যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সুলতানুল নাছির, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ নাজায়িয, হারাম ও কাট্টা কুফরী। আর মুসলমানগণকে মুসলমান না বলে মৌলবাদী বলা শরীয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ নাজায়িয হারাম।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন মুসলমানের পক্ষে মৌলবাদী নাম ধারণ করে ফখর বা গর্ব করা বা গর্ববোধ করা জায়িয নেই। তাছাড়া যদি কোন বিধর্মী বা নাস্তিকরা মুসলমানগণকে মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসবাদী বলে সম্বোধন করে, তাহলে সেটাও শরীয়তের দৃষ্টিতে গালি হিসেবে গণ্য হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মৌলবাদী দাবী করে বা মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও মৌলবাদে বিশ্বাসী হওয়ার শর্ত আরোপ করে, তারা নতুন দল, মত, পথ গঠনে ব্যস্ত। যেমন, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী মুসলমানগণকে মুসলমান নামে পরিচিত না করে কাদিয়ানী নামে পরিচিত করেছে। তদ্রুপ মৌলবাদীরাও মুসলমানগণকে মুসলমান নামে পরিচিত না করে মৌলবাদী নামে পরিচিত করার কাজে ব্যস্ত, যা সম্পূর্ণ কুরআন-সুন্নাহর খিলাফ।
আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, সে আমাদের দলভুক্ত নয় যেকোন বানানো মতবাদের দিকে আহ্বান করে।’
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইতিহাস রয়েছে, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, তার জীবিতাবস্থায় সে যখন ধারণা করলো, তার দল প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে, তখন সে ঘোষণা দিলো, আদমশুমারী বা লোক গণনার সময় যে ব্যক্তি মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও কাদিয়ানী মতে বিশ্বাসী না হবে ও নামের শেষে কাদিয়ানী শব্দ ব্যবহার না করবে, সে কাফির।
সে আরো ঘোষণা করলো, যারা কাদিয়ানী মত বিশ্বাস করবে ও কাদিয়ানী শব্দ নামের শেষে ব্যবহার করবে, তাদের জন্য ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের সাথে বিয়ে-শাদী, আত্মীয়তা, খাওয়া-দাওয়া, উঠা-বসা ইত্যাদি সম্পর্ক রাখা সম্পূর্ণ নাজায়িয ও হারাম- যারা মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও কাদিয়ানী মতে বিশ্বাসী নয় ও নামের শেষে কাদিয়ানী শব্দ ব্যবহার করবে না। (নাউযুবিল্লাহ)
তদ্রুপ মৌলবাদীরাও যখন ধারণা করলো, তাদের দল প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে তখন তারাও কাদিয়ানীর অনুরূপ ঘোষণা দেয় যে, কোন ব্যক্তি মুসলমান হয়া সত্ত্বেও মৌলবাদী দাবী না করলে বা মৌলবাদে বিশ্বাসী না হলে সে জারজ সন্তান, কাফির, মুশরিক, মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইসলামী উছূলের কোথাও উল্লেখ করা হয়নি যে, মৌলবাদে বিশ্বাসী না হলে মুসলমান ও হালাল সন্তান হওয়া সত্ত্বেও অবৈধ জারজ সন্তানে পরিণত হয়ে যাবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যে বা যারা বলে, মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও মৌলবাদে বিশ্বাসী বা মৌলবাদী দাবী না করলে অবৈধ সন্তান, তাহলে তাদের দায়িত্ব হলো অবৈধ সন্তান প্রমাণ করতে হলেচারজন সাক্ষী পেশ করা। আর যদি চারজন সাক্ষী পেশ করতে না পারে, তাহলে নিম্নোক্ত আয়াত শরীফের হুকুম তাদের উপর বর্তাবে। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “যারা স্বাধীনা মহিলাগণের প্রতি অপবাদ দেয়; অতঃপর চারজন পুরুষ সাক্ষী পেশ করতে পারে না তাহলে তাদেরকে আশি দোররা মারবে এবং তাদের সাক্ষী কস্মিনকালেও গ্রহণযোগ্য হবে না, কারণ তারা চরম ফাসিকের অন্তর্ভুক্ত।”
মৌলবাদী দাবীকারীদের থেকে মুসলমানগণকে সতর্ক ও সাবধান থাকার ব্যাপারে এবং মৌলবাদ দাবীকারীদের মৌলবাদ, জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসবাদী চেতনা থেকে ফিরে সঠিক ইসলামে দাখিল হওয়ার ব্যাপারে জোরদার আহ্বান জানান।