নোটিশ

বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১০

মাদীনাতুল ইল্‌ম, মুতারফ্‌ফিউদ দারাজাত, মুক্বীমুস্‌ সুন্নাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার খাছ সুন্নত ‘আজওয়া খেজুর এর ফযীলত’

হে আমার হাবীব! আপনি উম্মতদেরকে বলুন, তোমরা যদি আল্লাহ্‌ পাক-এর মুহব্বত প্রত্যাশী হও; তবে আমার ইত্বায়াত বা অনুসরণ-অনুকরণ কর। তাহলে আল্লাহ্‌ পাক তোমাদেরকে ভালবাসবেন। তোমাদের গুনাহ্‌খাতা সমূহ ক্ষমা করে দিবেন এবং আল্লাহ্‌ পাক তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল ও দয়ালু হয়ে যাবেন।” (সূরা আলে ইমরান-৩১)


আর হাদীছ শরীফে সাইয়িদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্‌ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমান, “যে ব্যক্তি আখিরী যামানায় আমার একটি সুন্নতকে পালন করবে, সে ব্যক্তি একশত শহীদের সমান ছওয়াব পাবে।” (বাইহাক্বী, মিশকাত)

উপরোক্ত পবিত্র কুরআন শরীফের আয়াতে কারীমাসমূহ এবং হাদীছ শরীফের মাধ্যমে সুন্নত পালনের ফাযায়িল-ফযীলত সমন্ধে বুঝতে পারলাম।

আর সুন্নত পালন না করার ভয়াবহতা সমন্ধে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্‌ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমান, “আমার প্রত্যেক উম্মত বেহেশ্‌তে যাবে একমাত্র সেই ব্যক্তি ব্যতীত যে আমাকে অস্বীকার করেছে। প্রশ্ন করা হলো, কে এই অস্বীকারকারী? তিনি বললেন, যে আমাকে অনুসরণ করলো, সে বেহেশ্‌তে যাবে, আর যে ব্যক্তি আমাকে অনুসরণ করলো না, সেই ব্যক্তি হচ্ছে অস্বীকারকারী, সে জাহান্নামে যাবে।” (বুখারী শরীফ)

আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্‌ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমান, “যে আমার সুন্নতকে তরক (অস্বীকার) করে সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।”(বুখারী, মুসলিম)

উপরোক্ত হাদীছ শরীফের মাধ্যমে আমরা সুন্নত পালন না করার ভয়াবহতা সমন্ধে জানতে পারলাম।

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ যে, আজওয়া খেজুর খাওয়া আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্‌, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।

আজওয়া খেজুর:

আখিরী রসুল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অত্যন্ত প্রিয় ও পছন্দনীয় খাবারের অন্তর্ভুক্ত ছিলো তাজা, পাকা খেজুর। যে প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফে হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা থেকে বর্ণিত আছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিনে যখনই দুবার আহার করেছেন তার মধ্যে একবার খেজুর খেয়েছেন। অন্য হাদীছ শরীফে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “যে ঘরে খেজুর নেই, সে ঘরের লোক অভুক্ত।


আর আজওয়ানামক খেজুর ছিল আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্‌ নাবিয়্যীন, হুযূরে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অত্যন্ত প্রিয়।

যে প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফে উল্লেখ রয়েছে, “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট আজওয়া (নামের) খেজুর অত্যধিক প্রিয় ছিল।” (আখলাকুন্‌ নবী)


মূলতঃ আজওয়া নামক খেজুর মদীনা শরীফের সর্বোত্তম খেজুর। এটা অত্যন্ত মোলায়েম, দেখতে কালো, বীচি অত্যন্ত ছোট এবং খেতে অত্যন্ত মজা তথা সুস্বাদু।


হযরত ইবনে তীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ব হস্তে এ খেজুর গাছ বপন করেছেন।


হাদীছ শরীফে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি রোজ সকালে উঠে খালি পেটে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, তার উপর (ঐ দিন) বিষ অথবা যাদুটোনা ক্রিয়া করবে না।


হযরত আবু সাঈদ খুদরী ও আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম মারফু সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে
, “আজওয়া জান্নাতের খেজুরের অন্তর্ভুক্ত এবং তাতে বিষের নিরাময় বর্তমান। হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা মাথা ঘোরা রোগে এই খেজুর খেতে বলতেন।