নোটিশ

শনিবার, ২৫ মে, ২০১৩

"পবিত্র ১৩ রজবুল হারাম শরীফ- হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস"



নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি পবিত্র ইলম উনার শহর আর হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি উনার দরজা।
আজ সুমহান ঐতিহাসিক পবিত্র ১৩ রজবুল হারাম শরীফ।
পবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম ইমাম ইমামুল আউওয়াল হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস।
সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে এ বরকতপূর্ণ দিনে পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করে উনার যথাযথ ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা।
আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব এবং কর্তব্য ছিলো- মাসব্যাপী মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে- ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র ইসলাম উনার দেশের সরকার এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। সরকারের উচিত এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া এবং গুরুত্বের সাথে দেখা।


যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আযম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আজ সুমহান ঐতিহাসিক পবিত্র ১৩ রজবুল হারাম শরীফ। পবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম ইমাম ইমামুল আউওয়াল হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস। হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুন, (হে বিশ্ববাসী!) আমি তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না। আর তোমাদের পক্ষে তা দেয়াও সম্ভব নয়, তবে যেহেতু তোমাদের ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবী হাছিল অর্থাৎ রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে হবে। সেহেতু তোমাদের জন্য দায়িত্ব-কতব্য হচ্ছে- আমার সম্মানিত আত্মীয়-স্বজন উনাদের তথা বংশধর উনাদের সাথে সদাচরণ করবে।” 

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রথম ইমাম ইমামুল আউওয়াল হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়জহাহূ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস ১৩ রজবুল হারাম শরীফ উপলক্ষে নছীহত মুবারক প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার উপনাম আবূল হাসান (হাসান উনার পিতা) ও আবূ তুরাব (মাটির পিতা)। পিতার নাম আবূ তালিব, মাতা উনার নাম মুবারক হযরত ফাতিমা বিনতে আসাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা। বিশেষ উপাধি মুবারক আসাদুল্লাহ (মহান আল্লাহ পাক উনার সিংহ), হায়দার (বাঘ), মুরতাদ্বা (সন্তষ্টিপ্রাপ্ত)। তিনি আব্দুল্লাহ নামে প্রসিদ্ধ। তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চাচাতো ভাই। তিনি কুরাঈশ বংশের হাশেমী শাখায় বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। পিতৃকুল ও মাতৃকুল উভয় দিক থেকে তিনি কুরাঈশ বংশোদ্ভূত। সবচেয়ে বিশুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য মতে তিনি পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার ১৩ তারিখ পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম ইমাম, অর্থাৎ ইমামুল আউওয়াল। পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা বর্ণিত রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে এ বরকতপূর্ণ দিনে পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করে উনার যথাযথ ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত উনার ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা ও বুযুর্গী মুবারক সম্পর্কিত ইলম না থাকার কারণেই অনেকে উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও অনুসরণ করতে পারছে না। যার ফলে তারা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি মুবারক হাছিলে পুরোপুরি ব্যর্থ হচ্ছে। তাই উনার সম্পর্কে জানা বা ইলম অর্জন করা সকলের জন্যই ফরয। কেননা যে বিষয়টা আমল করা ফরয সে বিষয়ে ইলম অর্জন করাও ফরয। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে উনার সম্পর্কে কোনো আলোচনাই নেই। অথচ সরকারের জন্য দা¬¬য়িত্ব ও কর্তব্য অর্থাৎ ফরয-ওয়াজিব ছিলো, শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অর্থাৎ পাঠ্যপুস্তকে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা। পাশাপাশি উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সরকারিভাবে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। সরকারের জন্য আরো দায়িত্ব-কর্তব্য অর্থাৎ ফরয হচ্ছে, উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস ১৩ রজবুল হারাম শরীফ উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস চলে যাচ্ছে অথচ সরকার এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আজ সুমহান ঐতিহাসিক পবিত্র ১৩ রজবুল হারাম শরীফ। পবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম ইমাম ইমামুল আউওয়াল হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস। সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে এ বরকতপূর্ণ দিনে পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করে উনার যথাযথ ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা। আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব এবং কর্তব্য ছিলো- মাসব্যাপী মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে- ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র ইসলাম উনার দেশের সরকার এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। সরকারের উচিত এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া এবং গুরুত্বের সাথে দেখা।