মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ
মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি পবিত্র দ্বীন ইসলাম
ভিন্ন অন্য কোনো ধর্ম তালাশ বা গ্রহণ করবে তার কাছ থেকে তা কখনোই কবুল করা হবে না।
অর্থাৎ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার খেলাফ কোনো তর্জ-তরীক্বা তালাশ বা গ্রহণ করবে তার কাছ
থেকে তা কখনোই কবুল করা হবে না।’
বাদশাহ আকবর পবিত্র হিজরী
সনের বিরোধিতা করেই ফসলী সন রচনা করে।
সুতরাং ফসলী সন মুসলমানগণের
কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
অতএব, মুসলমানগণের জন্য পবিত্র হিজরী সন সর্বত্র চালু করা ফরয-ওয়াজিব।
কারণ সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত
উনার সমস্ত আমলগুলিই পবিত্র হিজরী সন অনুযায়ী অর্থাৎ চাঁদের তারিখের সাথে সম্পৃক্ত।
উল্লেখ্য যে, খবরের কাগজগুলোতে আরবী সনের উল্লেখ থাকলেও মানুষের দৈনন্দিন
চর্চাতে তা অনুপস্থিত, যা সত্যি মুসলমানগণের
জন্য লজ্জার বিষয়।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ,
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ
শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্তমানে যে সনটিকে বাংলা সন বলে প্রচার করা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে
সেটি হচ্ছে ফসলী সন। অর্থাৎ মোগল সম্রাট আকবর (শাসনকাল ১৫৫৬ ঈসায়ী-১৬০৫ ঈসায়ী) ইসলামবিদ্বেষী
হওয়ার কারণে ইসলামী সন অর্থাৎ পবিত্র হিজরী সনের বিরোধিতা করে এবং পবিত্র হিজরী সন
থেকে মুসলমানদেরকে সরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই বর্ষপঞ্জি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। খাজনা
আদায়ের সুবিধার অজুহাতে হিজরী সনের পরিবর্তে ঋতুভিত্তিক সৌর সনের প্রয়োজনীয়তার কথা
বলে পবিত্র হিজরী সনকে বদলিয়ে ‘ফসলী সন’
চালু করে। পরবর্তীতে ওই ফসলী সনটিই বাংলা সনে রূপান্তরিত
হয়। এর দ্বারা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয় যে, মুসলমানদের পবিত্র হিজরী সনের বিরোধিতা করে বা পবিত্র হিজরী
সন থেকে মুসলমানগণকে দূরে সরিয়ে দিতেই ফসলী সন চালু করা হয়েছিলো। তাই ফসলী সন মুসলমানগণের
নিকট কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং মুসলমানগণ কোনোভাবেই ফসলী সন অনুসরণ করতে পারে না।
কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি পবিত্র দ্বীন ইসলাম ভিন্ন অন্য কোনো ধর্ম তালাশ বা
গ্রহণ করবে তার কাছ থেকে তা কখনোই কবুল করা হবে না। অর্থাৎ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার
খেলাফ কোনো তর্জ-তরীক্বা তালাশ বা গ্রহণ করবে তার কাছ থেকে তা কখনোই কবুল করা হবে না।’
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমানগণের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, ফসলী সন অনুসরণ না করে সম্মানিত ইসলামী সন বা পবিত্র হিজরী সনকে
অনুসরণ করা। অর্থাৎ মাদরাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়,
অফিস-আদালতসহ সর্বত্র পবিত্র হিজরী সন চালু করা
বা সকল ক্ষেত্রে পবিত্র হিজরী সনকে অনুসরণ করা, কারণ মুসলমানগণের সমস্ত আমলগুলোই পবিত্র হিজরী সন অর্থাৎ চাঁদের
তারিখের সাথে সম্পৃক্ত। যেমন- পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,
পবিত্র শবে মি’রাজ, পবিত্র শবে বরাত,
পবিত্র শবে ক্বদর, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার রোযা, পবিত্র হজ্জ, পবিত্র যাকাত, পবিত্র ঈদুল ফিতর,
পবিত্র ঈদুল আদ্বহা, পবিত্র আশুরা, পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ, পবিত্র লাইলাতুর রগাইব,
পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহমসহ আরো বহু গুরুত্বপূর্ণ
দিন ও রাত পবিত্র হিজরী সন ও চাঁদের তারিখের সাথে সম্পৃক্ত। উল্লেখ্য যে, খবরের কাগজগুলোতে আরবী সনের উল্লেখ থাকলেও মানুষের দৈনন্দিন
চর্চাতে তা অনুপস্থিত, যা সত্যি মুসলমানগণের
জন্য লজ্জার বিষয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যারা বাদশাহ আকবরের ফসলী সনকে বাংলা সন হিসেবে গ্রহণ করছে বা
বাংলা সন হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছে তারা চরম স্তরের মূর্খ। কারণ বাদশাহ আকবর নিজে যেমন
বাঙালি ছিলো না, তেমনি সে বাংলাদেশীও ছিলো
না; বরং সে মঙ্গোলীয়ান ছিলো। আর তার ভাষাও ছিলো ফার্সী।
তাহলে ফসলী সনকে কি করে বাংলা সন হিসেবে গ্রহণ করা ও বাংলা সন হিসেবে প্রচারণা চালাতে
পারে? কাজেই ফসলী সন কখনোই বাংলা
সন হতে পারে না। এটাই সঠিক এবং দলীলভিত্তিক।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- ‘পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ
বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’ এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের
জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, পবিত্র হিজরী সনকে
গুরুত্ব ও প্রাধান্য দিয়ে সর্বত্র পবিত্র হিজরী সন চালু করা। কারণ এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান
তাদের সমস্ত আমলগুলোই পবিত্র হিজরী সন বা চাঁদের তারিখের সাথে সম্পৃক্ত। ফসলী সনের
সাথে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানের কোনোই সম্পৃক্ততা নেই। তাই মুসলমানগণের জন্য
এর কোনো গুরুত্বও নেই। বরং ফসলী সন অনুসরণ না করাই মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব।