যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাজার হাজার হাদীছ শরীফ রয়েছে যাতে উল্লেখ রয়েছে ছবি তোলা, আঁকা, রাখা, দেখা হারাম।
আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিনে ওই ব্যক্তির সবচাইতে কঠিন শাস্তি হবে যে ব্যক্তি ছবি তোলে বা আঁকে।” (‘বুখারী শরীফ’)
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে- “যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তুলবে ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে তাকে বলা হবে তুমি যে ছবিগুলো তুলেছিলে সেগুলোকে প্রাণ দাও। সে তাতে প্রাণ দিতে সক্ষম হবেনা। তখন আল্লাহ পাক তিনি তাতে প্রাণ দিয়ে বলবেন, তোমাকে যে তৈরি করেছিলো তাকে শাস্তি দেয়ার কাজে নিয়োজিত হয়ে যাও।” (নাসাঈ শরীফ)
বুখারী শরীফ ২য় জিলদ ৮৮০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ তিনি করেন, “নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে ওই ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক কঠিন শাস্তি দিবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।”
মুসলিম শরীফ ২য় জিলদ ২০১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে, “যারা প্রাণীর ছবি তৈরি করবে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, যে ছবিগুলো তোমরা তৈরি করেছ, সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দাও।”
বুখারী শরীফ ২য় জিলদ ৮৮০ পৃষ্ঠায় আরো বর্ণিত রয়েছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “মানুষের মধ্যে ওই ব্যক্তি অধিক অত্যাচারী, যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক উনার সাদৃশ্য কোন প্রাণীর ছূরত সৃষ্টি করে। তাকে বলা হবে একটি শস্য দানা সৃষ্টি কর অথবা একটি পিপীলিকা সৃষ্টি কর।”
মুসলিম শরীফ ২য় জিলদ ২০২ পৃষ্ঠায় বর্ণিত রয়েছে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, প্রত্যেক প্রাণীর ছবি তৈরিকারীই জাহান্নামে যাবে এবং আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেকটি ছবিকে প্রাণ দিবেন এবং ছবিগুলো তাদেরকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে।
শরহে মুসলিম ও নববী শরীফ কিতাবে, “হাদীছ শরীফসমূহে প্রাণীর ছবি তৈরি করা বা মূর্তি নির্মাণ করা হারাম হওয়া সম্পর্কে প্রকাশ্যেই বলা হয়েছে। এটা তৈরি বা নির্মাণ করা জঘন্যতম পাপের কাজ ও হারামও বটে। উক্ত কিতাবে আরো উল্লেখ আছে, যদি কেউ মূর্তি বা প্রাণীর ছবি পূজা বা সৃষ্টির অনুকরণের জন্য নাও বানিয়ে থাকে তবুও সে ফাসিক হবে এবং কবীরা গুনাহে গুনাহগার হবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি আরো বলেন, ওই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করবেনা যে ঘরে ছবি ও কুকুর থাকে।
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “কুল্লু মুছাব্বিরীন ফিন নার।” অর্থাৎ সকল ছবি তুলনেওয়ালা, তোলানেওয়ালা জাহান্নামী। ছবির বিরুদ্ধে অনেক স্পষ্ট হাদীছ শরীফ থাকার পরেও উলামায়ে ‘ছূ’রা দুনিয়াবী স্বার্থ হাছিলের লক্ষ্যে তাদের মনগড়া ব্যাখ্যা করে বলে, বর্তমানে ছবির প্রয়োজন রয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ! শুধু তাই নয় ছবি সম্পর্কে আরো নানা প্রকার কুফরীমূলক কথা বলে।
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে- “হযরত যিয়াদ ইবনে হুদাইর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আমাকে বললেন, তুমি বলতে পারো কি, কোন জিনিস ইসলামকে ধ্বংস করবে? আমি বললাম: না (আমি জানিনা)। তখন তিনি বললেন, আলিমদের পদস্খলন, মুনাফিকদের আল্লাহ পাক উনার কিতাব নিয়ে তর্ক-বাহাছে লিপ্ত হওয়া এবং গোমরাহ শাসকদের গোমরাহীমূলক হুকুম বা আদেশ-নিষেধ। (ইসলামকে ধ্বংস করবে)।” (দারিমী শরীফ)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের মধ্যে যারা উলামায়ে ছূ’ তাদের জন্য আফসুস অর্থাৎ তারা জাহান্নামী হবে। তারা ইলমকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করতঃ তাদের যুগের শাসকদের নিকট থেকে অর্থ ও পদ লাভের প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকে। আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এসকল উলামায়ে ছূ’দের বিরুদ্ধে এই বলে বদদোয়া করেন যে, “আয় আল্লাহ পাক! যারা নিজেদের ইলম দ্বারা দুনিয়াবী সরকারের সাথে ব্যবসা করতে চায় তাদের ব্যবসায় বরকত দিবেন না।” (কানযুল উম্মাল)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি আরো বলেন, বিভ্রান্ত শাসক আর উলামায়ে ছূ’দের ইলম, আক্বল এবং সমঝ ও আমলের অভাবের কারণে কাফির মুশরিকদের প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়ে অজ্ঞতা ও মূর্খতার কারণে নতুন কোনো বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পেরে অথবা দুনিয়ার লোভে হারাম ও কুফরী বিষয়গুলোকে জায়িয করার চেষ্টায় মেতে উঠে। নাঊযুবিল্লাহ! এমনকি উলামায়ে ছূ’রা বর্তমান যামানায় ছবির প্রয়োজন রয়েছে বলেও প্রচার করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ বর্তমান যুগে ছবির প্রয়োজন অর্থাৎ জায়িয হলে তারও উল্লেখ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ-এ থাকতো।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কুরআন শরীফ-এ, হাদীছ শরীফ-এ ছবি তোলার বিরুদ্ধে রয়েছে। কাজেই ছবি তোলার পক্ষে বলার অর্থই হলো সরাসরি আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বিরুদ্ধে বলা। আর উনাদের বিরোধিতা করে যে হারামকে হালাল বলবে সে কাট্টা মুরতাদ হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইসলামে হালাল স্পষ্ট, হারামও স্পষ্ট। হারামকে যদি কেউ হালাল করতে চায় তাহলে সে মুরতাদ হয়। শরীয়তের ফায়সালায় মুরতাদ হলে তার তওবার জন্য সুযোগ তিন দিন। এর মধ্যে তওবা না করলে তার প্রতি মুরতাদের শাস্তি বর্তাবে এবং তার কাফনও নয় দাফনও নয় বরং তাকে গর্তের মধ্যে পুঁতে রাখতে হবে।
[ট্যাগঃ পীর-মুরীদি (মুরিদি) ব্যবসাধারী ভন্ড-পীর সহ ধর্মব্যবসায়ীদের জম রাজারবাগ দরবার শরীফ, রাজারবাগী পীর সাহেব কিবলা আলাইহিস সালাম]