নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে আমার সুন্নত মুবারক উনাকে
মুহব্বত ও অনুসরণ করলো সে আমাকেই মুহব্বত ও অনুসরণ করলো।’
আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, ছিদ্দীক্বে আকবর হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র সুন্নত মুবারক
উনাকে শুধু মুহব্বতই করতেন না বরং সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ও পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণও করতেন।
তাই তিনি এত বেমেছালভাবে মহান
আল্লাহ পাক উনার ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উভয়ের খাছ রেযামন্দি মুবারক হাছিল করেছেন।
অতএব, আমাদের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, উনার পবিত্র সাওয়ানেহে উমরী মুবারক থেকে ইবরত-নছীহত মুবারক হাছিল
করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার পরিপূর্ণ অনুসরণ করা।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ,
যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র
কালাম পাক উনার ‘পবিত্র সূরা তাওবা শরীফ’
উনার ৪০ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ
মুবারক করেন, “তিনি ছিলেন দু’জনের দ্বিতীয়। যখন উনারা গুহায় অবস্থান করছিলেন তখন তিনি আপন
সঙ্গী উনাকে বললেন, চিন্তা করবেন না নিঃসন্দেহে
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সাথে রয়েছেন।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত মহান আল্লাহ পাক তিনি উল্লিখিত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে
খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার তিনটি মর্যাদা মুবারক
বর্ণনা করেছেন, (১) হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব
আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন- দু’জনের দ্বিতীয়। (২) তিনি আখিরী
রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ সাথী বা খাদিম।
(৩) হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার সাথে মহান আল্লাহ পাক তিনি রয়েছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের পর সর্বশ্রেষ্ঠ বা সবচেয়ে
ফযীলতপূর্ণ মানুষ হচ্ছেন- হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমীরুল মু’মিনীন হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব
আলাইহিস সালাম উনার এত মর্যাদা ও ফযীলত মুবারক লাভ করার অন্যতম কারণ হচ্ছে- সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ-নিষেধ মুবারক
তথা পবিত্র সুন্নত মুবারকসমূহ উনাদের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ও পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ-অনুকরণ
করা। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার ও উনার পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার প্রতি হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার
যে কতটুকু আগ্রহ ও মুহব্বত ছিলো নিম্নোক্ত ঘটনা থেকেই তা আঁচ করা যায়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ছহীহ কিতাব ‘বুখারী শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “মুসলিম জাহানের প্রথম খলীফা, খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি
অসুস্থ। উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস
সালাম তিনি উনার পরিচর্যা করছেন। হঠাৎ তিনি নিজ কন্যা উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞেস করলেন,
মাগো! সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাফন মুবারক উনার জন্য কয়খানা কাপড় মুবারক লেগেছিল?
উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি জবাব দিলেন,
তিনখানা। খলীফাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম হযরত আবু বকর ছিদ্দীক আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আমার জন্যও তিনটি কাপড়ের ব্যবস্থা করুন।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এভাবে অসুস্থতা বেড়েই চললো। খলীফাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি জিজ্ঞেস
করলেন, মাগো! আজ কি বার? উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস
সালাম তিনি উত্তর দিলেন, আব্বাজান! আজ ইয়াওমুল
ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ। হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি কিছুক্ষণ
নীরব থাকলেন। অতঃপর উপরের দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবলেন, এরপর স্পষ্ট ভাষায় গভীর আবেগ ও মুহব্বতের সাথে বললেন- সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তেষট্টি বছর বয়স মুবারক-এ
এবং ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফই পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেছিলেন। কতই
না ভালো হতো যদি এই ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ উনার মধ্যে আমার পবিত্র
বিছাল শরীফ হতো। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতএব এ ঘটনা থেকেই অনুমান করা যায় যে, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত আবু
বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার কতটুকু অনুসরণ-অনুকরণ
করতেন এবং পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার প্রতি উনার কতটুকু আগ্রহ ও মুহব্বত ছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে
উনার সম্পর্কে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি যদি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ছাড়া অন্য কাউকে বন্ধু হিসেবে
গ্রহণ করতাম তাহলে হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনাকেই বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম।”
সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, ছিদ্দীক্বে আকবর হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র সুন্নত মুবারক
উনাকে শুধু মুহব্বতই করতেন না বরং সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ও পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণও করতেন।
তাই তিনি এত বেমেছালভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের
উভয়ের খাছ রেযামন্দি মুবারক হাছিল করেছেন। অতএব, আমাদের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহে
উমরী মুবারক থেকে ইবরত-নছীহত মুবারক হাছিল করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার পরিপূর্ণ অনুসরণ-অনুকরণ করা।