যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কোনো কোনো জাহিল বলে থাকে যে, কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ পড়লেই হয়; হক্কানী রব্বানী শায়খ বা মুর্শিদ উনাদের নিকট বাইয়াত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। মূলত তাদের এ বক্তব্য সম্পূর্ণরূপেই কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের খিলাফ। কেননা, হক্কানী-রব্বানী শায়খ বা মুর্শিদ উনাদের নিকট বাইয়াত হওয়া ফরয। এটা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ দ্বারাই অকাট্যভাবে প্রমাণিত।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বায়হাক্বী, মিশকাত, মিরকাত, লুময়াত, তালীকুছ ছবীহ, শরহুত ত্বীবী, মোযাহেরে হক্ব, আশয়াতুল লুময়াত’ইত্যাদি কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ করেন, প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জরুরত আন্দাজ) ইলম অর্জন করা ফরয।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি দারিমী, তারগীব ওয়াত তারহীব, তারীখ, আব্দুল বার, দাইলামী, বায়হাক্বী, মিশকাত, মিরকাত, শরহুত ত্বীবী, তা’লীকুছ ছবীহ, আশয়াতুল লুময়াত, লুময়াত, মুযাহিরে হক্ব ইত্যাদি কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ইলম দু'প্রকার- (১) ক্বলবী ইলম অর্থাৎ ইলমে তাছাউফ। আর এটাই মূলত উপকারী ইলম। (২) যবানী ইলম অর্থাৎ ইলমে ফিক্বাহ, যা আল্লাহ পাক উনার পক্ষ হতে বান্দার জন্য দলীল।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, ইলমে তাছাউফ অর্জন করার মাধ্যমে অন্তর পরিশুদ্ধ করত হুযূরী ক্বলব হাছিল করা তথা অন্ততপক্ষে বিলায়েতে আম হাছিল করা ফরয। এ ফরয ততোক্ষণ পর্যন্ত আদায় করা সম্ভব হবেনা, যতোক্ষণ পর্যন্ত একজন কামিল মুর্শিদ উনার নিকট বাইয়াত না হবে। তাই বাইয়াত গ্রহণ করাও ফরয। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ তাফসীরে মাযহারীতে” উল্লেখ আছে যে, যে কাজ বা আমল ব্যতীতফরযসমূহ আদায় করা সম্ভব হয়না, উক্ত ফরযগুলোকে আদায় করার জন্য সে কাজ বা আমল করাও ফরয।”
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হানাফী মাযহাবের মশহুর ফিক্বাহর কিতাব দুররুল মুখতারে” উল্লেখ আছে, যে আমল ব্যতীত কোন ফরয পূর্ণ হয়না; উক্ত ফরয পূর্ণ করার জন্য ওই আমল করাটাও ফরয।”
উল্লিখিত উছুলের ভিত্তিতে সুস্পষ্টভাবে এটিই প্রমাণিত হয় যে, ফরয পরিমাণ ইলমে তাছাউফ যেহেতু অর্জন করা ফরয, আর তা যেহেতু কামিল মুর্শিদ বা পীর ছাহেব উনার নিকট বাইয়াত হওয়া ব্যতীত অর্জন করা সম্ভব নয়, সেহেতু একজন কামিল মুর্শিদ অর্থাৎ যিনি সর্বদা আল্লাহ পাক উনার যিকিরে মশগুল, উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করাও ফরয।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “হক্বানী ওলীআল্লাহগণের ছোহবতে যাওয়া এবং উনাদের কাছে বাইয়াত হয়ে উনাদের ক্বলবের বরকতময় নূর দ্বারা নিজ ক্বলবকে নূরানী করা এবং উনাদের মাধ্যমে ফয়েজে ইত্তেহাদী হাছিল করে আল্লাহ পাক ও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনাদের সন্তুষ্টি হাছিল করা ফরযে আইন।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেরূপ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণকে ফয়েজ দান করেছেন, উনার অনুসরণে নায়েবে নবী ওয়ারাছাতুল আম্বিয়া তথা হক্কানী ওলী আল্লাহগণও স্বীয় মুরীদদের অন্তরকে ফয়েজ দ্বারা নূরানী করে থাকেন, এটা সম্পূর্ণরূপেই কুরআন-সুন্নাহ সম্মত।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “তোমরা ইতায়াত বা অনুরসরণ কর আল্লাহ পাক-এর এবং রসূল (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এবং তোমাদের মধ্যে যারা উলিল আমর- নবীর ওয়ারিছ উনাদের।” তিনি বলেন, হাদী বা পথ প্রদর্শকের জন্য যেই যোগ্যতা, কামালিয়াত, রূহানিয়াত ইত্যাদির প্রয়োজন, নবীর ওয়ারিছ বা ওলীগণ তা ওয়ারিছ সূত্রে লাভ করেছেন। সীনা ব সীনা এবং ছোহবতের মাধ্যমে এই ইলম সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর তরফ হতে ছাহাবী, তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ী এভাবে পর্যায়ক্রমে ওলীগণের মাঝে চলে আসছে। এজন্য খালিছ খিলাফতপ্রাপ্ত ওলী যিনি কোন খালিছ ওলীর ছোহবতে যিকির-ফিকির, রিয়াযত-মুশাক্কাত করে জাহির-বাতিন ইসলাহ (শুদ্ধি) লাভ করেছেন। ঈমানী, আকাঈদী, ইলমী, আমলী সবকিছুর ক্ষেত্রে শুদ্ধতা ও পূর্ণতা হাছিল করেছেন। উনার নিকট বাইয়াত হওয়া ব্যতীত মুরীদের কোন রূহানী তরক্কী হবে না। অর্থাৎ আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে নিছবত ও তায়াল্লুক পয়দা হবে না।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, নবী আলাইহিমুস সালাম-এর দ্বারা যেরূপ উম্মতের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ সবক্ষেত্রে ইছলাহ লাভ হয়, সেরূপ শায়খ বা পীর ছাহেবের তথা মুর্শিদের দ্বারাও মুরীদের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ সবক্ষেত্রে ইছলাহ লাভ হয়। তিনি বলেন, নবী আলইহিমুস সালাম-এর উম্মত না হয়ে যেরূপ হিদায়েত লাভ করা যায় না, তদ্রুপ কামিল মুর্শিদ বা পীর ছাহেবের নিকট বাইয়াত না হয়েও ইছলাহ বা পরিশুদ্ধি লাভ করা যায় না। বরং শয়তানী প্রবঞ্চনায় পড়ে গোমরাহীতে নিপতিত হওয়াই স্বাভাবিক।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কামিল মুর্শিদ বা ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবত লাভ করা বা উনাদেরকে অনুসরণ করার নির্দেশ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এও রয়েছে। যেমন এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এর সূরা তওবা-এর ১১৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং ছাদিক্বীন বা সত্যবাদীগণের সঙ্গী হও।”
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক তিনি তো কোথাও একথা বলেননি যে, তোমরা কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর সঙ্গী হয়ে যাও। বরং যারা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ পড়ে তথা ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাছাউফ অর্জন করে ছাদিক্বীন’ বা হক্কানী-রব্বানী শায়খ বা মুর্শিদ’ হয়েছেন উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করতে বলেছেন। '
সুতরাং এর দ্বারাও প্রমাণিত হয় যে, শুধু কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ পড়লেই চলবে না বরং হক্কানী-রব্বানী শায়খ বা মুর্শিদ উনার নিকট বাইয়াত হতে হবে।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি ‘সূরা কাহাফ-এর ২৮ নম্বর আয়াত শরীফ উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, আপনি নিজেকে উনাদের সংসর্গে আবদ্ধ রাখুন, যাঁরা সকাল-সন্ধ্যায় উনাদের রব উনাকে ডাকে উনার সন্তুষ্টি হাছিলের জন্য।”
অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি হাছিলের জন্য ক্বলবী যিকির করেন, উনার অনুসরণ ও ছোহবত ইখতিয়ার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি সূরা কাহাফ-এর ১৭ নম্বর আয়াত শরীফ উল্লেখ করে বলেন, কামিল মুর্শিদ-এর গুরুত্ব সম্পর্কে কালামুল্লাহ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে হিদায়েত দান করেন, সেই হিদায়েত পায়। আর যে ব্যক্তি গুমরাহীর মধ্যে দৃঢ় থাকে, সে কোন ওলীয়ে মুর্শিদ (কামিল শায়খ বা পীর) উনার ছোহবত লাভ করতে পারে না।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি এ আয়াত শরীফের ব্যাখ্যায় বলেন, আল্লাহ পাক যাকে হিদায়েত দান করেন অর্থাৎ যে ব্যক্তি হিদায়েত তলব করে, আল্লাহ পাক তার প্রতি রহমত করে তাকে ওলীয়ে মুর্শিদ বা পথ প্রদর্শক ওলীআল্লাহর ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমে হিদায়েত দান করেন। আর যে ব্যক্তি হিদায়েত তলব করে না বরং নিজের খেয়াল-খুশী মত গোমরাহীর মধ্যে দৃঢ় থাকে, সে ব্যক্তি আল্লাহ পাক-এর রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়ার সাথে সাথে হক্কানী-রব্বানী আল্লাহওয়ালাগণের ছোহবত থেকে মাহরূম থাকে।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক-এর ওলীগণের ছোহবত থেকে বঞ্চিত থাকার অর্থই হচ্ছে- আল্লাহ পাক-এর রহমত থেকে বঞ্চিত থাকা। এ প্রসঙ্গে সূরা আ’রাফে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “নিশ্চই আল্লাহ পাক-এর রহমত যাঁরা মুহসিনীন তথা আল্লাহওয়ালা, তাঁদের নিকটবর্তী।” অর্থাৎ যাঁরা আল্লাহ পাক-এর ওলী, তাঁদের উপরই আল্লাহ পাক-এর রহমতে খাছ বর্ষিত হয়। আর এই রহমতে খাছ আল্লাহওয়ালাগণের ছোহবত ব্যতীত হাছিল হয় না। তাই আল্লাহ পাক সূরা তওবার মধ্যে আদেশ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ পাককে ভয় কর এবং ছদেক্বীন তথা আল্লাহওয়ালাগণের সঙ্গী হয়ে যাও।”
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ সমস্ত উম্মতের মধ্যে অর্থাৎ হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণ-এর পর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ, সম্মানিত ও মর্যাদাবান হয়েছেন, তার একমাত্র কারণ আল্লাহ পাক-এর রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছোহবত হাছিল করা। আর পরবর্তীতে সমস্ত ইমাম-মুজ্তাহিদ, আওলিয়ায়ে ক্বিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণও আল্লাহ ওয়ালাগণের ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমে আল্লাহ পাক-এর রহমত হাছিল করে হিদায়েত প্রাপ্ত হয়েছেন। যে প্রসঙ্গে ইমামে আ’যম, আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, “আমি ইমাম আ’যম আবূ হানীফা যদি দু’বছর না পেতাম, তাহলে অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যেতাম।”
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইমামে আ’যম, আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি সে দু’বছরের কথা উল্লেখ করেছেন, যে দু’বছর তিনি তাঁর দ্বিতীয় পীর সাহেব, হযরত ইমাম জাফর সাদিক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমে আল্লাহ পাক-এর রহমত হাছিল করে হাক্বীক্বী হিদায়েত লাভ করেন। অর্থাৎ ইখলাছ অর্জন ও আল্লাহ পাক এবং তাঁর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সন্তুষ্টি হাছিল করেন।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল আওলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় কিতাব ফতহুর রব্বানী ও সিররুল আসরারের মধ্যে উল্লেখ করেছেন যে- “প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য কোন হক্কানী ওলীআল্লাহর কাছে বাইয়াত হওয়া ফরজে আইন।” আর অন্যান্য সকল ইমাম-মুজ্তাহিদ, আওলিয়ায়ে ক্বিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণও এর উপরে একমত হয়েছেন।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কোন ব্যক্তিকে হিদায়েত লাভ করতে হলে তথা আল্লাহওয়ালা হতে হলে বা আল্লাহ পাক-এর মা’রিফত, মুহব্বত ও সন্তুষ্টি লাভ করতে হলে, অবশ্যই একজন হক্কানী-রব্বানী শায়খ বা পীর ছাহেব তথা ওলীআল্লাহর কাছে বাইয়াত হয়ে তাঁর ছোহবত ইখতিয়ার করতে হবে। অন্যথায় গোমরাহীতে নিমজ্জিত হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।
অর্থাৎ যারা কামিল মুর্শিদ-এর নিকট বাইয়াত হয়না তারা পথভ্রষ্ট। কারণ তখন তাদের পথ প্রদর্শক হয় শয়তান। তাই সুলত্বানুল আরিফীন হযরত বায়েজীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি, সাইয়্যিদুত ত্বায়িফা হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহিআলাইহিসহ আরো অনেকেই বলেন যে, যার কোনো পীর বা মুর্শিদ নেই তার মুর্শিদ বা পথ প্রদর্শক হলো শয়তান। (ক্বওলুল জামীল, নূরুন আলা নূর, তাছাউফ তত্ত্ব)
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, অন্তর পরিশুদ্ধ করা ও হুযূরী ক্বলব অর্জন তথা কমপক্ষে বিলায়িতে আম হাছিল করার জন্য জরুরত আন্দাজ ইলমে তাছাউফ অর্জন করা যেরূপ ফরয তদ্রুপ একজন হক্কানী ও কামিল মুর্শিদ উনার নিকট বাইয়াত হওয়াও ফরয। কাজেই যারা বলে- ‘কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ পড়লেই হয় হক্কানী রব্বানী শায়খ বা মুর্শিদ উনার নিকট বাইয়াত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই- তারা মূলত ইহুদী নাছারাদের প্ররোচনায় পড়ে মুসলমানদেরকে ইলমে তাছাউফ বা আত্মশুদ্ধি থেকে ফিরিয়ে ফাসিক ও গুমরাহ বানিয়ে জাহান্নামী করে দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। প্রত্যেক মুসলমানকে এদের ষড়যন্ত্র থেকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে।