নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমার পবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম বা আওলাদ আলাইহিমুস সালামগণ উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের
জন্য।’
সুমহান বরকতময় ১৪ রজবুল হারাম।
পবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম,
আওলাদে
রসূল হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উনার বরকতপূর্ণ
দিন।
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও হযরত আওলাদে রসূল আলাইহিমুস
সালাম উনাদের মুহব্বতই হচ্ছে পবিত্র ঈমান। উনাদের প্রতি তা’যীম-তাকরীম
প্রদর্শন করা ও উনাদের খিদমতের আঞ্জাম দেয়া ফরয-ওয়াজিব।
যা বান্দা-বান্দী ও উম্মতগণ উনাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে বেমেছাল
কামিয়াবী ও নাজাত লাভের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উসীলা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও
মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, কুতুবুল আলম,
আওলাদে
রসূল, সাইয়্যিদুনা
ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
মহান
আল্লাহ পাক তিনি হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের
নিকট কোনো প্রতিদান চাই না। (আর তোমাদের পক্ষে তা দেয়াও সম্ভব নয়) তবে যেহেতু
তোমাদের ইহকাল ও পরকালে নাজাত লাভ করতে হবে, মুহব্বত-মারিফাত,
রেযামন্দি
মুবারক হাছিল করতে হবে; সেহেতু তোমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- আমার
নিকটজন তথা হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও আওলাদ আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের
প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে।” (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ২৩)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তিরিমিযী শরীফ ও
মিশকাত শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, রঈসুল
মুফাসসিরীন হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক
উনাকে তোমরা মুহব্বত করো। কেননা, তিনি তোমাদের প্রতি খাওয়া-পরার মাধ্যমে অনুগ্রহ
করে থাকেন। আর আমাকে তোমরা মুহব্বত করো মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত পাওয়ার জন্য।
আর আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং আমার হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম
উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার মুহব্বত পাওয়ার জন্য।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উক্ত পবিত্র
হাদীছ শরীফ থেকে প্রমাণিত হলো, কেউ যদি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ
পাক উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি পেতে চায়, তাহলে তাকে
অবশ্যই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম
উনাদেরকে মুহব্বত এবং সন্তুষ্ট করতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাই আমরা দেখতে
পাই- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে শুরু করে
পরবর্তী উম্মত উনারা সকলেই হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও হযরত আওলাদে
রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি মুহব্বত রাখা, সম্মান করা,
খিদমত
করা ও অনুসরণ-অনুকরণ মুবারক করার বিষয়ে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বুখারী শরীফ
উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, যিনি আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া
অর্থাৎ হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হযরত আবূ বকর
ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বলেছেন- মহান আল্লাহ পাক উনার শপথ! যাঁর কুদরতী হাত
মুবারক-এ আমার প্রাণ মুবারক রয়েছে, আমি আমার ঘনিষ্ঠজনদের থেকে নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঘনিষ্ঠজন
উনাদেরকে অধিক প্রিয় মনে করি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘সাওয়ায়িকে
মুহরিকা’ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও
আওলাদে রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হাসান মুসান্না
আলাইহিস সালাম তিনি যুবক বয়স মুবারক-এ একবার খলীফা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট তাশরীফ নিলেন। যেহেতু তিনি আওলাদে রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাই খলীফা উনাকে উঁচু আসন মুবারক-এ স্থান দিলেন
এবং যে উদ্দেশ্য মুবারক নিয়ে তিনি তাশরীফ নিয়েছিলেন উনার সেই উদ্দেশ্য মুবারক পূরণ
করে দিলেন। তিনি চলে যাওয়ার পর লোকেরা হযরত খলীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে
জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি একজন কম বয়সী বালক উনাকে উঁচু আসনে স্থান দিলেন কেন? তিনি বললেন,
আমি
নির্ভরযোগ্য হাদীছ শরীফ বর্ণনাকারী উনাদের থেকে শুনেছি, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “হযরত ফাতিমা
আলাইহাস সালাম তিনি আমারই দেহ মুবারক উনার অংশ মুবারক। যে কাজে তিনি সন্তুষ্ট সে
কাজে আমিও সন্তুষ্ট।” কাজেই, হযরত আহলে বাইত
শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও আওলাদে রসূল আলাইহিস সালাম উনার প্রতি তা’যীম-তাকরীম
প্রদর্শনের কারণে হযরত ফাতিমা আলাইহাস তিনি যেমন সন্তুষ্ট হবেন তেমনি নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও
সন্তুষ্ট হবেন। এজন্যই আমি এরূপ করেছি। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা
হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের
অন্তর্ভুক্ত। মূলত, কিতাবে উনার বেমেছাল ছানা-ছিফত, ফাযায়িল-ফযীলত,
মর্যাদা-মর্তবা,
শান-মান
বর্ণিত রয়েছে। তিনি ১৪৮ হিজরী সনে এই পবিত্র রজবুল হারাম মাসেরই ১৪ তারিখ ইয়াওমুল
ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ-এ পবিত্র মদীনা শরীফ-এ পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ
করেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো-
সুমহান ও বরকতময় ১৪ রজবুল হারাম পবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম
উনাদের ষষ্ঠ ইমাম, সুলত্বানুল মাশায়িখ, ইমামুল মুহসিনীন, ইমামুছ
ছিদ্দীক্বীন, আওলাদে রসূল হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র
বিছাল শরীফ উনার বরকতপূর্ণ দিন। সকল মুসলমানদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, উনার পবিত্র
জীবনী মুবারক জানা, উনাকে প্রতি ক্ষেত্রে অনুসরণ-অনুকরণ করা উনাকে মুহব্বত ও তা’যীম-তাকরীম করা
এবং সর্বত্র উনার বেশি বেশি আলোচনা করা। আর সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে-
শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস বা
পাঠ্যপুস্তকে উনার সম্মানার্থে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা।
পাশাপাশি উনারই সম্মানার্থে উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা
করা।
============================================
নাম মুবারক:
জা’ফর; অর্থ: নদী, খাল, সাগর ইত্যাদি। মূল অর্থ হলো- জামিউন নিয়ামত তথা সমস্ত নিয়ামত-এর অধিকারী এবং জামিউন নিসবত অর্থাৎ সমস্ত নিসবতের অধিকারী। যেহেতু ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমু সালাম হিসেবে বিশেষ নিয়ামত ও নিসবত-এর অধিকারী, উম্মত হিসেবে মূল নিয়ামত ও নিসবত-এর অধিকারী এবং যাহিরী, বাতিনী সমস্ত নিয়ামত ও নিসবত-এর অধিকারী ছিলেন, তাই তিনি হচ্ছে জামিউন নিয়ামত বা সমস্ত নিয়ামত রাজির অধিকারী এবং জামিউন নিসবত অর্থাৎ সমস্ত নিসবতের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!
জা’ফর; অর্থ: নদী, খাল, সাগর ইত্যাদি। মূল অর্থ হলো- জামিউন নিয়ামত তথা সমস্ত নিয়ামত-এর অধিকারী এবং জামিউন নিসবত অর্থাৎ সমস্ত নিসবতের অধিকারী। যেহেতু ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমু সালাম হিসেবে বিশেষ নিয়ামত ও নিসবত-এর অধিকারী, উম্মত হিসেবে মূল নিয়ামত ও নিসবত-এর অধিকারী এবং যাহিরী, বাতিনী সমস্ত নিয়ামত ও নিসবত-এর অধিকারী ছিলেন, তাই তিনি হচ্ছে জামিউন নিয়ামত বা সমস্ত নিয়ামত রাজির অধিকারী এবং জামিউন নিসবত অর্থাৎ সমস্ত নিসবতের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!
লক্বব মুবারক:
ছাদিক্ব হচ্ছে উনার একটি বিশেষ লক্বব মুবারক। তিনি হচ্ছেন সমস্ত ছাদিক্বীন উনাদের ইমাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা ছাদিক্বীন উনাদের সঙ্গী হয়ে যাও।”
হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন- এই আয়াত শরীফ-এর পরিপূর্ণ মিছদাক। এছাড়া ও ফাদ্বিল, ত্বাহির উনার বিশেষ লক্বব মুবারক-এর অন্তর্ভুক্ত। মূলত, তিনি সমস্ত উত্তম ছিফত মুবারক-এরই অধিকারী ছিলেন। তাই সেই দিক থেকে তিনি হচ্ছেন, জামিউল আলক্বাব বা সমস্ত লক্বব মুবারকের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!
বিলাদত শরীফ: হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি ৯৬ হিজরীর ১৭ রবীউল আউয়াল শরীফ-এর ইছনানিল আযীম তথা সোমবার শরীফ মদীনা শরীফ-এ বিলাদত শরীফ লাভ করেন। আর উনার বিছাল শরীফ হচ্ছে- ১৪৮ হিজরীর ১৪ই রজবুল হারাম ইছনাইনিল আযীম তথা সোমবার শরীফ বাদ ইশা মদীনা শরীফ-এ।
ছাদিক্ব হচ্ছে উনার একটি বিশেষ লক্বব মুবারক। তিনি হচ্ছেন সমস্ত ছাদিক্বীন উনাদের ইমাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা ছাদিক্বীন উনাদের সঙ্গী হয়ে যাও।”
হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন- এই আয়াত শরীফ-এর পরিপূর্ণ মিছদাক। এছাড়া ও ফাদ্বিল, ত্বাহির উনার বিশেষ লক্বব মুবারক-এর অন্তর্ভুক্ত। মূলত, তিনি সমস্ত উত্তম ছিফত মুবারক-এরই অধিকারী ছিলেন। তাই সেই দিক থেকে তিনি হচ্ছেন, জামিউল আলক্বাব বা সমস্ত লক্বব মুবারকের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!
বিলাদত শরীফ: হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি ৯৬ হিজরীর ১৭ রবীউল আউয়াল শরীফ-এর ইছনানিল আযীম তথা সোমবার শরীফ মদীনা শরীফ-এ বিলাদত শরীফ লাভ করেন। আর উনার বিছাল শরীফ হচ্ছে- ১৪৮ হিজরীর ১৪ই রজবুল হারাম ইছনাইনিল আযীম তথা সোমবার শরীফ বাদ ইশা মদীনা শরীফ-এ।
মুবারক পরিচিত:
তিনি হচ্ছে পিতার দিক থেকে হযরত ইমাম জা’ফর ইবনে মুহম্মদ বাকির ইবনে যয়নুল আবেদীন আলী আওসাত ইবনে সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন ইবনে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
আর নছবনামা হিসেবে তিনি হচ্ছেন যিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার বংশধর তথা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত ধমনী মুবারক এ যিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রক্ত মুবারক প্রবাহিত। সুবহানাল্লাহ!
তিনি মাতার দিক আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া ছিদ্দীক্বে আকবর হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার বংশধর উনাদের অন্তর্ভুক্ত।
উনার মায়ের নাম মুবারক হচ্ছে, হযরত উম্মে ফারওয়া আলাইহাস সালাম। উনার সম্মানিতা মাতা উনার নছবনামা মুবারক হচ্ছে হযরত উম্মে ফারওয়া বিনতে হযরত ক্বাসিম ইবনে হযরত মুহম্মদ ইবনে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিমুস সালাম। মায়ের দিক থেকে হযরত উম্মে ফারওয়া বিনতে হযরত আসমা বিনতে হযরত আব্দুর রহমান ইবনে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিমুস সালাম। তিনি হচ্ছেন ইমামুস সাদিস তথা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বারো ইমাম আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে সাদিস বা ষষ্ঠ ইমাম। সুবহানাল্লাহ!
তিনি হচ্ছে পিতার দিক থেকে হযরত ইমাম জা’ফর ইবনে মুহম্মদ বাকির ইবনে যয়নুল আবেদীন আলী আওসাত ইবনে সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন ইবনে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
আর নছবনামা হিসেবে তিনি হচ্ছেন যিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার বংশধর তথা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত ধমনী মুবারক এ যিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রক্ত মুবারক প্রবাহিত। সুবহানাল্লাহ!
তিনি মাতার দিক আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া ছিদ্দীক্বে আকবর হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার বংশধর উনাদের অন্তর্ভুক্ত।
উনার মায়ের নাম মুবারক হচ্ছে, হযরত উম্মে ফারওয়া আলাইহাস সালাম। উনার সম্মানিতা মাতা উনার নছবনামা মুবারক হচ্ছে হযরত উম্মে ফারওয়া বিনতে হযরত ক্বাসিম ইবনে হযরত মুহম্মদ ইবনে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিমুস সালাম। মায়ের দিক থেকে হযরত উম্মে ফারওয়া বিনতে হযরত আসমা বিনতে হযরত আব্দুর রহমান ইবনে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিমুস সালাম। তিনি হচ্ছেন ইমামুস সাদিস তথা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বারো ইমাম আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে সাদিস বা ষষ্ঠ ইমাম। সুবহানাল্লাহ!
বারো ইমাম
আলাইহিমুস সালাম উনাদের নাম মুবারক-এর তালিকা-
১. ইমামুল আউয়্যাল আসাদুল্লাহিল গালিব হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম।
২. ইমামুছ ছানী ইমামুল হুমাম আল-আউয়াল হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম।
৩. ইমামুছ ছালিছ ইমামুল হুমাম আছ-ছানী, সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম।
৪. ইমামুর রাবি’ হযরত ইমাম আলী আওসাত্ব জয়নুল আবেদীন আলাইহিস সালাম।
৫. ইমামুল খামিস হযরত ইমাম মুহম্মদ বাকির আলাইহিস সালাম।
৬. ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম।
৭. ইমামুস সাবি’ হযরত ইমাম মূসা কাযিম আলাইহিস সালাম।
৮. ইমামুছ ছামিন হযরত ইমাম আলী রেযা আলাইহিস সালাম।
৯. ইমামুত তাসি’ হযরত ইমাম মুহম্মদ ত্বক্বী আলাইহিস সালাম,
১০. ইমামুল আ’শির হযরত ইমাম আলী নক্বী আলাইহিস সালাম।
১১. ইমামুল হাদি আ’শার হযরত ইমাম হাসান আসাকারী আলাইহিস সালাম, এবং
১২. ইমামুছ ছানি আ’শার হযরত ইমাম মুহম্মদ মাহদী আলাইহিস সালাম। (যিনি শেষ যামানায় আসবেন এবং হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাদের সঙ্গী হয়ে দাজ্জালারের বিরুদ্ধে জিহাদ করবেন।)
১. ইমামুল আউয়্যাল আসাদুল্লাহিল গালিব হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম।
২. ইমামুছ ছানী ইমামুল হুমাম আল-আউয়াল হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম।
৩. ইমামুছ ছালিছ ইমামুল হুমাম আছ-ছানী, সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম।
৪. ইমামুর রাবি’ হযরত ইমাম আলী আওসাত্ব জয়নুল আবেদীন আলাইহিস সালাম।
৫. ইমামুল খামিস হযরত ইমাম মুহম্মদ বাকির আলাইহিস সালাম।
৬. ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম।
৭. ইমামুস সাবি’ হযরত ইমাম মূসা কাযিম আলাইহিস সালাম।
৮. ইমামুছ ছামিন হযরত ইমাম আলী রেযা আলাইহিস সালাম।
৯. ইমামুত তাসি’ হযরত ইমাম মুহম্মদ ত্বক্বী আলাইহিস সালাম,
১০. ইমামুল আ’শির হযরত ইমাম আলী নক্বী আলাইহিস সালাম।
১১. ইমামুল হাদি আ’শার হযরত ইমাম হাসান আসাকারী আলাইহিস সালাম, এবং
১২. ইমামুছ ছানি আ’শার হযরত ইমাম মুহম্মদ মাহদী আলাইহিস সালাম। (যিনি শেষ যামানায় আসবেন এবং হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাদের সঙ্গী হয়ে দাজ্জালারের বিরুদ্ধে জিহাদ করবেন।)
হযরত নবী-রসূল
আলাইহিমুস সালাম উনাদের যেমন আলাদা মাক্বাম তেমনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম উনাদের বারো ইমাম আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাক্বামও আলাদা। সুবহানাল্লাহ!
সেই হিসেবে ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি কতটুকু বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মানের অধিকারী সেটা বলার অপেক্ষাই রাখে না। সুবহানাল্লাহ!
সেই হিসেবে ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি কতটুকু বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মানের অধিকারী সেটা বলার অপেক্ষাই রাখে না। সুবহানাল্লাহ!
জামিউন নিয়ামত :
ক্বাদেরীয়া ত্বরীক্বার সিলসিলা অনুযায়ী ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক সাত নম্বরে। আর নকশবন্দিয়া মুজাদ্দিদীয়া তরীক্বার সিলসিলা অনুযায়ী উনার নাম মুবারক পঞ্চম নম্বরে। তিনি তো হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম হিসেবে মূল নিয়ামতপ্রাপ্ত হয়েছিলেনই, তথাপি তিনি উম্মত হিসেবে মূল নিয়ামত হাছিল করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, একজন উম্মত হিসেবে যতটুকু নিয়ামত ধারণ করা সম্ভব আমি আমার সমস্ত নিয়ামতটুকুই ছিদ্দীক্বে আকবর আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার বক্ষ মুবারক-এ ঢেলে দিয়েছি। সুবহানাল্লাহ!
আর সেই নিয়ামতটুকুই ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহসি সালাম তিনি উনার নানা হযরত ক্বাসিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাধ্যম দিয়ে হযরত সালমান ফার্সী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হয়ে ছিদ্দীক্বে আকবর হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার থেকে হাছিল করেন। সুবহানাল্লাহ!
সেই দিক থেকে তিনি হচ্ছেন জামিউন নিয়ামত ও নিসবত তথা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম হিসেবে মূল নিয়ামত ও নিসবত এবং উম্মত হিসেবে যে বিশেষ নিয়ামত ও নিসবত রয়েছে, সেই দুই নিয়ামত ও নিসবতকে একত্রকারী। সুবহানাল্লাহ!
ক্বাদেরীয়া ত্বরীক্বার সিলসিলা অনুযায়ী ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক সাত নম্বরে। আর নকশবন্দিয়া মুজাদ্দিদীয়া তরীক্বার সিলসিলা অনুযায়ী উনার নাম মুবারক পঞ্চম নম্বরে। তিনি তো হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম হিসেবে মূল নিয়ামতপ্রাপ্ত হয়েছিলেনই, তথাপি তিনি উম্মত হিসেবে মূল নিয়ামত হাছিল করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, একজন উম্মত হিসেবে যতটুকু নিয়ামত ধারণ করা সম্ভব আমি আমার সমস্ত নিয়ামতটুকুই ছিদ্দীক্বে আকবর আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার বক্ষ মুবারক-এ ঢেলে দিয়েছি। সুবহানাল্লাহ!
আর সেই নিয়ামতটুকুই ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহসি সালাম তিনি উনার নানা হযরত ক্বাসিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাধ্যম দিয়ে হযরত সালমান ফার্সী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হয়ে ছিদ্দীক্বে আকবর হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার থেকে হাছিল করেন। সুবহানাল্লাহ!
সেই দিক থেকে তিনি হচ্ছেন জামিউন নিয়ামত ও নিসবত তথা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম হিসেবে মূল নিয়ামত ও নিসবত এবং উম্মত হিসেবে যে বিশেষ নিয়ামত ও নিসবত রয়েছে, সেই দুই নিয়ামত ও নিসবতকে একত্রকারী। সুবহানাল্লাহ!
*একবার উনার যামানায় এক ব্যক্তি দাবি
করলো যে, সে সমস্ত কিছু জানে, সে
সমস্ত জ্ঞানের অধিকারী। তখন ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি
বললেন,
তাকে আমার কাছে নিয়ে আসো। তাকে উনার কাছে নিয়ে আসা হলো। তিনি
তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি নাকি সমস্ত কিছু জানো, বলে দাবি করো? সে বললো, হ্যাঁ। নাঊযুবিল্লাহ!
তখন তিনি যমীন থেকে একটা দুর্বাঘাস তুলে তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, যদি তা-ই হয়ে থাকে, তাহলে তুমি বলো তো দেখি, পৃথিবীতে এই দুর্বাঘাসের সংখ্যা জোড় না বেজোড়? সে বললো, আমি জানি না। তখন ইমামুস সাদিস ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আমার তো জানা রয়েছে, পৃথিবীতে যতো দুর্বাঘাস রয়েছে, তার সংখ্যা জোড়। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “আমি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি।”
তিনি অন্যত্র ইরশাদ করেন, “আমি সমস্ত কিছুই জোড় সংখ্যক সৃষ্টি করেছি।” তখন উক্ত ব্যক্তি লা-জাওয়াব হয়ে গেলো।
তখন তিনি যমীন থেকে একটা দুর্বাঘাস তুলে তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, যদি তা-ই হয়ে থাকে, তাহলে তুমি বলো তো দেখি, পৃথিবীতে এই দুর্বাঘাসের সংখ্যা জোড় না বেজোড়? সে বললো, আমি জানি না। তখন ইমামুস সাদিস ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আমার তো জানা রয়েছে, পৃথিবীতে যতো দুর্বাঘাস রয়েছে, তার সংখ্যা জোড়। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “আমি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি।”
তিনি অন্যত্র ইরশাদ করেন, “আমি সমস্ত কিছুই জোড় সংখ্যক সৃষ্টি করেছি।” তখন উক্ত ব্যক্তি লা-জাওয়াব হয়ে গেলো।
*এ ব্যাপারে আরো
একটি ওয়াকেয়া রয়েছে। একবার ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি উনার
মুরীদ ও খলীফা ইমামে আ’যম
হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, বুদ্ধিমান কে?
জবাবে ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, যে ব্যক্তি সৎ-অসৎ এবং ভালো-মন্দ যাচাই-বাছাই করতে পারে সে হলো বুদ্ধিমান।
ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, এটা জীব জন্তুও করতে পারে। সে বুঝে কে তাকে ঘাস দেয় এবং কে তাকে আঘাত করে, কে তার সাথে মন্দ ব্যবহার করে।
তখন ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সবিনয়ে উনার কাছে জানতে চাইলেন, তাহলে প্রকৃত বুদ্ধিমান কে?
তখন ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, যে ব্যক্তি দুটি ভালো কাজের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে তার মধ্যে সর্বোত্তম ভালো কাজটি করে এবং দুইটি মন্দ কাজের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে তার মধ্যে যেটি অধিক মন্দ কাজ সেটি আগে ছেড়ে দেয়। সেই ব্যক্তিই হলো প্রকৃত বুদ্ধিমান। সুবহানাল্লাহ!
জবাবে ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, যে ব্যক্তি সৎ-অসৎ এবং ভালো-মন্দ যাচাই-বাছাই করতে পারে সে হলো বুদ্ধিমান।
ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, এটা জীব জন্তুও করতে পারে। সে বুঝে কে তাকে ঘাস দেয় এবং কে তাকে আঘাত করে, কে তার সাথে মন্দ ব্যবহার করে।
তখন ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সবিনয়ে উনার কাছে জানতে চাইলেন, তাহলে প্রকৃত বুদ্ধিমান কে?
তখন ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, যে ব্যক্তি দুটি ভালো কাজের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে তার মধ্যে সর্বোত্তম ভালো কাজটি করে এবং দুইটি মন্দ কাজের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে তার মধ্যে যেটি অধিক মন্দ কাজ সেটি আগে ছেড়ে দেয়। সেই ব্যক্তিই হলো প্রকৃত বুদ্ধিমান। সুবহানাল্লাহ!
মুরীদ এবং খলীফা:
সেই যামানার প্রায় সমস্ত লোকই উনার মুরীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। হানাফী মাযহাবের ইমাম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং সুলত্বানুল আরেফীন হযরত বাইজিদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার খলীফা ছিলেন। এছাড়া হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম দাঊদ তাই রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা উনার মুরীদ ছিলেন। অন্যদিকে রসায়ন বিজ্ঞানের জনক হযরত জা’বির ইবনে হাইয়্যান তিনিও উনার মুরীদ ছিলেন।
এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি কিরূপ বেমেছাল ইলম ও মর্যাদা-মর্তবার অধিকারী ছিলেন। যেটা সমস্ত মাখলুকাতের চিন্তা, কল্পনা ও ইলমের বাইরে। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনাকে মুহব্বত করা হচ্ছে ঈমান এবং উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা হচ্ছে কুফরী। তাই উনাকে মুহব্বত করা এবং উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান সম্পর্কে জানা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত।
আর উনাকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত করতে হলে, উনার হাক্বীক্বী শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান সম্পর্কে জানতে হলে, বর্তমান যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ, সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদের রসূল, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার ক্বদম মুবারক-এ জমায়েত হওয়া এবং উনার মুবারক হাতে বাইয়াত গ্রহণ করা, উনার ইতায়াত তথা অনুসরণ-অনুকরণ করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আমীন।
সেই যামানার প্রায় সমস্ত লোকই উনার মুরীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। হানাফী মাযহাবের ইমাম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং সুলত্বানুল আরেফীন হযরত বাইজিদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার খলীফা ছিলেন। এছাড়া হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম দাঊদ তাই রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা উনার মুরীদ ছিলেন। অন্যদিকে রসায়ন বিজ্ঞানের জনক হযরত জা’বির ইবনে হাইয়্যান তিনিও উনার মুরীদ ছিলেন।
এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি কিরূপ বেমেছাল ইলম ও মর্যাদা-মর্তবার অধিকারী ছিলেন। যেটা সমস্ত মাখলুকাতের চিন্তা, কল্পনা ও ইলমের বাইরে। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনাকে মুহব্বত করা হচ্ছে ঈমান এবং উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা হচ্ছে কুফরী। তাই উনাকে মুহব্বত করা এবং উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান সম্পর্কে জানা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত।
আর উনাকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত করতে হলে, উনার হাক্বীক্বী শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান সম্পর্কে জানতে হলে, বর্তমান যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ, সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদের রসূল, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার ক্বদম মুবারক-এ জমায়েত হওয়া এবং উনার মুবারক হাতে বাইয়াত গ্রহণ করা, উনার ইতায়াত তথা অনুসরণ-অনুকরণ করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আমীন।