নোটিশ

শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৩

যাকাতের আহকাম ও মাসায়িল ॥


কুরআন শরীফ- ইরশাদ হয়েছে, “বড় সৎ কাজ হলো এই যেঈমান আনবে আল্লাহ পাক উনার উপরফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের উপর। আর সম্পদ ব্যয় করবে উনারই মুহব্বতে আত্মীয়-স্বজনইয়াতীমমিসকীনমুসাফিরভিক্ষুক  মুক্তিকামী ক্রীতদাসের জন্য। আর নামায কায়েম করবেযাকাত দান করবেকৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করবেঅভাবে রোগে-শোকে এবং যুদ্ধের সময় ধৈর্যধারণকারী হয়ে থাকবে। তারাই হলো সত্যাশ্রয়ীআর তারাই পরহিযগার।” (সূরা বাক্বারা আয়াত শরীফ১৭৭)

আরো ইরশাদ হয়েছে, (ইয়া রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি তাদের ধন-সম্পদ থেকে (যাকাত ছদকা গ্রহণ করুনছদকা তাদেরকে পাক সাফ  পরিশোধিত করে দেবেআপনি তাদের জন্য দোয়া করবেন। কেননা আপনার দোয়া তাদের জন্যে (হবে পরমসান্তনাআল্লাহ পাক তিনি সব কিছু শোনেন এবং সব কিছু জানেন। (সূরা তওবা আয়াত শরীফ১০৩)


হাদীছ শরীফ- ইরশাদ হয়েছে, “হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেনহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘স্থলে এবং পানিতে যেখানেই কোন সম্পদ ধ্বংস হয়তা হয় কেবল যাকাত আদায় না করার কারণে।” (তবারানী শরীফ )
হাদীছ শরীফ- আরো ইরশাদ হয়েছে, “যে ব্যক্তি যাকাত প্রদান করেনাতার নামায কবুল হয়না।” (বুখারী শরীফ )

যাকাত কাকে বলে:
যাকাত শব্দটি আরবী। অর্থ পবিত্রতা বা বৃদ্ধি। শরীয়তের পরিভাষায় যাকাত হলো আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শরীয়তের নির্দেশ মুতাবিক এক নির্দিষ্ট (নিসাবপরিমাণ সম্পদ ছদকা গ্রহণের উপযোগী কোন মুসলমানের অধিকারে দিয়ে দেয়া।  স্থলে দাতা গ্রহীতা থেকে বিনিময়স্বরূপ কোন ফায়দা হাছিল করতে পারবে না। কোন সুবিধা হাছিল করলে বা হাছিলের আশা রাখলে তার যাকাত আদায় হবেনা।

যাকাতের নিসাব কাকে বলে:
নিসাব বলা হয় শরীয়তের নির্ধারিত আর্থিক নিম্নতম সীমা বা পরিমাণকে অর্থাৎ যে পরিমাণ সম্পদ-মালঅর্থ কোন ব্যক্তির সাংসারিক সকল মৌলিক প্রয়োজন মিটানোর পর বছর শেষে নির্দিষ্ট তারিখে ওই ব্যক্তি মালিকানায় থাকলে যাকাত প্রদান করতে হয় তাকে ইসলামী পরিভাষায় নিসাব বলে। মালের প্রকৃতি ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন মালের নিসাব বিভিন্ন।

যাকাত কার উপর ফরয:
(যাকাত দাতাকে মুসলমান হতে হবে। (প্রাপ্ত বয়স্ক  বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন হতে হবে। (নিসাব পরিমাণ মাল অর্থাৎ সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপা অথবা তার সমপরিমাণ মূল্য বা টাকা তার বৎসরের সকল মৌলিক প্রয়োজনের পর অতিরিক্ত থাকতে হবে। (যদি এককভাবে কোন পণ্য বা দ্রব্যের মূল্য নিসাব পরিমাণ না হয় কিন্তু ব্যক্তির সবগুলো সম্পদের মূল্য মিলিয়ে একত্রে সাড়ে ৫২ তোলা রৌপ্য মূল্যের সমান হয় তবে ওই ব্যক্তির নিসাব পূর্ণ হবে। অর্থাৎ যাকাত আদায় করতে হবে। ()   সাংসারিক প্রয়োজনে গৃহীত ঋণ কর্তনের পর নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে যাকাত দিতে হবে। (স্বামী-স্ত্রীর সস্পদ একই পরিবারের গণ্য হলেও মালিকানা ভিন্নহেতু পৃথকভাবে নিজ নিজ সম্পদের যাকাত আদায় করতে হবে। (নির্ধারিত যাকাত পরিশোধের পূর্বেই সম্পদের মালিক মারা গেলে যাকাত পরিশোধের পর ওয়ারিশগণ মালিক বলে গণ্য হবে।

যাকাতের নিয়ত করতে হবে:
যাকাত পরিশোধে অবশ্যই নিয়ত করতে হবে। এটা ফরয ইবাদতএর নিয়ত করা ওয়াজিব। মুখে উচ্চারণ করা বা যাকাত গ্রহণকারীকে শুনিয়ে বলা প্রয়োজন নেই। তবে মনে মনে নিয়ত অবশ্যই করতে হবে যে আমি যাকাত আদায় করছি অন্যথায় যাকাত আদায় হবে না। তা সাধারণ দান হিসেবে গণ্য হবে।

যাকাত পাওয়ার হক্বদার কে?
নিম্নলিখিত আট খাতে যাকাতের অর্থ ব্যয় করা ফরয। পবিত্র কুরআন শরীফ- আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “যাকাত কেবল ফকিরমিসকিন  যাকাত আদায়কারী কর্মচারীদের জন্যযাদের চিত্ত আকর্ষণ করা প্রয়োজন তাদের জন্য অর্থাৎ নও মুসলিমদাস মুক্তির জন্যঋণে জর্জরিত ব্যক্তিদের ঋণমুক্তির জন্যআল্লাহ পাক উনার রাস্তায় জিহাদকারী এবং মুসাফিরদের জন্য। এটা আল্লাহ পাক উনার নির্ধারিত বিধান এবং আল্লাহ পাক সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।” (সূরা তওবা আয়াত শরীফ৬০)
 ফকির ফকির ওই ব্যক্তি যার নিকট খুবই সামান্য সহায় সম্বল আছে।
 মিসকীন মিসকীন ওই ব্যক্তি যার আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি এবং আত্ম সম্মানের খাতিরে কারো কাছে হাত পাততে পারে না।
 আমিল বা যাকাত আদায়  বিতরণের কর্মচারী।
 মন জয় করার জন্য নওমুসলিম অন্য ধর্ম ছাড়ার কারণে পারিবারিকসামাজিক  আর্থিকভাবে বঞ্চিত হয়েছে। অভাবে তাদের সাহায্য করে ইসলামে সুদৃঢ় করা।
 ঋণমুক্তির জন্য জীবনের মৌলিক বা প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের জন্য সঙ্গতকারণে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিদের ঋণ মুক্তির জন্য যাকাত প্রদান করা যাবে।
 দাসমুক্তি :  কৃতদাসের মুক্তির জন্য।
 ফি সাবিলিল্লাহ বা জিহাদ অর্থাৎ ইসলামকে বোল-বালা বা বিজয়ী করার লক্ষ্যে যারা কাফির বা বিধর্মীদের সাথে জিহাদে রত সে সকল মুজাহিদদের প্রয়োজনে যাকাত দেয়া যাবে।
 মুসাফির মুসাফির অবস্থায় কোন ব্যক্তি বিশেষ কারণে অভাবগ্রস্থ হলে ওই ব্যক্তির বাড়িতে যতই ধন-সম্পদ থাকুক না কেন তাকে যাকাত প্রদান করা যাবে।

কাদেরকে যাকাত দেয়া যাবে না:
 উলামায়ে ছূ বা ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা দ্বারা পরিচালিত মাদরাসা অর্থাৎ যারা জঙ্গিবাদমৌলবাদসন্ত্রাসবাদ  অন্যান্য কুফরী মতবাদের সাথে সম্পৃক্ত সেই সমস্ত মাদরাসাতে যাকাত প্রদান করলে যাকাত আদায় হবে না।
 নিসাব পরিমাণ মালের অধিকারী বা ধনী ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে না।
 মুতাক্বাদ্দিমীন অর্থাৎ পূর্ববর্তী আলিমগণের মতে কুরাঈশ গোত্রের বনু হাশিম-এর অন্তর্গত আব্বাসজাফরআকীল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের বংশধরের জন্য যাকাত গ্রহণ বৈধ নয়। তবে মুতাআখখিরীন অর্থাৎ পরবর্তী আলিমগণের মতে বৈধ।
 অমুসলিম ব্যক্তিকে যাকাত দেওয়া যাবে না
 যে সমস্ত মাদরাসায় ইয়াতীমখানা  লিল্লাহ বোডিং আছে সেখানে যাকাত দেয়া যাবে এবং যে সমস্ত মাদরাসায় লিল্লাহ বোডিং নেই সেখানে যাকাত দেয়া যাবে না।
 দরিদ্র পিতামাতাকেসন্তানকেস্বামী বা স্ত্রীকে যাকাত দেয়া যাব না।
 প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ইয়াতীমখানা লিল্লাহ বোডিংয়ের জন্য যাকাত আদায়কারী নিযুক্ত হলে তাকে যাকাত দেয়া যাবে না।
 উপার্জনক্ষম ব্যক্তি যদি উপার্জন ছেড়ে দিয়ে নামায-রোযা ইত্যাদি নফল ইবাদতে মশগুল হয়ে যায় তাকে যাকাত দেয়া যাবে না। তবে সে যদি উপার্জন না থাকার কারণে যাকাত পাওয়ার উপযুক্ত হয় তবে যাকাত দেয়া যাবে।
 বেতন বা ভাতা হিসেবে নিজ চাকর-চাকরানীকে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে না।

উশর বা ফসলের যাকাত:
কৃষিজাত পণ্য-ফল  ফসলের যাকাতকে ইসলামী পরিভাষায় উশর বলে। বাংলাদেশের জমি উশরী কিনা তা নিয়ে মত পার্থক্য থাকলেও হক্কানী আলিম-উলামাগণের মতামত উশর প্রদানের পক্ষে।

ফসলের নিসাব  উশরের শর্ত:
ইমামে আয হযরত আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে কম বেশি যাই হোক উশর আদায় করতে হবে। জমির খাজনা বা কর দিলেও উশর আদায় করতে হবে। বছরে একাধিক ফসল উৎপন্ন হলে প্রতি ফসলেই উশর দিতে হবে।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পদ বা অলঙ্কারের যাকাত কে দিবে ?
স্বামী-স্ত্রীর সম্পদ একই পরিবারের গণ্য হলেও মালিকানা ভিন্ন তাই পৃথকভাবে যাকাত আদায় করতে হবে। স্ত্রীর যদি অলঙ্কার ব্যতীত অন্য কোন সম্পদ না থাকে তবে স্ত্রীর হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে বা কিছু অলঙ্কার বিক্রি করে যাকাত আদায় করতে হবে। অলঙ্কারের যাকাত স্ত্রীর পক্ষে স্বামী আদায় করলেও যাকাত আদায় হয়ে যাবে।

যাকাতের হিসাব কখন থেকে করতে হবে ?
যাকাত বছরান্তে ফরয এবং বছরান্তে যাকাতের হিসাব করা ওয়াজিব। চন্দ্র বছরের যে কোন একটি তারিখকে যাকাত হিসাবের জন্য নির্ধারিত করতে হবে। বাংলা বা ইংরেজি বছর হিসাব করলে তা শুদ্ধ হবে না। হিসাবের সুবিধার্থে পহেলা রমাদ্বান শরীফ- যাকাত হিসাব করা যেতে পারে। মহান আল্লাহ পাক রমাদ্বানের রহমতের কারণে  সময় সত্তর গুণ বেশি পুণ্য দান করেন। যাকাত যোগ্য সকল সম্পদ পণ্যের বেলায় এই শর্ত আরোপিত কিন্তু কৃষিজাত ফসলমধুখনিজ সম্পদ ইত্যাদি ক্ষেত্রে বছরান্তের শর্ত নাই। প্রতিটি ফসল তোলার সাথে সাথেই যাকাত আদায় করতে হবে।

বিগত বৎসরের কাযা (অনাদায়ীযাকাত:
যদি কারো অতীত যাকাত অনাদায়ী বা অবশিষ্ট থাকেতাহলে তা ঋণের মধ্যে গণ্য হবে। চলতি বছরে যাকাত আদায়ের পূর্বেই অনাদায়ী কাযা যাকাত আদায় করতে হবে।
যাকাত হিসাবের ছক: (চন্দ্র বৎসর হিসাবে)
মালদার ব্যক্তি তার প্রকাশ্য  অপ্রকাশ্য সকল সম্পদ হিসাবের জন্য নিম্নের ছকটি ব্যবহার করতে পারেন। নমুনা ছকে উল্লেখ নাই এমন সম্পদ মালদারের থাকলে তা অবশ্যই হিসাবে আনতে হবে।

যাকাত প্রদানের উপযুক্ত স্থান
বেরাদারানে ইসলামআল্লাহ পাক উনার অসীম রহমতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অত্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা  ইয়াতীমখানা। যার প্রতিষ্ঠাতা এবং পৃষ্ঠপোষক হচ্ছেন বর্তমান যামানার আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআওলাদে রসূলইমামুল আইম্মাহমুহইস সুন্নাহকুতুবুল আলমগাউছুল যমহাবীবুল্লাহসাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী।
মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ’-এর অনন্য বৈশিষ্ট্যসমূহ হচ্ছে এই যেএকমাত্র অত্র প্রতিষ্ঠানেই ইলমে ফিক্বাহর পাশাপাশি ইলমে তাছাউফ শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছেযা শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ শরয়ী পর্দার সাথে বালক  বালিকাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বালক শাখার শিক্ষককর্মকর্তা  আমিলগণ প্রত্যেকেই পুরুষ এবং বালিকা শাখার শিক্ষিকাকর্মকর্তা  আমিলগণ প্রত্যেকেই মহিলা।

 প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ইসলামের নামে অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড যেমনমৌলবাদজঙ্গিবাদবোমাবাজীহরতাললংমার্চকুশপুত্তলিকা দাহ ইত্যাদি হারাম  কুফরীমূলক কাজের সাথে এবং  ধরনের কোন প্রকার অবাঞ্ছিত সংগঠন বা দলের সাথে সম্পৃক্ত নয়। বরং  প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন আমল এবং মাথার তালু থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত সব কিছুই সুন্নতের অলঙ্কারে অলঙ্কৃত। সর্বোপরি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা ভিত্তিক। কুরআন শরীফহাদীছ শরীফইজমা এবং ক্বিয়াস-এর আলোকে ইলম শিক্ষা দেয়া হয়। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাস্তব জীবনে সুন্নতে নববীর আদর্শ প্রতিষ্ঠা তথা সঠিক ইসলাম কায়িমের মাধ্যমে আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি বা রেযামন্দী হাছিল করা।

এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমাজের বিত্তবানদের পাশাপাশি গরিব এবং ইয়াতীমদের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ইয়াতীমখানা এবং লিল্লাহ বোডিং সুতরাং আপনার যাকাতউশরফিৎরাকাফফারামান্নতদানছদকাকুরবানীর চামড়া বা তার মূল্য অত্র প্রতিষ্ঠানের লিল্লাহ বোডিংয়ে দান করাই হবে অধিক ফযীলতের কারণ।

বিশ্ববিখ্যাত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের অভিমত হচ্ছেআল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ- এবং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদীছ শরীফ- যেসব খাতে যাকাতউশরফিৎরাকাফফারামান্নতদানছদকাকুরবানীর চামড়া ইত্যাদি প্রদানের ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন তার মধ্যে যারা ইয়াতীম  গরিব ত্বলিবে ইলম অর্থাৎ ইলমে দ্বীন শিক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে তাদেরকে প্রদান করাই লক্ষ-কোটি গুণ বেশি ছওয়াব এবং আল্লাহ পাক  উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি বা রেযামন্দী হাছিলের উসীলা। কাজেইআপনার যাকাতউশরফিৎরাকাফফারামান্নতদানছদকাকুরবানীর চামড়া বা তার মূল্য অত্র প্রতিষ্ঠানে প্রদান করে আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি হাছিল করুন।
উল্লেখ্য যেআপনি ইচ্ছা করলে সরাসরি কর্তৃপক্ষের কাছে অথবা অত্র প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্টে (মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ/-২০০০০০৭৫৬৯সোনালী ব্যাংক লিমিটেডমালিবাগ শাখাঢাকাআপনার দান জমা দিতে পারেন।

যাকাত প্রদানের ব্যাপারে যোগাযোগ করুন-
মোবাইল ৮৩১৪৮৪৮০১৭১২২০৫৮৩৮০১৭১২০০৪২৯৩
কর্তৃপক্ষমুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ


লিংকঃ http://www.shobujbanglablog.net/12590.html