মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র
সূরা শূরা শরীফ উনার ২৩নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতগণ
উনাদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময়
চাই না। (উম্মতের পক্ষে বিনিময় দেয়াটাও কখনোই সম্ভব নয়)। তবে তোমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
হচ্ছে আমার আপনজন- অর্থাৎ হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও হযরত আওলাদ আলাইহিমুস
সালাম উনাদের প্রতি মুহব্বত রাখবে।”
সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল
জান্নাহ, বিদ্বআতুম মিন রসূলিল্লাহ,
শাবীহাতু রসূলিল্লাহ, উম্মু আবীহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং হযরত আওলাদে রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মূল ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্ত।
উনার মাধ্যমেই নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার পবিত্র নূরানী বংশ মুবারক জারি রয়েছে।
যাঁদেরকে মুহব্বত করা,
ইজ্জত-সম্মান করা, খিদমত করা এবং অনুসরণ-অনুকরণ করা কায়িনাতবাসী সকলের প্রতি ফরয-ওয়াজিব।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ,
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল
জান্নাহ, বিদ্বআতুম মিন রসূলিল্লাহ,
শাবীহাতু রসূলিল্লাহ, উম্মু আবীহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং হযরত আওলাদে রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মূল ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্ত। উনার মাধ্যমেই
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরানী বংশ মুবারক জারি রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরানী বংশোদ্ভূত
সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, ইজ্জত-সম্মান করা, খিদমত মুবারক করা এবং অনুসরণ করা কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা শূরা শরীফ উনার
২৩নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতগণ
উনাদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময়
চাই না। (উম্মতের পক্ষে বিনিময় দেয়াটাও কখনোই সম্ভব নয়)। তবে তোমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
হচ্ছে আমার আপনজন- অর্থাৎ হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও হযরত আওলাদ আলাইহিমুস
সালাম উনাদের প্রতি মুহব্বত রাখবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তিরিমিযী শরীফ ও মিশকাত শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে,
রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনাকে
তোমরা মুহব্বত করো। কেননা, তিনি তোমাদের প্রতি
খাওয়া-পরার মাধ্যমে অনুগ্রহ করে থাকেন। আর আমাকে তোমরা মুহব্বত করো মহান আল্লাহ পাক
উনার মুহব্বত পাওয়ার জন্য। আর আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং আমার হযরত
আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার মুহব্বত পাওয়ার জন্য।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে প্রমাণিত হলো, কেউ যদি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
এবং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত, সন্তুষ্টি পেতে চায়, তাহলে অবশ্যই তাকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত
এবং সন্তুষ্ট করতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাই আমরা দেখতে পাই- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহুম উনাদের থেকে শুরু করে পরবর্তী উম্মত উনারা সকলেই হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম ও হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত, সম্মান, খিদমত ও অনুসরণ মুবারকের
নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বুখারী শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, যিনি আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া অর্থাৎ হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে
সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বলেছেন- মহান আল্লাহ
পাক উনার শপথ! যাঁর কুদরতী হাত মুবারক-এ আমার প্রাণ মুবারক রয়েছে, আমি আমার ঘনিষ্ঠজনদের থেকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
ঘনিষ্ঠজন উনাদেরকে অধিক প্রিয় মনে করি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘সাওয়ায়িকে মুহরিকা’ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
আওলাদে রসূল হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হাসান মুসান্না
আলাইহিস সালাম তিনি যুবক বয়স মুবারক-এ একবার খলীফা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি
আলাইহি উনার নিকট তাশরীফ নিলেন। যেহেতু তিনি আওলাদে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তাই খলীফা উনাকে উঁচু আসন মুবারক-এ স্থান দিলেন এবং যে উদ্দেশ্য মুবারক
নিয়ে তিনি তাশরীফ নিয়েছিলেন উনার সেই উদ্দেশ্য মুবারক পূরণ করে দিলেন। তিনি চলে যাবার
পর লোকেরা হযরত খলীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি একজন কম বয়সী বালক উনাকে উঁচু আসনে স্থান দিলেন কেন?
তিনি বললেন, আমি নির্ভরযোগ্য হাদীছ শরীফ বর্ণনাকারী উনাদের থেকে শুনেছি,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
বলেছেন, “হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম
তিনি আমারই দেহ মুবারক উনার অংশ মুবারক। যে কাজে তিনি সন্তুষ্ট সে কাজে আমিও সন্তুষ্ট।”
কাজেই, আমার এ কাজে হযরত ফাতিমা আলাইহাস তিনি যেমন সন্তুষ্ট হবেন তেমনি নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনিও সন্তুষ্ট হবেন। এজন্যই আমি এরূপ করেছি। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
পবিত্র নূরানী বংশোদ্ভূত সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা,
ইজ্জত-সম্মান করা, খিদমত মুবারক করা এবং অনুসরণ করা কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব।