নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস
সালাম উনার মুহব্বতই হচ্ছে ঈমান।’
আজ সুমহান ঐতিহাসিক ২২ জুমাদাল
উখরা।
আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছিদ্দীক্বে আকবর হযরত
আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উনার বরকতময় দিন।
সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের
জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে এ বরকতপূর্ণ দিনে পবিত্র ওয়াজ শরীফ,
পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার
মাহফিলের আয়োজন করে উনার যথাযথ ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা।
আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব
এবং কর্তব্য ছিলো- মাসব্যাপী মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার পবিত্র
জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিছাল
শরীফ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে-
৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র ইসলাম উনার দেশের সরকার এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে
কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। সরকারের উচিত এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া এবং গুরুত্বের
সাথে দেখা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ,
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন, হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস
সালাম উনাদের পরে যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী তিনিই ‘ছিদ্দীক্বে আকবর’ আলাইহিস সালাম এবং এই ছিদ্দীক্বে
আকবর লক্বব উনার একক বৈশিষ্ট্য। উনার মর্যাদা স্বল্প পরিসরে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। এমন
কোন ভাষা নেই, যে ভাষায় উনার জীবনীগ্রন্থ
রচিত হয়নি। তিনি ছিলেন সেই ব্যক্তি যিনি প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব
আলাইহিস সালাম তিনি ইসলামী জগতে এক নজিরবিহীন বিরল ব্যক্তিত্ব। নুবুওওয়াতের পর উনার
ইমামত ও খিলাফত সকলেই বিনা দ্বিধায় মেনে নেন।
খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত ছিদ্দীক্বে
আকবর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবসের গুরুত্ব ও মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে
আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কিতাব
উনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি আমার রব মহান
আল্লাহ পাক উনাকে ছাড়া যদি অন্য কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম তাহলে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব
আলাইহিস সালাম উনাকেই বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আজ ২২শে জুমাদাল উখরা আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র
বিছাল শরীফ বরকতপূর্ণ দিন। যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার যমীনে হযরত নবী ও হযরত রসূল আলাইহিমুস
সালামগণ উনাদের পর মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বশ্রেষ্ঠ বান্দা এবং উনার হাবীব,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত। উনাকে মুহব্বত করা হচ্ছে ঈমান। উনাকে অনুসরণ-অনুকরণ করলে হিদায়েত
ও মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি পাওয়া যায়। সুবহানাল্লাহ! তাই সারাবিশ্বের মুসলিম
উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে এ বরকতপূর্ণ দিনে পবিত্র ওয়াজ
শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের
আয়োজন করে উনার যথাযথ ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত উনার ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা ও বুযুর্গী মুবারক সম্পর্কিত ইলম না থাকার কারণেই
অনেকে উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও অনুসরণ করতে পারছে না। যার ফলে তারা মহান আল্লাহ পাক উনার
ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের
খাছ রেযামন্দি হাছিলে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই উনার সম্পর্কে জানা সকলের জন্যই ফরয। কেননা
যে বিষয়টা আমল করা ফরয সে বিষয়ে ইলম অর্জন করাও ফরয। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো ৯৭ ভাগ
মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের মাদরাসা, স্কুল-কলেজ,
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে উনার সম্পর্কে কোনো
আলোচনাই নেই। অথচ সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য অর্থাৎ ফরয-ওয়াজিব ছিলো, শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
সিলেবাসে অর্থাৎ পাঠ্যপুস্তকে উনার জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা। পাশাপাশি উনার পবিত্র
বিছাল শরীফ উপলক্ষে সরকারিভাবে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। সরকারের জন্য আরো দায়িত্ব-কর্তব্য
অর্থাৎ ফরয হচ্ছে, উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস
২২ জুমাদাল উখরা শরীফ উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, জুমাদাল উখরা মাস চলে যাচ্ছে অথচ সরকার এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত
কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস
সালাম উনার মুহব্বতই হচ্ছে ঈমান।’
আজ সুমহান ঐতিহাসিক ২২ জুমাদাল
উখরা। আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছিদ্দীক্বে আকবর হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার
পবিত্র বিছাল শরীফ উনার বরকতময় দিন। সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য
হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে এ বরকতপূর্ণ দিনে পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের
আয়োজন করে উনার যথাযথ ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা। আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব এবং কর্তব্য
ছিলো- মাসব্যাপী মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক
সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবসে
সরকারি ছুটি ঘোষণা করা। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে- ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন
পবিত্র ইসলাম উনার দেশের সরকার এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি।
সরকারের উচিত এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া এবং গুরুত্বের সাথে দেখা।