নোটিশ

রবিবার, ২০ মার্চ, ২০১১

ইসলামে ইফরাত তাফরিত করা হারাম; শরীয়ত, তরীক্বত, হাক্বীক্বত, মা’রিফত ইসলামের রূপায়ণ

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আযম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সুলতানুল নাছির, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইসলামে ইফরাত তাফরিত করা হারাম। শরীয়ত, তরীক্বত, হাক্বীক্বত, মারিফত ইসলামের রূপায়ণ।


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন,দ্বীনের ভিতর নতুন করে কিছু প্রবেশ করানো যেমন হারাম ও নাজায়িয; ঠিক একইভাবে দ্বীনের মধ্যে আছে এমন কোন বিষয়কে দ্বীনের মধ্যে নেই বলে শরীয়ত হতে বের করে দেয়াও হারাম ও নাজায়িয। আর যারাই এগুলো করবে তারাই দ্বীন হতে খারিজ হয়ে যাবে। অর্থাৎ মুরতাদ ও কাফির হয়ে যাবে।


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, দ্বীন সম্পর্কে কোন কথা বলতে হলে তা পূর্ণ তাহক্কীক করে বলতে হবে। না জেনে মনগড়াভাবে কোন কথা বললে হাশরের ময়দানে গলায় আগুনের বেড়ি পরানো হবে এবং আগুনের কেচি দিয়ে তার জিহবা কেটে দেয়া হবে এবং ভুল ফতওয়াদানের কারণে যত লোক তদানুযায়ী আমল করবে তাদের সকলের গুনাহ্‌র বোঝা ফতওয়াদানকারীর উপর বর্তাবে।


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, শরীয়ত, তরীক্বত, হাক্বীক্বত ও মারিফত-এসব প্রত্যেকটিই কুরআন-সুন্নাহসম্মত এবং তা মানা ও বিশ্বাস করাটাও কুরআন-সুন্নাহরই নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত।


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক তাঁর কালাম পাকে ইরশাদ করেন, “আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্যই শরীয়ত ও তরীক্বত নির্ধারণ করে দিয়েছি।


আর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “শরীয়ত হলো আমার কথা (আদেশ-নিষেধ), তরীক্বত হলো আমার কাজ (আমল), হাক্বীক্বত হলো আমার অবস্থা এবং মারিফত হলো আমার গুপ্ত রহস্য। মূলতঃ শরীয়ত বলতে পূর্ণাঙ্গ দ্বীন ইসলামকেই বুঝানো হয়ে থাকে।


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি তোমাদের নিকট স্বচ্ছ ও পরিপূর্ণ দ্বীন তথা শরীয়ত নিয়ে এসেছি। জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল হযরত মূসা আলাইহিস্‌ সালামও যদি হায়াতে থাকতেন হবে তাঁকেও আমার অনুসরণ করতে হতোআর শরীয়তের উছূল বা দলীল তিনটি- কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা এবং চতুর্থটি হচ্ছে-ক্বিয়াস।


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন,তরীক্বত হচ্ছে শরীয়তের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যা শরীয়তের মতই ফরয। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, নিশ্চয় আল্লাহ পাক মুমিনদের প্রতি ইহসান করেছেন যে, তিনি তাদের মধ্যে একজন রসূল পাঠিয়েছেন যিনি লোকদেরকে আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে শোনাবেন, তাযকিয়া করবেন, কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবেন। যদিও তারা পূর্বে হিদায়েত প্রাপ্ত ছিল না।


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে চারটি বিশেষ কারণে পাঠিয়েছেন। তার মধ্যে একটি হলো তাযকিয়া বা ইছলাহ্‌ করার জন্য।এ তাযকিয়াই হচ্ছে ইলমে তাছাউফ বা ইলম তরীক্বত নামে মশহুর। হাক্বীক্বত হচ্ছে অবস্থা বা হাল। ইলমে তরীক্বত বা তাছাউফ মশ্‌ক বা অর্জন করার কারণে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়; তরীক্বতের ভাষায় তাকেই হাক্বীক্বত বলে। হাক্বীক্বতের অপর নাম হচ্ছে ইখলাছ। সে জন্য বলা হয়েছে, হাক্বীক্বত বা ইখলাছ ব্যতীত দ্বীন বা শরীয়ত পালন মূল্যহীন। আর হাক্বীক্বত তথা ইখলাছ না থাকলে দ্বীন পালনের উদ্দেশ্য হবে গায়রুল্লাহ। এর ফলে আমলকারীর কোন আমল কবুল তো হবেই না বরং তার কৃত আমলই জাহান্নামে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে। এ প্রসঙ্গে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ইখলাছের সাথে দ্বীন পালন তথা আমল কর, অল্প আমলই তোমার নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে।


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “সমস্ত মানুষ ধ্বংসশীল ঈমানদারগণ ব্যতীত; এবং ঈমানদারগণ ধ্বংসশীল আমলকারীগণ ব্যতীত এবং আমলকারীগণও ধ্বংসশীল ইখলাছ অর্জনকারীগণ ব্যতীত। আর ইখলাছ অর্জনকারীগণ চিন্তা-পেরেশানীর মধ্যে থাকেন।অর্থাৎ ইখলাছ অর্জনকারীগণ আল্লাহ পাক-এর খালিছ বান্দা হতে পারলেন কিনা এ ভয় এবং আল্লাহ পাক-এর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ইবাদত করেন।


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মারিফত-এর অর্থ হচ্ছে পরিচয়। তাছাউফের পরিভাষায় মারিফতের অর্থ হচ্ছে আল্লাহ পাক-এর পরিচয় লাভ করা। অথবা আল্লাহ পাক-এর গুপ্তভেদ বা রহস্য অবগত হওয়া।


যখন কোন ব্যক্তি ইলমে শরীয়তের উপর কায়িম থেকে ইলমে তরীক্বত বা তাছাউফ মশক করে তখন তার মধ্যে এক প্রকার হাক্বীক্বত বা অবস্থা বা যোগ্যতা পয়দা হয়। সে যোগ্যতার কারণে সে আল্লাহ পাক-এর ইলম ও কুদরত এবং আসমা ও ছিফতের ইলম অর্জন করে। সে ইলমের দ্বারা সে অনুযায়ী সে আল্লাহ পাক-এর মারিফত অর্জন করে যা তার ইহকাল এবং পরকালে আল্লাহ পাক-এর নৈকট্য, দীদার ও রেযামন্দী হাছিলের কারণ।


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, শরীয়ত তরীক্বত, হাক্বীক্বত ও মারিফত প্রতিটি বিষয়ই বান্দার জন্য অত্যন্ত জরুরী যা সম্পূর্ণরূপে কুরআন-সুন্নাহসম্মত। যারা বলে, শরীয়ত, তরীক্বত, হাক্বীক্বত ও মারিফত বলতে কোন কিছুই নেই তাদের বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে কুরআন-সুন্নাহর খিলাফ, মিথ্যা ও কুফরীমূলক।