১. দুরূদ শরীফ পাঠের মাধ্যমে মুনাজাত শুরু করা। অর্থাৎ মুনাজাতের শুরুতে, মধ্যখানে ও শেষে বেশি বেশি দুরূদ শরীফ পাঠ করা। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে,
عن عمر بن الخطاب رضى الله تعالى عنه قال ان الدعاء موقوف بين السماء والارض حتى تصلى على نبيك فصلوا فى الاول الدعاء واوسطها واخرها.
অর্থ: হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, “দোয়া বা মুনাজাত আসমান ও যমীনের মধ্যখানে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। যতক্ষণ পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ না করা হয়।” সুতরাং তোমরা দোয়া বা মুনাজাতের শুরুতে, মধ্যখানে ও শেষে দুরূদ শরীফ পাঠ করো।
২. উভয় হাত সিনা পর্যন্ত উত্তোলন করা।
৩. উভয় হাত মিলিত রাখা কোন ফাঁক না রাখা।
৪. হাতের তালু আসমানের দিকে রাখা।
৫. পাঁচ ওয়াক্ত নামায, জুমুয়া, ঈদ, তারাবীহসহ সর্বপ্রকার নামাযের পর এবং যে কোন মাহফিল বা দীনী মজলিসের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা জায়িয ও সুন্নত।
৬. নিম্নোক্ত আয়াত শরীফ পাঠ করে মুনাজাত শেষ করা সুন্নত।
سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُوْنَ وَسَلٰمٌ عَلَى الْـمُرْسَلِيْنَ وَالْـحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ.
বিঃ দ্রঃ- মুনাজাতে কি চাইতে হবে কিভাবে চাইতে হবে তা জানতে হলে এবং সুন্নত তরীক্বা মোতাবেক মুনাজাত করতে হলে বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে অনুসরণ করতে হবে। অর্থাৎ উনি যেভাবে মুনাজাত করেন সেভাবে মুনাজাত করতে হবে।