্রে ক্যাপশন দেয়া হয়, " ১০০ দোররা মারা হবে যদি হাসতে হাসতে না মরো!" হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে উনাকে পরবর্তী সংখ্যার জন্য "এডিটর-ইন-চীফ" পদে আহবান করা হয় (নাউযুবিল্লাহ) বলা হয়, "আমরা জানি আপনি ইসলামের নবী এবং আপনাকে দ্বিতীয়বার বলতে হবেনা!"
28.   ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১২ : গত ১৯ সেপ্টেম্বর বুধবার ফ্রান্সের হাস্যরসাত্মক সাপ্তাহিক 'চার্লি হেবদো'য় রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন ছাপা হয়েছে(নাউযুবিল্লাহ)অথচ ব্রিটিশ রাজবধু কেট মিডলটনের অর্ধনগ্ন ছবি প্রকাশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ফ্রান্সের আদালত।

ভারতঃ
29.   ১৬ আগস্ট ১৯৪৬ ; ভারতের কলকাতায় মুসলিম গণহত্যা
30.   ১৯৪৭ থেকে বর্তমান পর্যন্তঃ ভারতের কাশ্মিরে মুসলিম গণহত্যা
31.   ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ ; ভারতের আসামে মুসলিম গণহত্যা Nellie Massacre হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ সালে
32.   ১৯৮৮ : ভারতের মুম্বাইয়ে জন্ম নেওয়া সালমান রুশদী ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ নামক কুখ্যাত বই লিখেছে। (নাউযুবিল্লাহ)
33.   ১৯৯২ ; ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস, মুসলিম গণহত্যা
34.   ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০০৭ : ভারতের গুজরাটে মুসলিম গণহত্যা
35.   ২০১০ : ভারতের মসজিদে ‘সানিয়া মির্জার’ স্যুটিং।
36.   ২৪ জানুয়ারী, ২০১০: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে- ভোটের জন্য ছবি তুলতে হলে অবশ্যই মহিলাদের বোরকা খুলে মুখ দেখাতে হবে। মুখ দেখালে যাদের ধর্ম চলে যাবে মনে করেন, তাদের ভোট না দিলেই চলবে। ২১ জানুয়ারী ২০১০ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেয়। একই বিষয়ে ২০০৬ সালে হাইকোট-র্এ মামলা করলে- হাইকোর্ট বোরকা পরাটা ইসলামের কোন অংশ নয় বলে রায় দেয়।(তথ্য-সমকাল)
37.   ২৯ মার্চ ২০১২ ; ভারতের হায়দারাবাদে মুসলিম নির্যাতন
38.   ২০১২ : ভারতের পাঠ্যপুস্তকসহ আরো কয়েকটি দেশের বইয়ে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কল্পিত ছবি ছাপানো হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ)
39.   এপ্রিল ২০১ :ভারতের কর্নাটক রাজ্যের মেঙ্গালুরুতে সেন্ট আলসিয়াস প্রি-ইউনিভার্সটি নামক একটি বেসরকারি কলেজে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বোরকা । এর আগে রাজ্যের স্কুলগুলোতে ভগবত্ গীতা পাঠ্য করার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়

ইতালীঃ
40.   ২০০১ : ইতালীর সাংবাদিক ওরিয়ানা ফালাচি। ২০০১ সালে নিউইয়র্কের বিয়োগান্তক ঘটনার পরপরই সে জধমব ধহফ চৎরফব শিরোনামে একটা বই লেখেন। ইউরোপে এটা সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের মর্যাদা লাভ করে। মিস ফালাচি-এর মতে মুসলমানরা হল আল্লাহর অদ্ভূত সন্তান জঘন্য প্রাণী যারা ব্যাপটিস্ট্রিতে প্রস্রাব করতে চায় এবং জন্মহারের মাধ্যমে ইঁদুরের মত সংখ্যা বৃদ্ধি করে। (নাউযুবিল্লাহ)
41.   ২০ মার্চ, ২০০৩ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পরিচালিত বাহিনীর ইরাক আগ্রাসনের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এই আগ্রাসী বাহিনীতে ইতালী সৈন্যদল অংশ নিয়েছিল।
42.   ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ : ইতালির কাগজগুলো ডেনমার্কে প্রকাশিত ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন রি-প্রিন্ট করে। 
43.   সেপ্টেম্বর, ২০১১ : ইতালির পার্লামেন্টারি কমিশন বোরকা নিষিদ্ধ করার একটি আইন পাস করেছে। অধিকাংশ সংসদ সদস্য বোরকা নিষিদ্ধের পক্ষে মত দিয়েছে। ইতালীতে বোরকা নিষিদ্ধ হয়েছে। কোনো নারী তা ভঙ্গ করলে তাঁকে ৩০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। কোনো নারীকে জনসমক্ষে মুখ ঢেকে রাখতে অর্থাৎ নেকাব পরতে বাধ্য করলে শাস্তি হিসেবে ৩০ হাজার ইউরো জরিমানা ও এক বছরের কারাভোগ করতে হতে পারে।

অস্ট্রেলিয়াঃ
44.   ২০ মার্চ, ২০০৩ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পরিচালিত বাহিনীর ইরাক আগ্রাসনের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এই আগ্রাসী বাহিনীতে অস্ট্রেলিয়া সৈন্যদল অংশ নিয়েছিল।

রাশিয়াঃ
45.   ১৯৯১ : রাশিয়া ১৯৪৩ সালে অপারেশন লেন্টিলের নামে চেচনিয়ান মুসলমানদের শহীদ করেছিল। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত রাশিয়া চেচনিয়ান মুসলমানদের উপর গণহত্যার স্টীম রোলার চালায়। এখনও রাশিয়া কর্তৃক চেচনিয়ান মুসলমানেরা নির্যাতিত।

ডেনমার্কঃ
46.   ২০ মার্চ, ২০০৩ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পরিচালিত বাহিনীর ইরাক আগ্রাসনের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এই আগ্রাসী বাহিনীতে ডেনমার্ক সৈন্যদল অংশ নিয়েছিল।
47.   ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০০৫ : ডেনমার্কের পত্রিকা জিল্যান্ড পোস্টেন-এ প্রকাশিত ঞযব ঋধপবং ড়ভ গড়যধসসধফ শীর্ষক ১২টি ব্যঙ্গচিত্রের মধ্যে কার্টুনের মাথায় টাইম বোমার মত দেখতে পাগড়ী পরিহিত একটি ছবি ছাপানো হয় যা দ্বারা হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নির্দেশ করা হয়েছিল (নাউযুবিল্লাহ)
48.   ২০০৭ : ২০০৭ সালে ডেনিশ কার্টুনিস্ট কূট ওয়েষ্টারগারডের ব্যঙ্গ চিত্র প্রকাশ করে।
49.   ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ : কুখ্যাত জিল্যান্ড-পোস্টেনসহ ডেনমার্কের প্রধান ১৭টি নিউজপেপার একযোগে আবার হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যঙ্গত্ন কার্টুন ছাপায় গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি। শুধু তাই নয় ডেনমার্কের রাষ্ট্রিয় টেলিভিশনেও এই কার্টুন প্রদশন করা হয়। কার্টুনটিতে দেখানো হয়, কাল্পনিক কার্টুনের মাথায় জ্বলন্ত ফিউজসহ বোমাসদৃশ একটি পাগড়ি বহন করছে যা দ্বারা কাফিরেরা হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবমাননা করতে চেয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ) 
50.   সেপ্টেম্বর, ২০১০ : ‘‘দি টির্যাযনি অব সাইলেন্স' নামক বইতে ঐ কার্টুন পুনঃপ্রকাশ করা হয়। ড্যানিশ দৈনিক জিলগন্ড পোস্টের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফ্লেমিং রোজ গত বৃহস্পতিবার কুর্ট ওয়েস্টারগার্ডের ঐ কার্টুন পুনঃপ্রকাশ করে
51.   মসজিদের মিনার নির্মাণ নিষিদ্ধ করা হয়।

সুইজারল্যান্ডঃ
52.   ২০১০ : সুইজারল্যান্ডে বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়।
53.   ২৯ নভেম্বর, ২০০৯ : ২০০৭ সালের মে মাসে ডানপন্থী সুইস পিপলস পার্টি ও ফেডারেল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন মিনার নির্মাণ বন্ধের জন্য একটি কমিটি গঠন করে। উক্ত কমিটি তাদের কার্যক্রমের পক্ষে ব্যপক প্রচারণা চালায়। ২৯ নভেম্বর, ২০০৯ তারিখে সাংবিধানিকভাবে মিনার নির্মাণ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের পক্ষে গণভোটের মাধ্যমে সুইস সরকার নতুন করে সেদেশে মিনার নির্মাণ নিষিদ্ধ করে।


নরওয়েঃ
54.   ১০ জানুয়ারী, ২০০৬ : নরওয়ের একটা ম্যাগাজিন ব্যঙ্গচিত্রগুলো পুনরায় প্রকাশ করলে মুসলিম বিশ্বে তাৎক্ষণিক হৈচৈ পড়ে যায়।

জার্মানিঃ
55.   ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ : জার্মানির কাগজগুলো ডেনমার্কে প্রকাশিত ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন রি-প্রিন্ট করে। 
56.   সেপ্টেম্বর, ২০০৮ : জার্মানি থেকে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার প্রতি অপবাদ লেপন করে সাংবাদিক মেরি জোন্স ‘জুয়েল অব মদিনা’ নামক অপন্যাস বের করা হয়েছে।
57.   জানুয়ারী, ২০১০ : ফ্রান্সের একটি পার্লামেন্টারি কমিটি মহিলাদের মুখসহ পুরো শরীর আবৃত করার পোশাক-বোরকাকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে স্কুল ও সরকারী অফিস আদালতে তা নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে। রিয়া নোভোস্তি পত্রিকা জানিয়েছে, তুর্কী বংশোদ্ভুত জার্মান রাজনীতিবিদ লালে আকগান জার্মানীতেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। কাফিরটা বলেছে, সারা শরীরকে বন্দী করে রাখার এই পোষাক (বোরকা) গভীরভাবে মানবাধিকারের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। কাজেই জার্মান সরকারের উচিত বোরকা নিষিদ্ধ করা।
58.   ২০১০ : জার্মানীর চ্যান্সেলর এ্যঞ্জেলা মার্কেল কর্তৃক হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অশ্লীল কার্টুন অংকনকারী ডেনিস কার্টুনিস্ট কুরত ওয়েস্টারগার্ডকে প্রেস ফ্রিডম এওয়ার্ড-২০১০ প্রদান।
59.   সেপ্টেম্বর, ২০১২ : জার্মানীর এক কট্টর ইসলামবিরোধী চক্র ইনোসেন্স অব মুসলিমস নামক অশ্লীল চলচ্চিত্রটির ট্রেইলার ওয়েবসাইট-এ দিয়ে বলেছে তারা শীঘ্রই বার্লিনে এটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে।

পোলান্ডঃ
60.   ২০ মার্চ, ২০০৩ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পরিচালিত বাহিনীর ইরাক আগ্রাসনের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এই আগ্রাসী বাহিনীতে পোল্যান্ড সৈন্যদল অংশ নিয়েছিল।

ইংল্যান্ডঃ
61.   ২০ মার্চ, ২০০৩ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পরিচালিত বাহিনীর ইরাক আগ্রাসনের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এই আগ্রাসী বাহিনীতে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, পোল্যান্ড এবং অন্যান্য কয়েকটি জাতির সৈন্যদল অংশ নিয়েছিল।
62.   সেপ্টেম্বর, ২০০৮ : সুদানে খার্তুমের উপকন্ঠে একস্থানে ব্রিটিশ শিক্ষিকা গিলিয়ান গিবন্স এক মেয়েকে তার খেলনা পুতুল নিয়ে আসতে বলে। তারপর তার নাম দেওয়া হয় ‘মুহম্মদ’। (নাউযুবিল্লাহ)
63.   ২০০৯ : বিবিসি ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ নামক কুখ্যাত বই এর উপর সিনেমা তৈরী করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)
64.   এপ্রিল, ২০০৯: বৃটিশ পুলিশ অনর্থক মিথ্যা অজুহাতে ১০জন পাকিস্তানী মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করে। তাদেরকে কারাগারে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়। গ্রেফতারকৃত একজন তারিক উর রহমান বলেছেন- জেলখানায় আমরা যখন কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করতাম তখন তারা কুকুর নিয়ে আসতো। শুকে দেখানের নামে তারা কুকুরগুলোকে তাদের মুখ কুরআন শরীফ-এ লাগাতো। এই কাজটি থেকে বিরত থাকার জন্য তাদেরকে অনেক অনুনয়-বিনয় করলে তারা সাফ জানিয়ে দেয়- এটাই তাদের দায়িত্ব।(তথ্য- সংগ্রাম)
65.   জুলাই, ২০১০ : জনসমক্ষে মুখ আচ্ছাদন করে রাখাকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে ফিলিপ হলোবোন নামে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির একজন এমপি ফেইস কাভারিংস (রেগুলেশন) বিল নামের একটি প্রাইভেট মেম্বারস বিল উত্থাপন করে।
66.   সেপ্টেম্বর, ২০১০ : ব্রিটেনের এক কলেজে বোরকা নিষিদ্ধ ল্যাংকাশায়ারের বার্নলি কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, নিরাপত্তাজনিত কারণে সব ছাত্র, কর্মচারী ও দর্শনার্থীদের মুখ ঢেকে রাখা হয় এমন পোশাক ছাড়াই কলেজে আসতে হবে।


সুইডেনঃ
67.   নভেম্বর, ২০০৯ : সুইডেনে যেখানে মসজিদে মিনার তৈরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেখানে মুসলিম রয়েছে ৪ লাখেরও বেশি। এরা সকলেই এখানের স্থায়ী বাসিন্দা। শহরের একশ কিলোমিটার পরপর একেকটা মসজিদ পাওয়া যায। এই মসজিদগুলোর দূরত্বও চারদিকেই একশো কিলোমিটার। একশো কিলোমিটারের পরেই কেবল একটি মসজিদ আর মিনার চোখে পড়তে পারে। আর সবচে অবাক করা যে তথ্যটি রয়েছে, সেটি হলো, চার লাখ মুসলিমের দেশে মাত্র চারটি মসজিদে মিনার রয়েছে। পঞ্চম মসজিদে যখন মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তখনই দেশের কিছু মানুষ এর বিরোধিতা করে। রাস্তায় তারা মিছিলও করে। এই গুটিকতেক লোকের আপত্তিতেই সুইডেন সরকার নিষিদ্ধ করলো মসজিদের মিনার।  
68.   মার্চ, ২০১০ ; ড্যাগেনস নাইহেট নামের পত্রিকায় কার্টুনিস্ট লার্স ভিকস হযরত রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন করে (নাউযুবিল্লাহ)।

নেদারল্যান্ডঃ
69.   ২০ মার্চ, ২০০৩ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পরিচালিত বাহিনীর ইরাক আগ্রাসনের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এই আগ্রাসী বাহিনীতে নেদারল্যান্ড সৈন্যদল অংশ নিয়েছিল।
70.   ২৮ নভেম্বর, ২০০৮ : নেদারল্যান্ডের রক্ষণশীল এমপি গিয়ার্ট ওয়াইল্ডার্স কুরআন শরীফ পুড়ে কুরআন শরীফ-এর অবমাননা করেছে শুধু তাই নয় ছিঁড়ে ফেলার দৃশ্য প্রকাশও করেছে।
71.   নেদারল্যান্ডে কুরআন শরীফ-এর নামে ফ্যাসীবাদী চরিত্র নিয়ে সিনেমা করা হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ)
72.   জানুয়ারী, ২০১২ : বোরকা, নেকাব এবং মুখ ঢেকে রাখে এমন হেলম্যাট পরা নিষিদ্ধ করতে একটি খসড়া আইন অনুমোদন করেছে নেদারল্যান্ড সরকার। নতুন আইন অনুসারে মুখঢেকে রাস্তায় চলা ব্যক্তিদের তিনশ ৮০ ইউরো মুচলেকা দিতে হবে।

দক্ষিণ আফ্রিকাঃ
73.   ২১ মে, ২০১০ : দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি কাল্পনিক কার্টুন ছাপিয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ)

গ্রিসঃ
74.   বুধবার এথেন্সে এক মুসলিম নাগরিকের কফিশপে গ্রীক পুলিশ তল্লাসী চালানোর সময় একজন পুলিশ কর্মকর্তা কফিশপের এক ক্রেতার কাছ থেকে কোরআন শরীফ কেড়ে নেয় এবং তা টুকরা টুকরা করে ছিড়ে পদদলিত করে।

বেলজিয়ামঃ
75.   আগস্ট, ২০১২ : বেলজিয়ামে জনসম্মুখে নারীদের বোরকা পরা নিষেধ করে এ সংক্রান্ত আইন কার্যকর শুরু হয়েছে। এ আইন ভঙ্গ করলে ১৯৭ মার্কিন ডলার জরিমানা বা সর্বোচ্চ সাতদিনের কারাদণ্ড দেয়া হবে।

কানাডাঃ
76.   ডিসেম্বর, ২০১১: কানাডা সরকার নতুন নাগরিকত্ব পাওয়া নারী নাগরিকদের ক্ষেত্রে সব রকম অনুষ্ঠানস্থলে বোরকা কিংবা নেকাব পড়া নিষিদ্ধ করেছে।

স্পেনঃ
77.   ২০ মার্চ, ২০০৩ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পরিচালিত বাহিনীর ইরাক আগ্রাসনের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এই আগ্রাসী বাহিনীতে স্পেন সৈন্যদল অংশ নিয়েছিল।
78.   ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ : ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং স্পেনের কাগজগুলো ডেনমার্কে প্রকাশিত ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন রি-প্রিন্ট করে। 
79.   সেপ্টেম্বর, ২০১২ : স্পেনের রাজনৈতিক ব্যঙ্গ পত্রিকা এল খোয়াজেভ-এর প্রচ্ছদে ছাপানো হলো সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাল্পনিক ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন।
80.   জুন, ২০১০ : স্পেনের বার্সেলোনা শহরে নেকাব ও বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সোমবার বার্সেলোনা পৌর সরকার এক বিবৃতিতে এ নির্দেশ জারি করে। আগস্টের পর এ নির্দেশ কার্যকর হয় বিবৃতিতে বলা হয়, 'জনসমাগম হয় এমন সব স্থানে নেকাব ও বোরকার মতো মানুষের পরিচয় আড়াল করে রাখা যে কোনো পোশাক নিষিদ্ধ হবে।'

সিরিয়াঃ
81.   জুলাই, ২০১০ : দেশের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বোরকা পরা কোনো মহিলাকে যেন ঐসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি না করা হয়। শিক্ষিকারাও বোরকা পরতে পারবেন না। সরকারি প্রাথমিক স্কুলের বোরকা পরা শিক্ষিকাদের সরকারের অন্য দফতরে বদলি করা হয়েছিল। তবে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, কেউ শুধু মাথা ঢাকা দেয়া 'হিজাব' পরতেই পারেন, সেটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি।

সৌদি আরবঃ
82.   ১৯৯৭ : সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত প্রথম কনফেডারেশ কাপে, একটি বিদেশী পানীয় প্রস্তুতকারী কোম্পানী সৌদি আরবের পতাকার ছবি নকশাকৃত ওয়ান টাইম ইউজ গ্লাস তৈরী করে বাজারজাত করে। এ গ্লাসে উক্ত পবিত্র বাক্যদ্বয় থাকার কারণে মুসলমানদের কঠোর বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়।

মায়ানমারঃ
83.   ৩জুন, ২০১২ ; মায়ানমার বা বার্মার আরাকান রাজ্যে কয়েক মাস ধরে বাঙ্গালী রাখাইন মুসলিমদের গণহত্যা করা হয়।
84.   অক্টোবর, ২০১২ : মিয়ানমারের আকিয়াব শহরের প্রধান মসজিদ "বড় মসজিদ" জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। মিয়ানমার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশটির আরাকান প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিম-বিরোধী যে অভিযান চলছে তারই অংশ হিসেবে এ জঘন্য ঘটনা ঘটানো হয়েছে।