নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, ‘কোনো ব্যক্তি আমার প্রতি দুরূদ
শরীফ অর্থাৎ ছলাত শরীফ ও সালাম শরীফ পাঠ করলে তা আমার নিকট পৌঁছে।’
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
উনার নিজ কান মুবারক দ্বারা উম্মতের ছলাত শরীফ, সালাম শরীফ বা পবিত্র দুরূদ শরীফ শুনেন।
যা উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত
উনাদের মধ্যে একটা বিশেষ ফযীলত।
তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব
কর্তব্য হচ্ছে, বেশি বেশি ছলাত শরীফ ও সালাম
শরীফ পাঠ করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ,
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ
উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আবু হুরাইরা
রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণিত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার ছলাত শরীফ বা পবিত্র দুরূদ শরীফ
পাঠ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার
প্রতি দশটি রহমত নাযিল করবেন।’ (মুসলিম শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে
বর্ণিত। সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
যে ব্যক্তি আমার উপর একবার ছলাত শরীফ বা পবিত্র
দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার
উপর দশবার রহমত নাযিল করবেন এবং তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করা হবে ও তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি
করা হবে।” (নাসাঈ শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ছলাত শরীফ বা পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠের ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার
থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ওই ব্যক্তিই কিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে নিকটে থাকবে, যে আমার প্রতি অধিক মাত্রায় পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবে।”
(তিরমিযী শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আলোচ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে,
পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠের কত ফযীলত। যে আমল করলে একই
সাথে তিনটি ফযীলত পাওয়া যায় তথা দশটি রহমত নাযিল হয়, দশটি গুনাহ মাফ হয় এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি হয়। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম উনার থেকে
বর্ণিত। নিশ্চয়ই দোয়া আকাশ ও যমীনের মাঝখানে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। তোমরা নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ না করা পর্যন্ত দোয়া মোটেও উপরে উঠবে না। (তিরমিযী
শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘জিয়াউল ইফহাম’ কিতাব উনার উদ্ধৃতি উল্লেখ
করে বলেন, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “কোনো ব্যক্তি আমার প্রতি পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করলে তা আমার
নিকট পৌঁছে। তখন আমরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম জিজ্ঞেস করলাম,
এটা আপনার পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পরও? উত্তরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
বলেন, হ্যাঁ, এ নিয়ম পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পরেও বলবৎ থাকবে।”
সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘আনিসুল জালীস’ কিতাব উনার উদ্ধৃতি উল্লেখ
করে বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
“হে আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ!
আমার পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পর প্রতি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ ও ইয়াওমুল
জুমুয়াতি বা জুমুয়াবার বেশি করে পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবেন, আপনাদের পবিত্র দুরূদ শরীফ আমি সরাসরি শুনি।”
সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘দালায়িলুল খাইরাত’ কিতাব উনার বরাত দিয়ে বলেন,
“একদা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, আপনার থেকে দূরে অবস্থানকারী
ও পরবর্তীকালে পৃথিবীতে আগমনকারী উনাদের পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ আপনার দৃষ্টিতে কি রকম
হবে? তিনি ইরশাদ করেন, আন্তরিক, অকৃত্রিম ভালোবাসা
সহকারে দুরূদ শরীফ পাঠকারীদের পবিত্র দুরূদ শরীফ আমি নিজেই শুনি এবং তাদেরকে চিনিও।
আর যাদের অন্তরে আমার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা নেই, তাদের পবিত্র দুরূদ শরীফও আমার কাছে পেশ করা হয়।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অকাট্যভাবেই প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ কান মুবারক দ্বারা পবিত্র
ছলাত শরীফ বা দুরূদ শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ শুনেন। যা উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত
উনাদেরই বহিঃপ্রকাশ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাই আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো- মহান আল্লাহ পাক উনার
প্রিয়তম হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উপলব্ধি করতঃ উনার প্রতি যথাযথ তা’যীম-তাকরীম ও সম্মান প্রদর্শন এবং পরিপূর্ণ ছানা-সিফত মুবারক
ও বেশি বেশি পবিত্র ছলাত শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করার মাধ্যমে মহান মহান আল্লাহ
পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদের খাছ রেযামন্দি মুবারক হাছিল করা।